‘সবার ছেলে ফিরা আইছে, আমার ছেলে কই? সে ক্যান ফিরা আসে নাই, ওরে বাজান হাদিস, তুই কইরে বাজান?’
ইউক্রেনে আটকে পড়ে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। এই জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিলেন। রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে বাকি ২৮ নাগরিক দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কান্না করতে করতে হাদিসুর রহমানের মা এ কথা বলেন। এ সময় হাদিসুরের ছোট ভাইও কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এক পর্যায়ে হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ‘ভাই, ভাই’ বলে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে থাকেন। এ সময় হাদিসুরের আরেক ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম এসে প্রিন্সকে মাটি থেকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। ভাইয়ের মৃত্যুতে সেও হতবিহবল। মাকে সামলাবে না ভাইকে। দিশেহারা তারিকুল।
তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রধানমন্ত্রীকে একটু বলেন, আমার বড় ভাইয়ের মৃতদেহটা যেনো আমাদের এনে দেয়। তাহলে ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে বরগুনা চলে যাবো। কবর দেব। আমাদের আর কিছু চাওয়ার নাই। আমার ভাইয়ের লাশটা ফেরত চাই।’