কক্সবাজার শহরে নামে—বেনামে পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছে কিছু অসাধু, কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী। কিন্তু এ মহৎ পেশায় নিয়োজিত থেকে করে যাচ্ছে অবৈধ মাদক কারবারসহ নানান অপরাধ। কেউ প্রতিবাদ করলেই গণমাধ্যমের ভয় দেখানো হয়। এতে করে সুশীল সমাজের সম্মানি ব্যক্তিগণের সম্মানহানীর দিক বিবেচনা করে নিরবে সহ্য করে যায়। কিন্তু থেমে নেই তাদের এমন অপকর্ম।
তারই ধারাবাহিকতায় শিরোনামে উঠে এসেছে এক ভয়ংকর সাংবাদিক পরিচয়ধারী অপসাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না এক ব্যক্তির নাম। তাকে গেল কয়েক মাস আগেও কক্সবাজার শহরের ০১নং ওয়ার্ডে চাঁদা দাবীর অভিযোগে এলাকাবাসীরা ধৃত করে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে তাকে কক্সবাজার থানা পুলিশ কতৃক জেল হাজতে প্রেরণ করে দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে পূণরায় নেমে পড়ে চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্মে। সে কোনভাবেই থামেনি এসব অপকর্ম থেকে। এবার র্যাব পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবীসহ অনিয়ম অপরাধ করার কারণে র্যাব প্রশাসন কর্তৃক তাকে নজরদারীতে রেখে সর্বশেষ ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) মনসুর আলম মুন্নাকে গ্রেফতার করেন র্র্যাব। সে বার বার র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৫ কক্সবাজার।
র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি কথিত সাংবাদিক “মুন্না” গ্রেফতার করায় প্রকৃত সাংবাদিক সমাজের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। কারণ সে কোথাও না কোথাও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে অপতৎপরতা চালিয়েছিল। তাই এমন অপকর্মের মূলহুতা যেন ভবিষ্যতে কক্সবাজার শহরে আর ভেঙ্গের ছাতার মতো সাংবাদিক পরিচয়ধারী অপসাংবাদিকতা করতে না পারে, তার জন্য কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারসহ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে সূত্রে জানা যায়।