০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী ২৩টি সংগঠন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বন ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নিহত সাজাদুজ্জামান ও মো. ইউসুফের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা নিশ্চিত, বনভূমি সুরক্ষায় ভূমিদস্যুদের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বনভূমি, পাহাড় ও নদী রক্ষায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

বাপা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা পারভীন, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, অরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান, গ্রিন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রসুল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের পরিচালক গাউস পিয়ারী, আরডিআরএসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, গ্রিন সেভার্সের সভাপতি আহসান রনি, বারসিকের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, জন উদ্যোগের তারিক হোসেন মিঠুল, সিজিইডির সভাপতি, মো. আব্দুল ওহাব এবং প্রয়াত সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবার সদস্যরা (বাবা, মা, বড় ভাই, স্ত্রী ও তাঁর আট মাসের কন্যাসন্তান)।

কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এই মামলার একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে ইউসুফ নামে আরো এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

আমি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বনখেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমাদের সকল কর্মচারী কর্মকর্তা দিগুণ শক্তিতে কাজ শুরু করেছে। আমরা আর কোনো ইউসুফ ও সাজ্জাদুজ্জামানকে হারাতে চাই না।’ এ জন্য বনরক্ষকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, বন, পাহাড় ও পরিবেশ রক্ষা না হলে মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই দেশের বন-পাহাড় ও পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। মুষ্টিমেয় লোকের হাতে দেশের বন-পাহাড়-নদী জিম্মি। এই জিম্মিদশা থেকে পরিবেশকে মুক্ত করতে হবে। সাজাদুজ্জামানের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশিত সময় : ০২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী ২৩টি সংগঠন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বন ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নিহত সাজাদুজ্জামান ও মো. ইউসুফের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা নিশ্চিত, বনভূমি সুরক্ষায় ভূমিদস্যুদের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বনভূমি, পাহাড় ও নদী রক্ষায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

বাপা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা পারভীন, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, অরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান, গ্রিন ভয়েসের সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রসুল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের পরিচালক গাউস পিয়ারী, আরডিআরএসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, গ্রিন সেভার্সের সভাপতি আহসান রনি, বারসিকের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, জন উদ্যোগের তারিক হোসেন মিঠুল, সিজিইডির সভাপতি, মো. আব্দুল ওহাব এবং প্রয়াত সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবার সদস্যরা (বাবা, মা, বড় ভাই, স্ত্রী ও তাঁর আট মাসের কন্যাসন্তান)।

কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমার কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এই মামলার একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এর আগে ইউসুফ নামে আরো এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

আমি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বনখেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমাদের সকল কর্মচারী কর্মকর্তা দিগুণ শক্তিতে কাজ শুরু করেছে। আমরা আর কোনো ইউসুফ ও সাজ্জাদুজ্জামানকে হারাতে চাই না।’ এ জন্য বনরক্ষকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, বন, পাহাড় ও পরিবেশ রক্ষা না হলে মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই দেশের বন-পাহাড় ও পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। মুষ্টিমেয় লোকের হাতে দেশের বন-পাহাড়-নদী জিম্মি। এই জিম্মিদশা থেকে পরিবেশকে মুক্ত করতে হবে। সাজাদুজ্জামানের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।