১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে অজিদের হারাতে চায় টাইগ্রেসরা

যেকোন কন্ডিশন বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। সেই হিসেবে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ওয়ানডে সিরিজকে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বললে ভুল হবে না। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের—ই—বাংলায় প্রথম ওয়ানডের আগে বুধবার (২০ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাথে হতে যাওয়া এই সিরিজ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় সিরিজও বটে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সিরিজ—পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে অকপটে তাই স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অবশ্যই (সবচেয়ে বড় সিরিজ)। তারা বিশ্বের অন্যতম ভালো দল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা হবে।’

এদিকে এই বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন নিগার—সাবিনারা। বিশ্বকাপের বছর বলেই অস্ট্রেলিয়াও সিরিজটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই সিরিজ খেলতে এসেছে। নিগার বলেন, ‘ছয়—সাত মাস আমরা যেমন ক্রিকেট খেলে এসেছি, তারাও আমাদের হালকাভাবে নিচ্ছে না, ওদের স্কোয়াড দেখেও তা বোঝা গেছে। বিশ্বকাপও এখানে হবে। সব মিলিয়ে সম্প্রতি যতগুলো সিরিজ খেলেছি; ভারত বলেন, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা— সবাই ভালো দল।’

বাংলাদেশের নারীরা অবশ্য ছন্দে থাকা অবস্থায় হোম কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়াকে পাচ্ছেন। গত বছর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি—টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে সিরিজে হারিয়েছে। বছর শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি—টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজের আগে সে ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আর এই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই অজিদের হারাতে চায় বাঘিনীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে বাংলাদেশ কোথায় এগিয়ে থাকবে এমন প্রশ্নে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে হোম কন্ডিশন, আমার মনে হয় কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা। তারা কখনোই তো খেলেনাই এখানে, রিসেন্টলি তাদের অনেকগুলো প্লেয়ার কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। তো বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার উইকেট সেমই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে।’

এছাড়াও বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজে আরেকটি গুরুত্বের জায়গা হল অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচগুলো উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে হলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ১৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে ৭ নম্বরে। সেদিক থেকে চিন্তা করলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে জয় দরকার বাংলাদেশের, ‘সিরিজটি আইসিসি চক্রের (উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ) ভেতরে। প্রতিটি পয়েন্টই তাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হোক অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা অন্য যেকোনো দল। আমরা চাই, বিশ্বকাপের জন্য যেন বাছাইপর্ব খেলতে না হয়। সবার মনোযোগ এখন এটাতেই বেশি। যেন আমরা যত বেশি পয়েন্ট নিতে পারি।’

তবে বাংলাদেশের নারীরা অজিদের কাছ থেকে পয়েন্টি নিতে পারে কি না তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালের ম্যাচ পর্যন্ত।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে অজিদের হারাতে চায় টাইগ্রেসরা

প্রকাশিত সময় : ০২:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

যেকোন কন্ডিশন বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। সেই হিসেবে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ওয়ানডে সিরিজকে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বললে ভুল হবে না। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের—ই—বাংলায় প্রথম ওয়ানডের আগে বুধবার (২০ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সাথে হতে যাওয়া এই সিরিজ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় সিরিজও বটে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সিরিজ—পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে অকপটে তাই স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অবশ্যই (সবচেয়ে বড় সিরিজ)। তারা বিশ্বের অন্যতম ভালো দল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। তাদের বিপক্ষে খেলা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা হবে।’

এদিকে এই বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি—টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন নিগার—সাবিনারা। বিশ্বকাপের বছর বলেই অস্ট্রেলিয়াও সিরিজটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই সিরিজ খেলতে এসেছে। নিগার বলেন, ‘ছয়—সাত মাস আমরা যেমন ক্রিকেট খেলে এসেছি, তারাও আমাদের হালকাভাবে নিচ্ছে না, ওদের স্কোয়াড দেখেও তা বোঝা গেছে। বিশ্বকাপও এখানে হবে। সব মিলিয়ে সম্প্রতি যতগুলো সিরিজ খেলেছি; ভারত বলেন, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা— সবাই ভালো দল।’

বাংলাদেশের নারীরা অবশ্য ছন্দে থাকা অবস্থায় হোম কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়াকে পাচ্ছেন। গত বছর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি—টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে সিরিজে হারিয়েছে। বছর শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি—টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজের আগে সে ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। আর এই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই অজিদের হারাতে চায় বাঘিনীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজে বাংলাদেশ কোথায় এগিয়ে থাকবে এমন প্রশ্নে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে হোম কন্ডিশন, আমার মনে হয় কন্ডিশনের দিক থেকে তারা অনেক বেশি অচেনা। তারা কখনোই তো খেলেনাই এখানে, রিসেন্টলি তাদের অনেকগুলো প্লেয়ার কিন্তু আইপিএল খেলে আসছে। তো বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার উইকেট সেমই থাকে। তারা একটু হলেও জানে যে কেমন কন্ডিশনে খেলা হবে।’

এছাড়াও বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজে আরেকটি গুরুত্বের জায়গা হল অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচগুলো উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। পরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে হলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ১৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে ৭ নম্বরে। সেদিক থেকে চিন্তা করলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে জয় দরকার বাংলাদেশের, ‘সিরিজটি আইসিসি চক্রের (উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপ) ভেতরে। প্রতিটি পয়েন্টই তাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হোক অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা অন্য যেকোনো দল। আমরা চাই, বিশ্বকাপের জন্য যেন বাছাইপর্ব খেলতে না হয়। সবার মনোযোগ এখন এটাতেই বেশি। যেন আমরা যত বেশি পয়েন্ট নিতে পারি।’

তবে বাংলাদেশের নারীরা অজিদের কাছ থেকে পয়েন্টি নিতে পারে কি না তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকালের ম্যাচ পর্যন্ত।