১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাকওয়া অবলম্বন ও সত্যনিষ্ঠদের সাথে ঐক্য

(১৮ মার্চ) ৭ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর অষ্টম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের একাদশতম পারা তিলাওয়াত করা হবে। একাদশতম পারায় রয়েছে সুরা তওবার ৯৩ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত, পূর্ণাঙ্গ সুরা ইউনুস ও সুরা হুদের প্রথম পাঁচ আয়াত।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. তাকওয়া অবলম্বন করা অর্থ অন্তরে আল্লাহর ভয় নিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা, আল্লাহর নির্দেশিত নেক কাজ করে, অসৎ কাজ থেকে বিরত থেকে জীবন পরিচালনা করা। মুসলমানদের তাকওয়া অবলম্বন ও সত্যনিষ্ঠদের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যনিষ্ঠ সাথে থাক। (সুরা তওবা: ১১৯)

২. কেউ কাফের বা মুশরিক অবস্থায় মারা গেলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, দোয়া করা জায়েজ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, নবি ও মুমিনদের জন্য শোভনীয় নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তারা আত্মীয়-স্বজন হলেও, যখন এটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। (সুরা তওবা: ১১৩)

৩. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা এক আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা ইসলামে হারাম ও গর্হিত পাপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তার ইবাদাত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? (সুরা ইউনুস: ৩)

৪. আল্লাহর ফয়সালা ও রহমতের প্রতি ভরসা এবং বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার নিকট যে ওহি অবতীর্ণ করা হয়েছে তুমি তার অনুসরণ কর আর তুমি ধৈর্য্য অবলম্বন কর যে পর্যন্ত না আল্লাহ ফয়সালা প্রদান করেন। তিনিই সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সুরা ইউনুস: ১০৯)

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
৫. মানুষ যখন গুনাহ করে, আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, তখন সে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যায়। গুনাহের জন্য অনুশোচিত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তওবা করলে বা আল্লাহর পথে ফিরলে বান্দার জন্য রয়েছে ক্ষমা ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। তাই কোনো অপরাধ হয়ে গেলে আমাদের কর্তব্য দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও সঠিক পথে ফিরে আসা। অনবরত পাপ করে যেতে থাকলে হতে পারে তওবার তওফিক হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়ে যাবে এবং সে আখেরাতে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও, আর অনুশোচনাভরে তার দিকে ফিরে এসো, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবন সামগ্রী ভোগ করতে দেবেন, আর অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি তার অনুগ্রহ দানে ধন্য করবেন। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আমি তোমাদের ওপর বড় এক কঠিন দিনের আজাবের আশংকা করছি। (সুরা হুদ: ৩)

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

তাকওয়া অবলম্বন ও সত্যনিষ্ঠদের সাথে ঐক্য

প্রকাশিত সময় : ০১:৫০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

(১৮ মার্চ) ৭ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর অষ্টম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের একাদশতম পারা তিলাওয়াত করা হবে। একাদশতম পারায় রয়েছে সুরা তওবার ৯৩ নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত, পূর্ণাঙ্গ সুরা ইউনুস ও সুরা হুদের প্রথম পাঁচ আয়াত।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. তাকওয়া অবলম্বন করা অর্থ অন্তরে আল্লাহর ভয় নিয়ে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা, আল্লাহর নির্দেশিত নেক কাজ করে, অসৎ কাজ থেকে বিরত থেকে জীবন পরিচালনা করা। মুসলমানদের তাকওয়া অবলম্বন ও সত্যনিষ্ঠদের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যনিষ্ঠ সাথে থাক। (সুরা তওবা: ১১৯)

২. কেউ কাফের বা মুশরিক অবস্থায় মারা গেলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, দোয়া করা জায়েজ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, নবি ও মুমিনদের জন্য শোভনীয় নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তারা আত্মীয়-স্বজন হলেও, যখন এটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। (সুরা তওবা: ১১৩)

৩. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা এক আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে কাউকে শরিক করা ইসলামে হারাম ও গর্হিত পাপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তার ইবাদাত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? (সুরা ইউনুস: ৩)

৪. আল্লাহর ফয়সালা ও রহমতের প্রতি ভরসা এবং বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার নিকট যে ওহি অবতীর্ণ করা হয়েছে তুমি তার অনুসরণ কর আর তুমি ধৈর্য্য অবলম্বন কর যে পর্যন্ত না আল্লাহ ফয়সালা প্রদান করেন। তিনিই সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। (সুরা ইউনুস: ১০৯)

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
৫. মানুষ যখন গুনাহ করে, আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, তখন সে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যায়। গুনাহের জন্য অনুশোচিত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তওবা করলে বা আল্লাহর পথে ফিরলে বান্দার জন্য রয়েছে ক্ষমা ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। তাই কোনো অপরাধ হয়ে গেলে আমাদের কর্তব্য দ্রুত আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও সঠিক পথে ফিরে আসা। অনবরত পাপ করে যেতে থাকলে হতে পারে তওবার তওফিক হওয়ার আগেই মৃত্যু হয়ে যাবে এবং সে আখেরাতে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও, আর অনুশোচনাভরে তার দিকে ফিরে এসো, তাহলে তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবন সামগ্রী ভোগ করতে দেবেন, আর অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনি তার অনুগ্রহ দানে ধন্য করবেন। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে আমি তোমাদের ওপর বড় এক কঠিন দিনের আজাবের আশংকা করছি। (সুরা হুদ: ৩)