০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নালায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল মিশে একাকার

কক্সবাজার শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের এডভোকেট ছালামত উল্লাহ সড়কের পাশে বিশাল নালা। যেখান দিয়ে এলাকার অধিকাংশ মানুষের বাসা বাড়ীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখন বিশাল নালাটি প্লাস্টিক বর্জ্যে দিয়ে পুরো ঠাসা । কোথাও কোথাও পলিথিনের বড় স্তূপ থাকার কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নালাটি পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য একাকার হয়ে আছে। যার ফলে সামনের বর্ষায় জলাবদ্ধতা হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। জানা যায়, প্রায় সময় এডভোকেট ছালামত উল্লাহ সড়কের এই নালাটিতে প্লাস্টিক, পলিথিনে স্তুপ থাকে। প্রতিবছর বর্ষায় এই এলাকার মানুষজনকে হাঁটু সমান কাঁদা পানিতে হাটতে হয়। পুরো বর্ষা জুড়ে এই সড়কে থাকে জলাবদ্ধতা। এমনকি গত বছরের বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এই সড়কে এবং তার আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেছেন, এই সড়কের অনেক বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা, প্লাস্টিক, পলিথিন এই নালায় ফেলছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিনিয়ত নালাটি পরিষ্কার না রাখার কারণে নালাটির বেহাল দশা।
স্থানীয় কামাল উদ্দিন বলেছেন, প্রতিনিয়ত আমরা এই নালাটিতে অপচনশীল আবর্জনা দেখতে পাই। কে বা কারা ফেলছে জানি না। তবে যা দেখেছি এই সড়কের অনেক ভাড়াটিয়া বাড়ির বেলকনিতেকে ময়লা নালায় ফেলে যার কারণে এ অবস্থা।
ওই এলাকার বাসিন্দা জসিমের বলেছেন, এটি যেহেতু বড় নালা এটা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখলে আশা করি সমস্যা হবে না। সামনে বর্ষাকালে আমদের যাতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় না পড়তে হয় সেজন্য পৌরমেয়র মহোদয়ের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ বলেছেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে সবসময় এই নালাটি পরিষ্কার রাখা হয়। কিন্তু অনেকে অসচেতনতার অভাবে বারবার নালাটিতে প্লাস্টিক, পলিথিন, বাসাবাড়ীর ময়লা আবর্জনা ফেলে। যার কারণে বারবার নালাটির এই অবস্থা হয়। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে যতদ্রুত সম্ভব আবারো নালাটি পরিষ্কার করা হবে।
সচেতন মহল বলছেন, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেললে নালা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। ফলে সামনের বর্ষায় এলাকাবাসীকেই কষ্ট পেতে হবে। তাই এখন থেকে সকলকে সচেতন হওয়া দরকার।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

নালায় পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল মিশে একাকার

প্রকাশিত সময় : ০৭:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের এডভোকেট ছালামত উল্লাহ সড়কের পাশে বিশাল নালা। যেখান দিয়ে এলাকার অধিকাংশ মানুষের বাসা বাড়ীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখন বিশাল নালাটি প্লাস্টিক বর্জ্যে দিয়ে পুরো ঠাসা । কোথাও কোথাও পলিথিনের বড় স্তূপ থাকার কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নালাটি পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য একাকার হয়ে আছে। যার ফলে সামনের বর্ষায় জলাবদ্ধতা হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। জানা যায়, প্রায় সময় এডভোকেট ছালামত উল্লাহ সড়কের এই নালাটিতে প্লাস্টিক, পলিথিনে স্তুপ থাকে। প্রতিবছর বর্ষায় এই এলাকার মানুষজনকে হাঁটু সমান কাঁদা পানিতে হাটতে হয়। পুরো বর্ষা জুড়ে এই সড়কে থাকে জলাবদ্ধতা। এমনকি গত বছরের বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতে কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এই সড়কে এবং তার আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেছেন, এই সড়কের অনেক বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা, প্লাস্টিক, পলিথিন এই নালায় ফেলছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিনিয়ত নালাটি পরিষ্কার না রাখার কারণে নালাটির বেহাল দশা।
স্থানীয় কামাল উদ্দিন বলেছেন, প্রতিনিয়ত আমরা এই নালাটিতে অপচনশীল আবর্জনা দেখতে পাই। কে বা কারা ফেলছে জানি না। তবে যা দেখেছি এই সড়কের অনেক ভাড়াটিয়া বাড়ির বেলকনিতেকে ময়লা নালায় ফেলে যার কারণে এ অবস্থা।
ওই এলাকার বাসিন্দা জসিমের বলেছেন, এটি যেহেতু বড় নালা এটা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখলে আশা করি সমস্যা হবে না। সামনে বর্ষাকালে আমদের যাতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় না পড়তে হয় সেজন্য পৌরমেয়র মহোদয়ের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ বলেছেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে সবসময় এই নালাটি পরিষ্কার রাখা হয়। কিন্তু অনেকে অসচেতনতার অভাবে বারবার নালাটিতে প্লাস্টিক, পলিথিন, বাসাবাড়ীর ময়লা আবর্জনা ফেলে। যার কারণে বারবার নালাটির এই অবস্থা হয়। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে যতদ্রুত সম্ভব আবারো নালাটি পরিষ্কার করা হবে।
সচেতন মহল বলছেন, সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেললে নালা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। ফলে সামনের বর্ষায় এলাকাবাসীকেই কষ্ট পেতে হবে। তাই এখন থেকে সকলকে সচেতন হওয়া দরকার।