০২:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার যে ভিডিও দেখে ইফতার সামনে নিয়ে কাঁদেন মুসলিমরা

গাজা যুদ্ধ ইতোমধ্যে পাঁচ মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ চলাকালে উপত্যকায় খাবার, ওষুধ, জ্বালানিসহ জীবনধারনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যও—সামগ্রীও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে সেখানে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।

চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ছবি। যেখানে দেখা যায়— সারাদিন রোজা রাখার পর পশুর খাবার ঘাসের সঙ্গে লেবু দিয়ে ইফতার করছে ফিলিস্তিনের একটি পরিবার। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই ভিডিও ও ছবির মাধ্যমে ফুটে ওঠে— গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। নির্যাতিত ভাইদের এমন অসহায় রূপ দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বিশ্বের ১৯০ কোটি মুসলমানের। অনেকেই জানান, এ দৃশ্য দেখার পরে ইফতার সামনে নিয়ে কান্না করেছেন তারা।

ছবিগুলো সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন করেন, ক্ষুধার তাড়নায় ফিলিস্তিনিরা যে ঘাস খাচ্ছেন, সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর কি না? চিকিৎসকরা বলছেন, ঘাস বিষাক্ত কোনো কিছু নয়। কিন্তু এটি মানুষের জন্য ভালোও নয়। বিশেষ করে যদি দীর্ঘদিন খাওয়া হয়।

কারণ, পানি আর লিগনিনের সমন্বয়ে তৈরি ঘাস। লিগনিন এমন একটি প্রোটিন যা মানুষের পাচনতন্ত্রের জন্য ভাঙা কঠিন। প্রাণীর জন্য, যেমন গরু, ঘাস খাওয়া কোনো সমস্যা নয়। কারণ তাদের পাচনতন্ত্র এটি সহ্য করতে পারে। কিন্তু ঘাসে অতিরিক্ত পরিমাণ সেলুলোস থাকার অর্থ হলো মানুষের জন্য এটির কোনো পুষ্ঠিগত উপকারিতা নেই।

এ ছাড়া মানুষের দাঁতের জন্য ঘাস ক্ষতিকর। কারণ ঘাসে প্রচুর পরিমাণ সিলিকা বা বালু থাকে। যা ধীরে ধীরে দাঁত নষ্ট করে ফেলতে পারে। কিন্তু প্রাণীর দাঁত এমনভাবে তৈরি যে এই সিলিকা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
পাশাপাশি ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ময়লাও থাকে। অনেক জায়গায় ঘাসে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ঘাস খেলে মানবদেহে ক্যান্সার ও সন্তান জন্মদানগত সমস্যা হতে পারে।

ঘাস যেহেতু মানব দেহের পাচনতন্ত্র ভাঙতে পারে না, ফলে এর কারণে বমি ও ডায়রিয়াও হতে পারে। আর বেশিরভাগ ঘাসই হজম হয় না। ফলে এ থেকে কোনো পুষ্টিই পায় না মানুষ।

এদিকে, গাজার এক পরিবার সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইয়ের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তারা ঘাস তুলে সেগুলো বাধ্য হয়ে রান্না করে খাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘাস হলেও শিশুদের সঙ্গে তারা মিথ্যা বলেন। শিশুদের তারা বলে থাকেন এগুলো মুলুখেয়া। যেটি উদ্ভিদ বিশেষ একটি খাবার।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

গাজার যে ভিডিও দেখে ইফতার সামনে নিয়ে কাঁদেন মুসলিমরা

প্রকাশিত সময় : ০২:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

গাজা যুদ্ধ ইতোমধ্যে পাঁচ মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ চলাকালে উপত্যকায় খাবার, ওষুধ, জ্বালানিসহ জীবনধারনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্যও—সামগ্রীও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে সেখানে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।

চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয় একটি ছবি। যেখানে দেখা যায়— সারাদিন রোজা রাখার পর পশুর খাবার ঘাসের সঙ্গে লেবু দিয়ে ইফতার করছে ফিলিস্তিনের একটি পরিবার। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই ভিডিও ও ছবির মাধ্যমে ফুটে ওঠে— গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। নির্যাতিত ভাইদের এমন অসহায় রূপ দেখে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বিশ্বের ১৯০ কোটি মুসলমানের। অনেকেই জানান, এ দৃশ্য দেখার পরে ইফতার সামনে নিয়ে কান্না করেছেন তারা।

ছবিগুলো সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন করেন, ক্ষুধার তাড়নায় ফিলিস্তিনিরা যে ঘাস খাচ্ছেন, সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর কি না? চিকিৎসকরা বলছেন, ঘাস বিষাক্ত কোনো কিছু নয়। কিন্তু এটি মানুষের জন্য ভালোও নয়। বিশেষ করে যদি দীর্ঘদিন খাওয়া হয়।

কারণ, পানি আর লিগনিনের সমন্বয়ে তৈরি ঘাস। লিগনিন এমন একটি প্রোটিন যা মানুষের পাচনতন্ত্রের জন্য ভাঙা কঠিন। প্রাণীর জন্য, যেমন গরু, ঘাস খাওয়া কোনো সমস্যা নয়। কারণ তাদের পাচনতন্ত্র এটি সহ্য করতে পারে। কিন্তু ঘাসে অতিরিক্ত পরিমাণ সেলুলোস থাকার অর্থ হলো মানুষের জন্য এটির কোনো পুষ্ঠিগত উপকারিতা নেই।

এ ছাড়া মানুষের দাঁতের জন্য ঘাস ক্ষতিকর। কারণ ঘাসে প্রচুর পরিমাণ সিলিকা বা বালু থাকে। যা ধীরে ধীরে দাঁত নষ্ট করে ফেলতে পারে। কিন্তু প্রাণীর দাঁত এমনভাবে তৈরি যে এই সিলিকা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।
পাশাপাশি ঘাসে প্রচুর পরিমাণ ময়লাও থাকে। অনেক জায়গায় ঘাসে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ঘাস খেলে মানবদেহে ক্যান্সার ও সন্তান জন্মদানগত সমস্যা হতে পারে।

ঘাস যেহেতু মানব দেহের পাচনতন্ত্র ভাঙতে পারে না, ফলে এর কারণে বমি ও ডায়রিয়াও হতে পারে। আর বেশিরভাগ ঘাসই হজম হয় না। ফলে এ থেকে কোনো পুষ্টিই পায় না মানুষ।

এদিকে, গাজার এক পরিবার সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইয়ের সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তারা ঘাস তুলে সেগুলো বাধ্য হয়ে রান্না করে খাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘাস হলেও শিশুদের সঙ্গে তারা মিথ্যা বলেন। শিশুদের তারা বলে থাকেন এগুলো মুলুখেয়া। যেটি উদ্ভিদ বিশেষ একটি খাবার।