১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনারসে ভোট দিতে মানুষ মুখিয়ে আছেন

এবার আনারস প্রতীক নিয়ে সদর উপজেলা ভোটের মাঠে লড়ছেন সাবেক ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বার) মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। প্রতীক পেয়েই তিনি দিন-রাত প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিপক্ষে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। একান্ত আলাপে রাজনীতি এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন মোঃ হাশেম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কক্সবাজার সময় সংবাদের  রিপোর্টার সাইফুল আজম ।

কক্সবাজার সময় সংবাদ (সিএসএস): নির্বাচনের পরিবেশ কেমন?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: কক্সবাজার জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা কক্সবাজার সদর উপজেলা। এখানে উল্লেখ্য কোন সমস্যা নেই। নির্বাচনি প্রচার শুরুর পর সবকিছুই উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে। আমার মনে হয় না কেউ বিশৃঙ্খলতা করবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: আনারস প্রতীক নিয়ে আপনার প্রতি ভোটার এবং সাধারণ মানুষের অবস্থান কি ?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তৎকালীন সময়ে জনগণের ভোটে প্রার্থীরা বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সন্তোষজনক উন্নয়ন করেনি। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ চরমভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত ছিল। সদর উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে প্রয়োজন একজন দক্ষ রাজনৈতিক ও সংগঠক।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: সাধারণ মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবেন?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: এই জনপদ তুলনামূলক অবহেলিত। এখানকার মানুষ উন্নয়নের জন্য আমাকে তথা আমার প্রতীক আনারসকে চেয়েছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তারা আমাকে ভোট দেবেন। আমাকে পেয়ে মানুষ আবেগ আপ্লুত। দল-মত-নির্বিশেষে তারা আনারস মার্কায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। আশা করছি, এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পাব।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের মাঠে তাকে আপনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কি না?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: স্বতন্ত্র প্রার্থী আবছার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ওনার সঙ্গে কিছু মানুষ ও আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মী আছেন। এটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওনার ওপর সাধারণ মানুষ বিরক্ত। কারণ তিনি আমার প্রার্থীতা ঘোষণার দিন আমার পাশে বসে ছিলেন, বক্তব্যও দিয়েছেন। আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে সবার সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। এর ২/১ দিন পর কিছু সুবিধাবাদী মানুষের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি প্রার্থীতা ঘোষণা করে আমার বিরোধিতা করে আসছে। অথচ আমাকে বিজয়ী করতে ওনার সামনে থাকার কথা ছিল কিন্তু তিনি সেই ওয়াদা রাখেননি। এখন তিনি আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ। যদিও তার প্রার্থিতা ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: এলাকার মানুষের জন্য আপনার প্রধান প্রতিশ্রুতি কী?

মূজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: নির্বাচিত হতে পারলে প্রথম কাজ হবে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃস্টি করা। এতে এলাকায় বেকারত্ব কমে আসবে। এ ছাড়া পুরো দেশ জুড়ে উন্নয়নের সড়কে চলেছে তার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া। সর্বোপরি সদর উপজেলাকে একটি ডিজিটাল উপজেলার আদলেই তৈরি করা। ধন্যবাদ সবাইকে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

আনারসে ভোট দিতে মানুষ মুখিয়ে আছেন

প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

এবার আনারস প্রতীক নিয়ে সদর উপজেলা ভোটের মাঠে লড়ছেন সাবেক ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বার) মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। প্রতীক পেয়েই তিনি দিন-রাত প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিপক্ষে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। একান্ত আলাপে রাজনীতি এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন মোঃ হাশেম। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কক্সবাজার সময় সংবাদের  রিপোর্টার সাইফুল আজম ।

কক্সবাজার সময় সংবাদ (সিএসএস): নির্বাচনের পরিবেশ কেমন?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: কক্সবাজার জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ উপজেলা কক্সবাজার সদর উপজেলা। এখানে উল্লেখ্য কোন সমস্যা নেই। নির্বাচনি প্রচার শুরুর পর সবকিছুই উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে। আমার মনে হয় না কেউ বিশৃঙ্খলতা করবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: আনারস প্রতীক নিয়ে আপনার প্রতি ভোটার এবং সাধারণ মানুষের অবস্থান কি ?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তৎকালীন সময়ে জনগণের ভোটে প্রার্থীরা বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সন্তোষজনক উন্নয়ন করেনি। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ চরমভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত ছিল। সদর উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে প্রয়োজন একজন দক্ষ রাজনৈতিক ও সংগঠক।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: সাধারণ মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবেন?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: এই জনপদ তুলনামূলক অবহেলিত। এখানকার মানুষ উন্নয়নের জন্য আমাকে তথা আমার প্রতীক আনারসকে চেয়েছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তারা আমাকে ভোট দেবেন। আমাকে পেয়ে মানুষ আবেগ আপ্লুত। দল-মত-নির্বিশেষে তারা আনারস মার্কায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। আশা করছি, এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ পাব।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের মাঠে তাকে আপনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কি না?

মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: স্বতন্ত্র প্রার্থী আবছার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ওনার সঙ্গে কিছু মানুষ ও আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মী আছেন। এটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওনার ওপর সাধারণ মানুষ বিরক্ত। কারণ তিনি আমার প্রার্থীতা ঘোষণার দিন আমার পাশে বসে ছিলেন, বক্তব্যও দিয়েছেন। আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে সবার সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। এর ২/১ দিন পর কিছু সুবিধাবাদী মানুষের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি প্রার্থীতা ঘোষণা করে আমার বিরোধিতা করে আসছে। অথচ আমাকে বিজয়ী করতে ওনার সামনে থাকার কথা ছিল কিন্তু তিনি সেই ওয়াদা রাখেননি। এখন তিনি আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ। যদিও তার প্রার্থিতা ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

কক্সবাজার সময় সংবাদ: এলাকার মানুষের জন্য আপনার প্রধান প্রতিশ্রুতি কী?

মূজিবুর রহমান চেয়ারম্যান: নির্বাচিত হতে পারলে প্রথম কাজ হবে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃস্টি করা। এতে এলাকায় বেকারত্ব কমে আসবে। এ ছাড়া পুরো দেশ জুড়ে উন্নয়নের সড়কে চলেছে তার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া। সর্বোপরি সদর উপজেলাকে একটি ডিজিটাল উপজেলার আদলেই তৈরি করা। ধন্যবাদ সবাইকে।