নারীরা পিরিয়ড বা মাসিক অবস্থায় থাকলেও ওমরাহর ইহরাম বাঁধতে পারবে, তালবিয়াও পড়তে পারবে। তবে এ অবস্থায় তাওয়াফ করা ও নামাজ পড়া জায়েজ হবে না। ইহরাম বাধার পর নারীরা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে। পিরিয়ড বন্ধ হলে তাওয়াফ ও সাঈ করে ওমরাহ সম্পন্ন করবে। ইহরাম বাধার পর তাওয়াফের আগে পিরিয়ড শুরু হলেও একই হুকুম।
যদি সফরের সময়কাল শেষ হয়ে আসে, কিন্তু পিরিয়ড বন্ধ না হয়, তাহলে সফরের শেষ দিকে ওই অবস্থায়ই ওমরাহর তাওয়াফ করে নেবে। তারপর ওমরাহর সাঈ করবে এবং চুল কেটে হালাল হয়ে যাবে। আর অপবিত্র অবস্থায় ওমরাহর তাওয়াফ করার কারণে একটি দম দেবে। অর্থাৎ হারাম এলাকায় একটি ছাগল বা দুম্বা জবাই করবে।
ওমরাহর তাওয়াফ করে ফেলার পর যদি কোনো নারীর পিরিয়ড শুরু হয়, তাহলে সে সাঈসহ ওমরাহর অন্যান্য কাজ পিরিয়ড অবস্থায়ই করতে পারবে।