০১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২৮০০ ছাড়াল

গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা এখনো চলছে। ইতিমধ্যে অঞ্চলটিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৬৩ জন নিহত এবং ৯৪ জন আহত হয়েছে।

এতে ৭ অক্টোবর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে অন্তত ৩২ হাজার ৮৪৫ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে মোট ৭৫ হাজার ৩৯২ জন।
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কয়েক ঘণ্টা পর এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দুই সপ্তাহের অভিযানে বড় ধরনের লড়াই হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির একজন মুখপাত্র এদিন বলেছেন, দুই সপ্তাহের অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ও এর আশপাশে প্রায় ৩০০ জনকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছিল, তৎপরতা শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের এলাকায় প্রায় ২০০ ‘সন্ত্রাসীকে’ নির্মূল করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালায়। তেল আবিবের হিসাবে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। হামলার পর থেকেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ করেছে। সেখানকার জনগণ, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনাহারের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

এদিকে জাতিসংঘের মতে, গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধের কারণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২৮০০ ছাড়াল

প্রকাশিত সময় : ০১:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা এখনো চলছে। ইতিমধ্যে অঞ্চলটিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৬৩ জন নিহত এবং ৯৪ জন আহত হয়েছে।

এতে ৭ অক্টোবর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে অন্তত ৩২ হাজার ৮৪৫ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে মোট ৭৫ হাজার ৩৯২ জন।
মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছতে পারছেন না।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কয়েক ঘণ্টা পর এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দুই সপ্তাহের অভিযানে বড় ধরনের লড়াই হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির একজন মুখপাত্র এদিন বলেছেন, দুই সপ্তাহের অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ও এর আশপাশে প্রায় ৩০০ জনকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছিল, তৎপরতা শুরু হওয়ার পর থেকে হাসপাতালের এলাকায় প্রায় ২০০ ‘সন্ত্রাসীকে’ নির্মূল করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আন্তঃসীমান্ত হামলা চালায়। তেল আবিবের হিসাবে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে। হামলার পর থেকেই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলটিকে অবরুদ্ধ করেছে। সেখানকার জনগণ, বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনাহারের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

এদিকে জাতিসংঘের মতে, গাজার ওপর ইসরায়েলি যুদ্ধের কারণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।