১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তি পেলেন ব্যারিস্টার কাজল

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

মুক্তি পাওয়ার পর ব্যারিস্টার কাজল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত ছিল। আমিসহ আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের বিজয় ঠেকাতে আমাকে গ্রেপ্তার করে ফলাফল ডাকাতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিগত দুই বছর ভোট ছাড়াই সমিতি অবৈধভাবে দখলে ছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপট তৈরি হয়। ভোট গণনা কখন হবে তা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে যুবলীগের আইনজীবী ও বহিরাগত নেতাকর্মী সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে।

এ সময় নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ পুরো অবস্থার ভিডিও করতে থাকেন। যুবলীগের বেশ কয়েকজন এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান (এস আর) চৌধুরী সাইফের ওপর চড়াও হন। মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আইনজীবী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়।

মারামারি এ ঘটনার জন্য সমিতির সম্পাদক প্রার্থী ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে দায়ী করেন আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। তিনি বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ৮ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথিকে এক নম্বর আসামি করেন।

এ ছাড়াও বিএনপি সমর্থক সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলার দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া একই দিন রাতে যুথীর বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরের দিন গত ৯ মার্চ দুপুরে সমিতির ভোট গণনা শুরু হয়। ওই দিনসন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গতকাল বুধবার ব্যারিস্টার কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

মুক্তি পেলেন ব্যারিস্টার কাজল

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

মুক্তি পাওয়ার পর ব্যারিস্টার কাজল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত ছিল। আমিসহ আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের বিজয় ঠেকাতে আমাকে গ্রেপ্তার করে ফলাফল ডাকাতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিগত দুই বছর ভোট ছাড়াই সমিতি অবৈধভাবে দখলে ছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপট তৈরি হয়। ভোট গণনা কখন হবে তা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে যুবলীগের আইনজীবী ও বহিরাগত নেতাকর্মী সমিতি মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে।

এ সময় নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফ পুরো অবস্থার ভিডিও করতে থাকেন। যুবলীগের বেশ কয়েকজন এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান (এস আর) চৌধুরী সাইফের ওপর চড়াও হন। মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত সাতজন আইনজীবী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়।

মারামারি এ ঘটনার জন্য সমিতির সম্পাদক প্রার্থী ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিকে দায়ী করেন আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। তিনি বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ৮ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় নাহিদ সুলতানা যুথিকে এক নম্বর আসামি করেন।

এ ছাড়াও বিএনপি সমর্থক সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলার দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া একই দিন রাতে যুথীর বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরের দিন গত ৯ মার্চ দুপুরে সমিতির ভোট গণনা শুরু হয়। ওই দিনসন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গতকাল বুধবার ব্যারিস্টার কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।