০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিলংজা দক্ষিণ হাজী পাড়ায় পরিবেশ ও বনবিভাগের ব্যাপক অভিযান

ঝিলংজার দক্ষিণ হাজী পাড়ায় পরিবেশ ও বনবিভাগের ব্যাপক অভিযান

শামশুল আলম শ্রাবণ || ভোরের কক্সবাজার। 

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাজী পাড়ায় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ মিলে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান এবং বন বিভাগের পক্ষে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রেন্জ কর্মকর্তা সমীর রন্জন সাহা আর সার্বিক সহযোগিতা করেন ঝিংলজা বনবিট কর্মকর্তা আসলাম হোসেন।

অভিযানিক দলের সাথে প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায় দক্ষিন হাজী পাড়ায় ঝিংলজা বন বিভাগের সংরক্ষিত পাহাড়, বিস্তীর্ণ ভাবে কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এর মধ্যে সবথেকে ঝুকিপূর্ণ তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তর এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান।

এই পাহাড় কাটায় নেতৃত্বে দিচ্ছেন মহেশখালীর তাজুল ইসলাম পিতা মৃত জামাল উদ্দিন
রাকিব পিতা তাহের মাষ্টার আজিজ পিতা নুরুল হক, মোহাম্মদ সেলিম পিতা সিরাজুল হক বর্তমান সর্ব সাং দক্ষিণ হাজি পাড়া ঝিলংজা সদর কক্সবাজার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসে দেখি কিছু দুষ্কৃতিকারী বিশাল আকারের বন বিভাগের পাহাড় কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। বাড়িগুলোতে কোন পুরুষ উপস্থিত পাওয়া যায়নি তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে সকলের নাম ঠিকানা নিয়েছি এবং আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। বাড়ীগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগকে এবিষয়ে অবগত করবো যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

এবিষয়ে দক্ষিণ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রন্জন সাহা জানান আমরা আজকে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছি, পাহাড় কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করা বাড়ির মহিলাদের নির্দেশ দিয়েছি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থাপনা গুলো সরিয়ে ফেলতে। না হয় আমরা এসে আবারো অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে নিয়ে যাবো। এবং যারা পাহাড় কাটায় জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ঝিলংজা দক্ষিণ হাজী পাড়ায় পরিবেশ ও বনবিভাগের ব্যাপক অভিযান

প্রকাশিত সময় : ০১:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

শামশুল আলম শ্রাবণ || ভোরের কক্সবাজার। 

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হাজী পাড়ায় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ মিলে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান এবং বন বিভাগের পক্ষে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রেন্জ কর্মকর্তা সমীর রন্জন সাহা আর সার্বিক সহযোগিতা করেন ঝিংলজা বনবিট কর্মকর্তা আসলাম হোসেন।

অভিযানিক দলের সাথে প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায় দক্ষিন হাজী পাড়ায় ঝিংলজা বন বিভাগের সংরক্ষিত পাহাড়, বিস্তীর্ণ ভাবে কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এর মধ্যে সবথেকে ঝুকিপূর্ণ তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পরিবেশ অধিদপ্তর এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান।

এই পাহাড় কাটায় নেতৃত্বে দিচ্ছেন মহেশখালীর তাজুল ইসলাম পিতা মৃত জামাল উদ্দিন
রাকিব পিতা তাহের মাষ্টার আজিজ পিতা নুরুল হক, মোহাম্মদ সেলিম পিতা সিরাজুল হক বর্তমান সর্ব সাং দক্ষিণ হাজি পাড়া ঝিলংজা সদর কক্সবাজার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর এর ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসে দেখি কিছু দুষ্কৃতিকারী বিশাল আকারের বন বিভাগের পাহাড় কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে। বাড়িগুলোতে কোন পুরুষ উপস্থিত পাওয়া যায়নি তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে সকলের নাম ঠিকানা নিয়েছি এবং আমার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। বাড়ীগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগকে এবিষয়ে অবগত করবো যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।

এবিষয়ে দক্ষিণ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রন্জন সাহা জানান আমরা আজকে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছি, পাহাড় কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করা বাড়ির মহিলাদের নির্দেশ দিয়েছি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্থাপনা গুলো সরিয়ে ফেলতে। না হয় আমরা এসে আবারো অভিযান পরিচালনা করে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে নিয়ে যাবো। এবং যারা পাহাড় কাটায় জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।