কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মা ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রুনা আক্তারের ভাই হাফেজ সিরাজদৌল্লাহ বাদি হয়ে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার নুরুকে এজাহার নামীয় আসামি করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরোও ৪-৫ জনকে। মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন নুরুল আবছার নুরুর সাথে অন্য নারীর পরকিয়া সম্পর্ক থাকার জের ধরে এ হত্যার ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এসব তথ্য জানিয়েছেন, কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন।গ্রেফতার নুরুল আবছার নুরু কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকার মৃত রহিম দাদের ছেলে। অপর দুই জন হলেন, একই এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩২) ও পূর্ব তবলার চর এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে সাকিব হাসান রানা (১৫)।
ওসি মো. আরমান হোসেন জানিয়েছেন, গ্রেফতার স্বামী ছাড়া অপর দুই জন হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। নিহতের বাড়ির ৪ টি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে গ্রেফতার করা অপর দুই জনের কাছে। ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানাননি।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিজ ঘরে নুরুল আবছার নুরুর স্ত্রী রুনা আকতার (৩২) ও মেয়ে ওয়াসিমা নুরে জারিয়া (৬)’র জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। ওসি আরমান আরোও জানান, শনিবার রাতে নুরুল আবছার নুরুকে প্রধান করে নিহত স্ত্রীর বড় ভাই হাফেজ সিরাজদৌল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরোও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কাজীর পাড়ায় আল-কোরআনুল কারিম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় হায়দার পাড়া মসজিদের ইমাম সিরাজুদ্দৌলাহ।এজাহারে বলা হয়েছে রুনা আক্তারের স্বামী নুরুল আবছার নুরুর অন্য এক নারীর সঙ্গে অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায়,তা নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি হতো। এর জের ধরেই এই হত্যাকান্ড বলে জানান ওসি।ওসি আরমান বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় নুরুল আবছার নুরুকে আগেই আটক করে হেফাজতে নিয়ে ছিল। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ধরা হয় অপর দুই জনকে। পুলিশ তদন্ত করে যাচ্ছে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা আরও পরিষ্কার হবে এমনটাই জানান তিনি।