০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি অস্ত্রকে বাচ্চাদের খেলনা বললেন হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান

চলমান গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলি অস্ত্র নিয়ে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। শুধু তাই নয় গেল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানের আকাশে যেসব ড্রোন অনুপ্রবেশ করেছে তার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। যেখানে তেল আবিবের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি ছিল তেহরানের সেখানে এমন রহস্যজনক আচরণের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। এ হামলা ও ইসরায়েলি অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে ঠিক কী ভাবছেন ইরানি কর্মকর্তারা?

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার ভোরের হামলার পেছনে ইসরায়েলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, এ হামলায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা অনেকটা বাচ্চাদের খেলনার মতো।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য, গত রাতে যা ঘটেছে তা কোনো হামলা নয়। এগুলো অনেকটা ইরানি বাচ্চাদের খেলনার মতো, কোনো ড্রোন নয়। এ সময় ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা না করলে ইরানও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না বলে জানান আমির আব্দুল্লাহিয়ান। এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা করে, তাহলে তার জবাব হবে দ্রুত এবং কঠোর।

গেল ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর তিন শীর্ষ জেনারেলসহ অন্তত ৮ সামরিক কর্মকর্তাতে হত্যা করে ইসরায়েল। জবাবে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। পাল্টা জবাবে ইরানে ড্রোন হামলা চালায় তেল আবিব। যদিও দুটি হামলার কোনোটিরই দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েলি বাহিনী।

আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানান, ইসরায়েলি ভূখন্ডে হামলাটি ছিল সতর্কবার্তাস্বরূপ। তেহরান চাইলে তেল আবিব ও হাইফাতেও আক্রমণ করতে পারে, এমনকি ইসরায়েলি অর্থনৈতিক বন্দরে হামলার সক্ষমতাও রয়েছে ইরানি বাহিনীর। তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিন্দুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি না করেই শুধু সামরিক সতর্কবার্তা হিসেবে এ হামলা চালিয়েছে তেহরান।

যদিও ইরানের হামলার পর আমেরিকা ও পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে এমন কোনো আচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল যাতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়। সেই পরামর্শ মেনে ইরানে ড্রোন পাঠিয়ে সর্বনিম্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেল আবিব। ইরানও এ অনুপ্রবেশকে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা না করে আপাতত সংঘাত এড়ানোর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

ইসরায়েলি অস্ত্রকে বাচ্চাদের খেলনা বললেন হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান

প্রকাশিত সময় : ১২:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

চলমান গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলি অস্ত্র নিয়ে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। শুধু তাই নয় গেল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানের আকাশে যেসব ড্রোন অনুপ্রবেশ করেছে তার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। যেখানে তেল আবিবের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি ছিল তেহরানের সেখানে এমন রহস্যজনক আচরণের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। এ হামলা ও ইসরায়েলি অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে ঠিক কী ভাবছেন ইরানি কর্মকর্তারা?

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার ভোরের হামলার পেছনে ইসরায়েলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, এ হামলায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা অনেকটা বাচ্চাদের খেলনার মতো।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য, গত রাতে যা ঘটেছে তা কোনো হামলা নয়। এগুলো অনেকটা ইরানি বাচ্চাদের খেলনার মতো, কোনো ড্রোন নয়। এ সময় ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা না করলে ইরানও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না বলে জানান আমির আব্দুল্লাহিয়ান। এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা করে, তাহলে তার জবাব হবে দ্রুত এবং কঠোর।

গেল ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর তিন শীর্ষ জেনারেলসহ অন্তত ৮ সামরিক কর্মকর্তাতে হত্যা করে ইসরায়েল। জবাবে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। পাল্টা জবাবে ইরানে ড্রোন হামলা চালায় তেল আবিব। যদিও দুটি হামলার কোনোটিরই দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েলি বাহিনী।

আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানান, ইসরায়েলি ভূখন্ডে হামলাটি ছিল সতর্কবার্তাস্বরূপ। তেহরান চাইলে তেল আবিব ও হাইফাতেও আক্রমণ করতে পারে, এমনকি ইসরায়েলি অর্থনৈতিক বন্দরে হামলার সক্ষমতাও রয়েছে ইরানি বাহিনীর। তবে বেসামরিক নাগরিকদের বিন্দুমাত্র ক্ষয়ক্ষতি না করেই শুধু সামরিক সতর্কবার্তা হিসেবে এ হামলা চালিয়েছে তেহরান।

যদিও ইরানের হামলার পর আমেরিকা ও পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে এমন কোনো আচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল যাতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়। সেই পরামর্শ মেনে ইরানে ড্রোন পাঠিয়ে সর্বনিম্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেল আবিব। ইরানও এ অনুপ্রবেশকে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা না করে আপাতত সংঘাত এড়ানোর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।