০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যথাযোগ্য মর্যাদায় জেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮৫ ভিউ

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, ছাত্র—ছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন।

এসময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলমের বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সময়কার তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

ভাষার দাবিতে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণের কথা উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রস্তাবক ছিলেন জাতির পিতা। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্ক কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেটি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় স্কুলের শিক্ষক—শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলা ভাষার চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগসমূহের কথা উল্লেখ করেন। একুশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার প্রয়াসে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এছাড়া, অতিথিবৃন্দ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যে্যর ওপর আলোকপাত করেন। সবাই বাংলা ভাষার প্রসার, চর্চা ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার চর্চার জন্য ও বাঙালি সংস্কৃতির উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়সার লিটন, সহকারী শিক্ষক (বাংলা) নাছির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক (ইংরেজী) নুর মোহাম্মদ বাবুল, সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) ফরিদা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষক (গণিত) রাশেদুল হাসান ফরাজী, সহকারী শিক্ষক (স.বি) রিয়াজুল জান্নাত জেকি, নিম্নমান সহকারী মোঃ ছৈয়দ নুর, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মোঃ রবিউল হাসান রুবেল, নিরাপত্তাকর্মী শহীদুল ইসলাম, অফিস সহায়ক শওকত ওসমান, আয়া তানজিনা সুলতানা নিহারিকা, নৈশপ্রহরী আব্দুর রহিম সহ স্কুলের ছাত্র—ছাত্রী ও অভিভাবকবৃ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

যথাযোগ্য মর্যাদায় জেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, ছাত্র—ছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন।

এসময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলমের বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সেই সময়কার তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

ভাষার দাবিতে বঙ্গবন্ধু বারবার কারাবরণের কথা উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের প্রস্তাবক ছিলেন জাতির পিতা। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্ক কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং একই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সেটি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় স্কুলের শিক্ষক—শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলা ভাষার চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগসমূহের কথা উল্লেখ করেন। একুশের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার প্রয়াসে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এছাড়া, অতিথিবৃন্দ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যে্যর ওপর আলোকপাত করেন। সবাই বাংলা ভাষার প্রসার, চর্চা ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার চর্চার জন্য ও বাঙালি সংস্কৃতির উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কায়সার লিটন, সহকারী শিক্ষক (বাংলা) নাছির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক (ইংরেজী) নুর মোহাম্মদ বাবুল, সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) ফরিদা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষক (গণিত) রাশেদুল হাসান ফরাজী, সহকারী শিক্ষক (স.বি) রিয়াজুল জান্নাত জেকি, নিম্নমান সহকারী মোঃ ছৈয়দ নুর, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর মোঃ রবিউল হাসান রুবেল, নিরাপত্তাকর্মী শহীদুল ইসলাম, অফিস সহায়ক শওকত ওসমান, আয়া তানজিনা সুলতানা নিহারিকা, নৈশপ্রহরী আব্দুর রহিম সহ স্কুলের ছাত্র—ছাত্রী ও অভিভাবকবৃ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।