‘সরকার এখন নড়বড়ে অবস্থায় আছে’ বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে এখন নেতৃত্বের টানাপোড়েন চলছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, এটি দুঃখজনক যে, বিএনপি এখন জনগণের সহযোগিতা চায় না, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়। সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটা শুরু করেছে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করছে। বিএনপি নেতারা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন এগুলো আসলে তাদের দল, তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার অত্যন্ত শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে। আওয়ামী লীগের ভীত জনগণের গভীরে প্রথিত। বরং বিএনপি এখন নড়বড়ে হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাদের ওপর তাদের কর্মীদের আস্থা নেই এবং মূল নেতৃত্বের ওপর কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থা নেই। তাদের মধ্যে এখন নেতৃত্বের টানাপোড়েন চলছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাদের ফিরিয়ে দেওয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন প্রায় ২০০ জনের মতো সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও ৩৩০ জন এসেছিল। তাদের যেভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই একই প্রক্রিয়ায় বাকিদের ফেরত পাঠাতে আমরা আলাপ—আলোচনার মধ্যে আছি। খুব সহসাই তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
‘সোমালি দস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সম্পর্কে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়া পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো পত্রিকা বা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কিছু বলতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য, নাবিকদের সুস্থভাবে এবং জাহাজটিকে অক্ষতভাবে উদ্ধার করা। আমরা সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে কাজ করে যাচ্ছি।
জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি)—তে বাংলাদেশের বরাদ্দের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ৮০০ মিলিয়ন ডলার (প্রকৃতপক্ষে ৮৫২.৪) চেয়েছি। কয়েকটি দেশ অল্পকিছু প্লেস করেছে। অন্যান্য দেশ ও সংস্থাগুলো পরবর্তীতে জানাবে। আমাদের প্রয়োজনের নিরিখে যতটুকু দরকার সে অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা করছি।
এর আগে, দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদির সাথে বৈঠক হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখানে বাংলাদেশে ইউএই’র বিনিয়োগ বাড়ানো, দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা সুযোগ—সুবিধা বাড়ানোসহ দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।