০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিলংজার পূর্ব লারপাড়ায় জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ০২:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • ৯৭ ভিউ

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লার পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী শামশু মিয়া ২৬/০৮/২০০৬ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করলে ওয়ারিশ তাহার পুত্র কমরুদ্দিন জোত বন্দোবস্তি জমি প্রাপ্ত হয়। ২০০৮ সাল থেকে কমরুদ্দিন বাংলাদেশ নৌ—বাহিনীতে কর্মরত থাকাবস্থায় উক্ত জমি জবর দখল করে একই এলাকার মুসলিম মিয়ার পুত্র আলী আকবর (৫৫), আলী আকবরের স্ত্রী নুর মহাল বেগম, আলী আকবরের কন্যা আইরিন (২৫), পিংকি (২০) সহ তাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন এলাকার চিহ্নিত জবর দখলকারীরা জোর পূর্বক জমি দখলে নিতে মরিয়া হঠে উঠেছে। জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার জোত বন্দোবস্তি আর.এস ১৯৪০/৪১ইং তারিখের ১৩৩নং বন্দোবস্তি মূলে প্রাপ্ত জমি হয়। যাহার আর.এস—১২২৪/২৪৩ নং খতিয়ানের আর.এস ৯৮২/৯০৪০ নং এর এম.আর.আর ১৮৯১ নং বি. এস দাগ নং—১৭৪৬৭, অপর ১৯৫/১৯৯৬ইং নং মামলার বিগত ১২/০১/২০০২ইং তারিখে দোতরফা সূত্রে প্রাপ্ত রায়ডিক্রি মূলে ৩৯ (ঊনচল্লিশ) শতক জমি কমরুদ্দিন প্রাপ্ত হয়। উক্ত জবরদখলকারীরা কমরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউপি মামলা নং—১২২/২০০৮ইং নং মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই—বাছাই পূর্বক কমরুদ্দিনের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
উক্ত জবর দখলকারী ও তাদের সহযোগীরা কমরুদ্দিন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় উক্ত দখলকারীরা বিভিন্ন সময় তার পৈত্রিক জমি কেড়ে নিতে পরপর কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল। উক্ত জমি নিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজস্ব আদালতে নামজারী আপীল মামলা নং— ১৮১/২০২৩ইং চলমান আছে এবং বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিগত ২০/০১/২০২৪ইং তারিখের ০২নং আদেশ মূলে উক্ত আসামীগণের সৃজিত নামজারী খতিয়ান নং—১১৮৮৯ এর বিরদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। যাহা অদ্যাবধি বলবৎ আছে।
এছাড়া উক্ত জমি বাবদে কমরুদ্দিনের পিতার দায়েরকৃত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে উচ্চারণের প্রার্থনায় সরকারের বিরুদ্ধে অপর ১৯৫/১৯৯৬ নং গত ১২/০১/২০০২ইং তারিখে দোতরক্ষা সূত্রে কমরুদ্দিনের পিতার পক্ষে রায় প্রদান করেন। যাহা পরবর্তীতে সরকার পক্ষে অপর আপীল মামলা নং— ১৮/২০০২ইং দায়ের করা হইলেও তাহা উক্ত জমিতে উপরোক্ত জবর দখলকারীদের কোন ধরণের স্বার্থ না থাকা স্বত্বেও তাহারা সম্পূর্ণ অন্যায় লোভের বশবর্তী হইয়া দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জায়গা জোরপূর্বক জবর দখলের বেআইনী অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। উক্ত দখলকারীদের সহযোগীদের সহায়তায় জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় এবং বিজ্ঞ আদালতের আদেশ, নির্দেশকে বৃদাঙ্গুলী দেখিয়ে তপশীলোক্ত জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং উক্ত জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করে আসছে। এতে কমরুদ্দিন বাধা প্রদান করলে উক্ত সন্ত্রাসীরা তাহার বাধাকে উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইহারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ০৭/০৩/২০২৪ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২ টার সময় আসামীদের সহযোগি অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের সহায়তায় ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব পারপাড়া এলাকাস্থ কমরুদ্দিনের মালিকানাধীন জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে।
আরো জানা যায়, উক্ত জবরদখলকারীরা কমরুদ্দিনের পক্ষে রায় ডিক্রি প্রচারিত হইলেও উক্ত রায়ডিক্রি কপি গোপন করে কমরুদ্দিনের জমি দখলে নিয়েছে। যার বিরুদ্ধে কমরুদ্দিন স্থানীয় গণ্যমান্য সহ আইনানুগ আশ্রয় গ্রহণ করলে, ইহাতেও গত ২৩/০৬/২০০৮ইং তারিখের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে কমরুদ্দিনের পক্ষে হয়।
উক্ত জায়গায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের কাজ চালালে বাধা প্রদান করলে তাহারা কমরুদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত: হুমকি দেয় যে, তাহারা উক্ত জায়গা জবর দখল করিবে, তাহাদেরকে ঘর নির্মাণ কাজে কেহ বাবা প্রদান করলে মারিবে, কাটিবে, খুন—খারাবী করিবে ইত্যাদি করিবে। তপশীলোক্ত জমিতে উক্ত জবরদখলকারীদের কোন ধরনের স্বত্ব— না থাকা স্বত্ত্বেও তাহারা সম্পূর্ণ অন্যায় লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায়া এহেন বেআইনী কর্মকান্ডে লিপ্ত রহিয়াছে। ইহার ফলে যে কোন সময় তপশীলোক্ত জমিতে শান্তিভঙ্গের আশংকা রয়েছে বলে কমরুদ্দিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশু মিয়ার পরিবাকে উক্ত দখলকারীরা হুমকি ধমকি দিচ্ছে যে, এব্যাপারে যেকোন ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, ঘটনাস্থলে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘঠিত হবে মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। তাই কমরুদ্দিন ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই এব্যাপারে কমরুদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ঝিলংজার পূর্ব লারপাড়ায় জোরপূর্বক জমি জবর দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লার পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী শামশু মিয়া ২৬/০৮/২০০৬ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করলে ওয়ারিশ তাহার পুত্র কমরুদ্দিন জোত বন্দোবস্তি জমি প্রাপ্ত হয়। ২০০৮ সাল থেকে কমরুদ্দিন বাংলাদেশ নৌ—বাহিনীতে কর্মরত থাকাবস্থায় উক্ত জমি জবর দখল করে একই এলাকার মুসলিম মিয়ার পুত্র আলী আকবর (৫৫), আলী আকবরের স্ত্রী নুর মহাল বেগম, আলী আকবরের কন্যা আইরিন (২৫), পিংকি (২০) সহ তাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন এলাকার চিহ্নিত জবর দখলকারীরা জোর পূর্বক জমি দখলে নিতে মরিয়া হঠে উঠেছে। জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার জোত বন্দোবস্তি আর.এস ১৯৪০/৪১ইং তারিখের ১৩৩নং বন্দোবস্তি মূলে প্রাপ্ত জমি হয়। যাহার আর.এস—১২২৪/২৪৩ নং খতিয়ানের আর.এস ৯৮২/৯০৪০ নং এর এম.আর.আর ১৮৯১ নং বি. এস দাগ নং—১৭৪৬৭, অপর ১৯৫/১৯৯৬ইং নং মামলার বিগত ১২/০১/২০০২ইং তারিখে দোতরফা সূত্রে প্রাপ্ত রায়ডিক্রি মূলে ৩৯ (ঊনচল্লিশ) শতক জমি কমরুদ্দিন প্রাপ্ত হয়। উক্ত জবরদখলকারীরা কমরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউপি মামলা নং—১২২/২০০৮ইং নং মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই—বাছাই পূর্বক কমরুদ্দিনের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
উক্ত জবর দখলকারী ও তাদের সহযোগীরা কমরুদ্দিন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় উক্ত দখলকারীরা বিভিন্ন সময় তার পৈত্রিক জমি কেড়ে নিতে পরপর কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল। উক্ত জমি নিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজস্ব আদালতে নামজারী আপীল মামলা নং— ১৮১/২০২৩ইং চলমান আছে এবং বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিগত ২০/০১/২০২৪ইং তারিখের ০২নং আদেশ মূলে উক্ত আসামীগণের সৃজিত নামজারী খতিয়ান নং—১১৮৮৯ এর বিরদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। যাহা অদ্যাবধি বলবৎ আছে।
এছাড়া উক্ত জমি বাবদে কমরুদ্দিনের পিতার দায়েরকৃত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে উচ্চারণের প্রার্থনায় সরকারের বিরুদ্ধে অপর ১৯৫/১৯৯৬ নং গত ১২/০১/২০০২ইং তারিখে দোতরক্ষা সূত্রে কমরুদ্দিনের পিতার পক্ষে রায় প্রদান করেন। যাহা পরবর্তীতে সরকার পক্ষে অপর আপীল মামলা নং— ১৮/২০০২ইং দায়ের করা হইলেও তাহা উক্ত জমিতে উপরোক্ত জবর দখলকারীদের কোন ধরণের স্বার্থ না থাকা স্বত্বেও তাহারা সম্পূর্ণ অন্যায় লোভের বশবর্তী হইয়া দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জায়গা জোরপূর্বক জবর দখলের বেআইনী অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। উক্ত দখলকারীদের সহযোগীদের সহায়তায় জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় এবং বিজ্ঞ আদালতের আদেশ, নির্দেশকে বৃদাঙ্গুলী দেখিয়ে তপশীলোক্ত জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং উক্ত জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ করে আসছে। এতে কমরুদ্দিন বাধা প্রদান করলে উক্ত সন্ত্রাসীরা তাহার বাধাকে উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রেখেছে। ইহারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত ০৭/০৩/২০২৪ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২ টার সময় আসামীদের সহযোগি অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের সহায়তায় ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব পারপাড়া এলাকাস্থ কমরুদ্দিনের মালিকানাধীন জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে।
আরো জানা যায়, উক্ত জবরদখলকারীরা কমরুদ্দিনের পক্ষে রায় ডিক্রি প্রচারিত হইলেও উক্ত রায়ডিক্রি কপি গোপন করে কমরুদ্দিনের জমি দখলে নিয়েছে। যার বিরুদ্ধে কমরুদ্দিন স্থানীয় গণ্যমান্য সহ আইনানুগ আশ্রয় গ্রহণ করলে, ইহাতেও গত ২৩/০৬/২০০৮ইং তারিখের ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে কমরুদ্দিনের পক্ষে হয়।
উক্ত জায়গায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের কাজ চালালে বাধা প্রদান করলে তাহারা কমরুদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত: হুমকি দেয় যে, তাহারা উক্ত জায়গা জবর দখল করিবে, তাহাদেরকে ঘর নির্মাণ কাজে কেহ বাবা প্রদান করলে মারিবে, কাটিবে, খুন—খারাবী করিবে ইত্যাদি করিবে। তপশীলোক্ত জমিতে উক্ত জবরদখলকারীদের কোন ধরনের স্বত্ব— না থাকা স্বত্ত্বেও তাহারা সম্পূর্ণ অন্যায় লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায়া এহেন বেআইনী কর্মকান্ডে লিপ্ত রহিয়াছে। ইহার ফলে যে কোন সময় তপশীলোক্ত জমিতে শান্তিভঙ্গের আশংকা রয়েছে বলে কমরুদ্দিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শামশু মিয়ার পরিবাকে উক্ত দখলকারীরা হুমকি ধমকি দিচ্ছে যে, এব্যাপারে যেকোন ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, ঘটনাস্থলে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘঠিত হবে মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। তাই কমরুদ্দিন ও তার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই এব্যাপারে কমরুদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।