৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত আজ কক্সবাজারের তিনটি উপজেলা ঈদগাহ, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী ফলাফলে চকরিয়ার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।
পেকুয়া উপজেলায় ৪৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে ঘোড়া প্রতীকে শাফায়েত আজিজ রাজু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তিনি আনারস প্রতীকে ২৩ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুমানা আক্তার পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৪ ভোট।
সদ্য ঘোষিত ঈদগাহ উপজেলায় প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আবু তালেব। তিনি ১৫ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের শামসুল আলম পেয়েছেন ১১ হাজা ১৩৭ ভোট।
এদিকে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কক্সবাজার তিন উপজেলা ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ঈদগাহ উপজেলায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে টেলিফোন মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালাবের সমর্থক দেলোয়ারকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলমের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে দেলোয়ারকে বাঁচাতে ছুটে যান নিহত সফুর আলম। এসময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতের শিকার হন সফুর আলম। বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডা সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার (সফুর আলম) মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’