০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদগাঁওতে ছেলের আগুনে পুড়ল পিতার ঘর !

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ৭৬ ভিউ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ছেলের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পিতার ঘর। নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর ছেলে লাঠি হাতে নিয়ে পাহারা দিয়েছে, যাতে পাড়া-প্রতিবেশীরা আগুন নিভাতে এগিয়ে আসতে না পারে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকাল ৪ টায় অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামে। আর এতে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে পিতা জামাল উদ্দীনের বসত বাড়ী। অবশ্য শেষ মূহুর্তে পাড়া প্রতিবেশীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ওসমান। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই।
স্হানীয় ইউপি মেম্বার হেলাল উদ্দিন দৈনিক নয়া দিগন্ত’কে জানান, গৃহকর্তার বড় ছেলে ওসমান গণি একটি অটোরিকশার গ্যারেজে চাকরীর সুবাদে কক্সবাজার শহরে থাকে। তার স্ত্রীর সাথে পিতা-মাতার মনোমালিন্য হওয়ায় স্ত্রী কিছুদিন বাপের বাড়ীতে ছিল।
আজ দুপুরের পরে ওসমানের স্ত্রী বাপের বাড়ী থেকে শশুর বাড়ীতে এলে শশুর তাকে বাড়ীতে ঢুকতে দেয়নি। তখন স্ত্রী ওসমানকে ফোন করলে সে বাড়ীতে এসে পিতার সাথে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয় ও একপর্যায়ে বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ইউপি মেম্বার হেলাল আরো বলেন, ওসমান বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর লাঠি হাতে নিয়ে পাহারা দেয়, যাতে আগুন নিভাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারে। এতে কাঠ ও টিন নির্মিত বাড়ীটি অল্প সময়ের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওসমান পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে। এ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

ঈদগাঁওতে ছেলের আগুনে পুড়ল পিতার ঘর !

প্রকাশিত সময় : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ছেলের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পিতার ঘর। নিজেদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর ছেলে লাঠি হাতে নিয়ে পাহারা দিয়েছে, যাতে পাড়া-প্রতিবেশীরা আগুন নিভাতে এগিয়ে আসতে না পারে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকাল ৪ টায় অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নাইক্ষ্যংদিয়া গ্রামে। আর এতে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে পিতা জামাল উদ্দীনের বসত বাড়ী। অবশ্য শেষ মূহুর্তে পাড়া প্রতিবেশীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ওসমান। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই।
স্হানীয় ইউপি মেম্বার হেলাল উদ্দিন দৈনিক নয়া দিগন্ত’কে জানান, গৃহকর্তার বড় ছেলে ওসমান গণি একটি অটোরিকশার গ্যারেজে চাকরীর সুবাদে কক্সবাজার শহরে থাকে। তার স্ত্রীর সাথে পিতা-মাতার মনোমালিন্য হওয়ায় স্ত্রী কিছুদিন বাপের বাড়ীতে ছিল।
আজ দুপুরের পরে ওসমানের স্ত্রী বাপের বাড়ী থেকে শশুর বাড়ীতে এলে শশুর তাকে বাড়ীতে ঢুকতে দেয়নি। তখন স্ত্রী ওসমানকে ফোন করলে সে বাড়ীতে এসে পিতার সাথে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয় ও একপর্যায়ে বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ইউপি মেম্বার হেলাল আরো বলেন, ওসমান বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার পর লাঠি হাতে নিয়ে পাহারা দেয়, যাতে আগুন নিভাতে কেউ এগিয়ে আসতে না পারে। এতে কাঠ ও টিন নির্মিত বাড়ীটি অল্প সময়ের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওসমান পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে। এ অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।