ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক দীর্ঘ একমাস পর মুক্তি পেয়েছেন। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জাহাজটির মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জিম্মিদশা থেকে জাহাজসহ সব নাবিক শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মুক্তি পেয়েছেন। জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখন দুবাইয়ের দিকে রওনা দিয়েছে। আজ (রবিবার) দুপুর ১২টায় কেএসআরএমের আগ্রাবাদের করপোরেট কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’ এদিকে, কীভাবে বা কত টাকার বিনিময়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ নাবিকরা জলদস্যুর কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন তা জানা যায়নি।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, ওই জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এই কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। ভাড়ার বিনিময়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের আমদানিকারকের কাছে কয়লা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল এমভি আবদুল্লাহর।
এস আর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয় জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ।