০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় তীব্র যানযট, দেখা মিলে না ট্রাফিক পুলিশের

জেলার ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ জাফর আলম আরাকান সড়ক। তারমধ্যে এই সড়কের মাঝপথেই রয়েছে উখিয়ার ব্যাস্ততম স্টেশন মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী। ব্যস্ততম এই সড়কে যত্রতত্র গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেই উল্লেখিত স্টেশনগুলো যানজটে পরিণত হচ্ছে। উখিয়ার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। অধিকাংশ মার্কেটে কার পার্কিং সুবিধা না থাকায় পুরো উপজেলাজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এই সড়কটি প্রায় সম্পূর্ণটাই রয়েছে অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। এসব কারনেই উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হ”েছ। অতিরিক্ত যানজটের কারনে ঘন্টার পর ঘন্টার নষ্ট হচ্ছে সময়। উখিয়ার অধিকাংশ মানুষের ধারণা এটাই।

এই অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উখিয়াবাসী। আর এসকল অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে উখিয়ার বিভিন্ন বাজারগুলোর হ-য-ব-র-ল অবস্থা। গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে প্রায়ই সময়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে যানবাহনকে অর্থদন্ড ও মামলা দেওয়া হয়। কিন্ত এতো অভিযান চালানোর পরও কমছে না অবৈধ পার্কিং।

বাস চালকরা বলছেন, রাস্তায় অনেক যানজট। নিজের মতো করে গাড়ি চালাতে পারি না। এক ট্রিপেই বসে থাকতে হয় ঘণ্টর পর ঘণ্টা। দিনশেষে টার্গেট অনুযায়ী টাকা রোজগার করতে পারি না। যানজট নিরসনের দাবি জানিয়েছে পরিবহন চালকরা।
উখিয়ার কোটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে অবৈধ পার্কিংয়ের এমন চিত্র। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার উভয়পাশে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে সিএনজি, বাস, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। এছাড়া আছে টংসহ ছোটখাট কিছু দোকানপাট।

কোটবাজার স্টেশনে একজন পথচারীর সঙ্গে কথা হলে যানজট প্রসঙ্গে তিনি জানান, অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই যানজট হ”েছ। রাস্তায় অবৈধভাবে পার্কিং করায় দ্রæতগতির গাড়ি চলতে পারে না। সড়কের দুই তৃতীয়াংশ জায়গা মিনি ট্রাক ও সিএনজি, মিনি টমটম ও মোটর সাইকেলের দখলে।

সরেজমিনে বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের সড়কের মাথায় গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা দাঁড় করানো আছে। চালকেরা যাত্রী ডাকছে। যার কারনে এই যানজট সাধারণ জনগণের জন্য নিত্যদিনের উপহার হয়ে গেছে। অথচ সেখানে কোন ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারনে এই সড়কের মাথায় গাড়ি ও মোটরসাইকেলের জটলা লেগেই থাকে।

এরপর বালুখালী, থাইংখালী বাজারেও অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে সড়ক। রাস্তার উপরে ফুটপাতে মোটর সাইকেলের সারি সারি অবৈধ পার্কিং। গাড়ি আবার ফুটপাতের উপরে তুলে রাখা আছে। এই আরাকান সড়কের দুইদিকের প্রতিটি মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা আছে গাড়ি। দুই লেনের রাস্তা একটি লেনের পুরোটাই দখল করে রেখেছে অবৈধ পার্কিং। পুরো ফুটপাত ফাঁকা পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দিয়েছে। ভুলবশতঃ মনে হতে পারে, এটা ফুটপাত নয় যেন মোটর সাইকেলের শো-রুম।

উখিয়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পলাশ সাহা জানান, রাস্তা যানজটমুক্ত করতে যতটুকু কাজ করা দরকার তা আমরা করে যাচ্ছি। বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার ষ্টেশনগুলোতে এনজিওর গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যার কারনে তখন একটু যানজট হয়।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ সড়কের মুখে আঞ্চলিক পরিবহনের স্ট্যান্ডের কারণে গাড়িচলাচলে বিগ্ন হয়ে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। এসব পার্কিং প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে একপাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যথাশীঘ্রই সরিয়ে দেয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

উখিয়ায় তীব্র যানযট, দেখা মিলে না ট্রাফিক পুলিশের

প্রকাশিত সময় : ১২:৪১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

জেলার ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ জাফর আলম আরাকান সড়ক। তারমধ্যে এই সড়কের মাঝপথেই রয়েছে উখিয়ার ব্যাস্ততম স্টেশন মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, বালুখালী, থাইংখালী ও পালংখালী। ব্যস্ততম এই সড়কে যত্রতত্র গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের কারণেই উল্লেখিত স্টেশনগুলো যানজটে পরিণত হচ্ছে। উখিয়ার বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর প্রাইভেট কার, ট্যাক্সি, সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। অধিকাংশ মার্কেটে কার পার্কিং সুবিধা না থাকায় পুরো উপজেলাজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এই সড়কটি প্রায় সম্পূর্ণটাই রয়েছে অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। এসব কারনেই উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হ”েছ। অতিরিক্ত যানজটের কারনে ঘন্টার পর ঘন্টার নষ্ট হচ্ছে সময়। উখিয়ার অধিকাংশ মানুষের ধারণা এটাই।

এই অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উখিয়াবাসী। আর এসকল অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে উখিয়ার বিভিন্ন বাজারগুলোর হ-য-ব-র-ল অবস্থা। গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে প্রায়ই সময়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে যানবাহনকে অর্থদন্ড ও মামলা দেওয়া হয়। কিন্ত এতো অভিযান চালানোর পরও কমছে না অবৈধ পার্কিং।

বাস চালকরা বলছেন, রাস্তায় অনেক যানজট। নিজের মতো করে গাড়ি চালাতে পারি না। এক ট্রিপেই বসে থাকতে হয় ঘণ্টর পর ঘণ্টা। দিনশেষে টার্গেট অনুযায়ী টাকা রোজগার করতে পারি না। যানজট নিরসনের দাবি জানিয়েছে পরিবহন চালকরা।
উখিয়ার কোটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে অবৈধ পার্কিংয়ের এমন চিত্র। সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার উভয়পাশে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে সিএনজি, বাস, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। এছাড়া আছে টংসহ ছোটখাট কিছু দোকানপাট।

কোটবাজার স্টেশনে একজন পথচারীর সঙ্গে কথা হলে যানজট প্রসঙ্গে তিনি জানান, অবৈধভাবে রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের কারণেই যানজট হ”েছ। রাস্তায় অবৈধভাবে পার্কিং করায় দ্রæতগতির গাড়ি চলতে পারে না। সড়কের দুই তৃতীয়াংশ জায়গা মিনি ট্রাক ও সিএনজি, মিনি টমটম ও মোটর সাইকেলের দখলে।

সরেজমিনে বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের সড়কের মাথায় গিয়ে দেখা যায় সারিবদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা দাঁড় করানো আছে। চালকেরা যাত্রী ডাকছে। যার কারনে এই যানজট সাধারণ জনগণের জন্য নিত্যদিনের উপহার হয়ে গেছে। অথচ সেখানে কোন ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারনে এই সড়কের মাথায় গাড়ি ও মোটরসাইকেলের জটলা লেগেই থাকে।

এরপর বালুখালী, থাইংখালী বাজারেও অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে সড়ক। রাস্তার উপরে ফুটপাতে মোটর সাইকেলের সারি সারি অবৈধ পার্কিং। গাড়ি আবার ফুটপাতের উপরে তুলে রাখা আছে। এই আরাকান সড়কের দুইদিকের প্রতিটি মার্কেটের সামনেই অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা আছে গাড়ি। দুই লেনের রাস্তা একটি লেনের পুরোটাই দখল করে রেখেছে অবৈধ পার্কিং। পুরো ফুটপাত ফাঁকা পেয়ে মোটর সাইকেল রেখে দিয়েছে। ভুলবশতঃ মনে হতে পারে, এটা ফুটপাত নয় যেন মোটর সাইকেলের শো-রুম।

উখিয়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পলাশ সাহা জানান, রাস্তা যানজটমুক্ত করতে যতটুকু কাজ করা দরকার তা আমরা করে যাচ্ছি। বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার ষ্টেশনগুলোতে এনজিওর গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। যার কারনে তখন একটু যানজট হয়।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ সড়কের মুখে আঞ্চলিক পরিবহনের স্ট্যান্ডের কারণে গাড়িচলাচলে বিগ্ন হয়ে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে। এসব পার্কিং প্রধান সড়ক থেকে সরিয়ে একপাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যথাশীঘ্রই সরিয়ে দেয়া হবে।