০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের দখলে বাংলাদেশি জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি একটি জাহাজ দখলে নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এতে জিম্মি হয়েছেন ২৩ বাংলাদেশি। মঙ্গলবার জাহাজটিতে হামলা চালায় জলদস্যুরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই জাহাজের নাম এমভি আবদুল্লাহ। এটি দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। এতে এখন জিম্মি আছেন নাবিক ও ক্রুসহ ২৩ বাংলাদেশি।
জাহাজটা মোজাম্বিক থেকে আরব সাগর হয়ে আরব আমিরাত যাচ্ছিল। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ৪ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর ছেড়ে আসে জাহাজটি। ১৯ মার্চ আরব আমিরাতের হামরআহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএমের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।
জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এমন এক সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, জাহাজটি বর্তমানে ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি আছে। জাহাজে আনুমানিক ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু অবস্থান করছে।
এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম জানান, আজ বিকেল ৫টা নাগাদ জাহাজটি উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। জাহাজের সবাই নিরাপদ আছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‌আমরা সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে সব ক্রুকে উদ্ধারে কাজ করছি। বৈশ্বিক জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী সাইট ভেসেল ফাইন্ডারের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি একটি কার্গো ভেসেল। আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল এটি। ৪ মার্চ মোজাম্বিক থেকে রওনা দিলেও গত চারদিন ধরে এটি সোমালিয়া উপকূলে আটকা আছে। এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় ২৬ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনি। তিন মাস পর মুক্ত হয় জাহাজটি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

সোমালিয়ান জলদস্যুদের দখলে বাংলাদেশি জাহাজ, ২৩ নাবিক জিম্মি

প্রকাশিত সময় : ০১:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি একটি জাহাজ দখলে নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এতে জিম্মি হয়েছেন ২৩ বাংলাদেশি। মঙ্গলবার জাহাজটিতে হামলা চালায় জলদস্যুরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই জাহাজের নাম এমভি আবদুল্লাহ। এটি দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। এতে এখন জিম্মি আছেন নাবিক ও ক্রুসহ ২৩ বাংলাদেশি।
জাহাজটা মোজাম্বিক থেকে আরব সাগর হয়ে আরব আমিরাত যাচ্ছিল। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ৪ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর ছেড়ে আসে জাহাজটি। ১৯ মার্চ আরব আমিরাতের হামরআহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএমের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।
জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এমন এক সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, জাহাজটি বর্তমানে ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি আছে। জাহাজে আনুমানিক ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু অবস্থান করছে।
এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম জানান, আজ বিকেল ৫টা নাগাদ জাহাজটি উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। জাহাজের সবাই নিরাপদ আছে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‌আমরা সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে সব ক্রুকে উদ্ধারে কাজ করছি। বৈশ্বিক জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী সাইট ভেসেল ফাইন্ডারের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি একটি কার্গো ভেসেল। আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল এটি। ৪ মার্চ মোজাম্বিক থেকে রওনা দিলেও গত চারদিন ধরে এটি সোমালিয়া উপকূলে আটকা আছে। এর আগে, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় ২৬ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনি। তিন মাস পর মুক্ত হয় জাহাজটি।