১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলি, নিহত ১

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নেজাম উদ্দীন নামের এক ডাকাত প্রাণ হারিয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) ভোর ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভাল্লুকখাইয়া বিওপি’র আওতাধীন গর্জনিয়ার মরিচ্যাচা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর নিজাম ডাকাতের চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আরো একজন আহতের কথা উল্লেখ করলেও নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বিজিবি।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও সিগারেট আটক অভিযানে নেমে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি।

মাদক এবং সিগারেট আটকের খবর পেয়ে দেড়শ থেকে ২ শ জন চোরাকারবারি নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় প্রায় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি করতে করতে অগ্রসর হয় নেজাম বাহিনীর চোরাকারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে মেজর রাফি-উস-হাসানের নেতৃত্বে হাবিলদার মো. হুমায়ন কবির এসএমজি দ্বারা পাল্টা গুলি বর্ষণ করেন।

এ সময় ডাকাতদলের চোরাকারবারি সদস্যরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিজিবির ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন চোরাকারবারি আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহত নেজাম উদ্দীন কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নিহত নেজাম উদ্দীনের পিতা বশির আহমদ বলেন, আমার ছেলে পরশুদিন বেড়াতে যায় নাইক্ষ্যংছড়ি। গতকাল রবিবার রাতেও কথা হয়েছে তার সঙ্গে। আজকে সকালে চলে আসবে বলেছে। পরে শুনি বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আজকে সোমবার সকালে তার মরদেহ এসেছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলি, নিহত ১

প্রকাশিত সময় : ১২:৩০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নেজাম উদ্দীন নামের এক ডাকাত প্রাণ হারিয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) ভোর ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ভাল্লুকখাইয়া বিওপি’র আওতাধীন গর্জনিয়ার মরিচ্যাচা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির মাদক এবং চোরাচালান বিরোধী টহলদলের ওপর নিজাম ডাকাতের চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইয়াবা ও বার্মিজ সিগারেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আরো একজন আহতের কথা উল্লেখ করলেও নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি বিজিবি।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও সিগারেট আটক অভিযানে নেমে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি।

মাদক এবং সিগারেট আটকের খবর পেয়ে দেড়শ থেকে ২ শ জন চোরাকারবারি নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বিজিবি টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় প্রায় ৫০-৬০ রাউন্ড গুলি করতে করতে অগ্রসর হয় নেজাম বাহিনীর চোরাকারবারিরা। আত্মরক্ষার্থে মেজর রাফি-উস-হাসানের নেতৃত্বে হাবিলদার মো. হুমায়ন কবির এসএমজি দ্বারা পাল্টা গুলি বর্ষণ করেন।

এ সময় ডাকাতদলের চোরাকারবারি সদস্যরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বিজিবির ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন চোরাকারবারি আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহত নেজাম উদ্দীন কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নিহত নেজাম উদ্দীনের পিতা বশির আহমদ বলেন, আমার ছেলে পরশুদিন বেড়াতে যায় নাইক্ষ্যংছড়ি। গতকাল রবিবার রাতেও কথা হয়েছে তার সঙ্গে। আজকে সকালে চলে আসবে বলেছে। পরে শুনি বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আজকে সোমবার সকালে তার মরদেহ এসেছে।