নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসটার্মিনাল এলাকায় ব্যাক্তি মালীকানাধীন একটি রেজিষ্ট্রি জমি ভূয়া দলিল সৃজন করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশাল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জবর দখল করতে এলে স্থানীয় জনগণের গণধোলাইয়ের শিকার হন পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উজ্জল সেন এর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসীদল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রতিবেদন তৈরী করার পর্যন্ত উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, জমিটির প্রকৃত মালিক আব্দুল করিম মুন্সি নামক এক ব্যাক্তি। উজ্জল সেন আব্দুল করিম মুন্সির ওই জমির পাকা ভবনের নিচতলায় একটি দোকান ঘর ভাড়া নেয় ২০০৯-১০ সালে। ভাড়া নেওয়ার পর হতে কথিত উজ্জল সেন দোকানের ভাড়া আদায়ে গড়িমসি করে আসছিলো। এবিষয়ে দোকান মালিক বিভিন্ন সময় ভাড়া আদায়ে তাগাদা দিলেও ভাড়াটিয়া উজ্জল সেন ঘাড় ত্যাড়ামী করে আসছিলো। একপর্যায়ে প্রকৃত জমির মালিক ভাড়াটিয়ার প্রতি অসন্তোষ ও টাকার প্রয়োজনে জমিটি ২০১৭ সালে বিক্রি করে দেয় এশিয়ান গ্রুপের কাছে। এবং খালি জমিটির দখল বুঝিয়ে দেয় এশিয়ান গ্রুপেকে।
এরই মধ্যে জমিটির প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে উজ্জল সেনের। সে কৌশলে ভুয়া একটি নোটারী মুলে একটি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আবদুল করিম মুন্সিকে বিবাদী করে। মামলাটি এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায়। বর্তমানে জমিটি এবং জমিতে স্থিত ভবনটি এশিয়ান গ্রুপের দখলে রয়েছে। আদালত জমিটিতে স্থিতিবস্থা জারি করে এবং তা এখনো বিদ্যমান।
রবিবার (২৯ মে) উজ্জল সেন দুটি পিকাপ গাড়ি নিয়ে, পৌরসভার বৈদ্যঘোনা হতে ২০-৩০ জন লোক ভাড়া করে এনে আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে সম্পূর্ণ ফিল্মী স্টাইলে জমিটি দখল করতে এলে স্থানীয় জনগন তাদেরকে গণধোলাই দেয়। পরবর্তী পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে উজ্জল সেন ও তার ভাড়া করা লোকদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী উক্ত আবদুল করিম মুন্সি ও উজ্জল সেন এর মধ্যে বিরোধপূর্ণ জমিটি সুরাহা না হলে পরবর্তী আরো বড় অঘটন ঘটতে পারে তাই প্রসাশনিক ভাবে এর সমাধান করা জরুরী।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির উল গিয়াস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে তিনি একটি মারামারি সংঘঠিত হওয়ার খবর শুনেছেন এবং তাৎক্ষণিক একটি ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে এনে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এ বিষয়ে এখনো কোন পক্ষ মামলা না করায় কারো বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেননি বলে জানান। তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।