১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মিয়ানমারে সংঘাত

নৌ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকটের শঙ্কা

মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে গত চারদিন ধরে যাত্রী ও পণ্যবাহী সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (১০ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, গত চারদিন আগে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফনদীর মোহনা শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা পার হওয়ার সময় মিয়ানমারের ওদিকে থেকে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এরপর থেকে ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা। অন্যদিকে দ্বীপের বাসিন্দারাও ভয়ে পারাপার করতে চাচ্ছেন না।

দ্বীপের বাসিন্দারা বলছেন, টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, রুটের যে পয়েন্টে সমস্যা ওই পয়েন্ট ছাড়া সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। এছাড়া লোকজনও চলাচলে ভয় পাচ্ছেন। যে কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প রুটে চলাচলের পরিকল্পনা চলছে।

সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করা হতো।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আইন শৃঙ্খলা, দ্রব্যমুল্য, সংস্কার বিষয়ে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ- ধর্ম উপদেষ্টা

মিয়ানমারে সংঘাত

নৌ চলাচল বন্ধ, সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকটের শঙ্কা

প্রকাশিত সময় : ০৯:২০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে গত চারদিন ধরে যাত্রী ও পণ্যবাহী সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকায় খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (১০ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, গত চারদিন আগে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফনদীর মোহনা শেষে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা পার হওয়ার সময় মিয়ানমারের ওদিকে থেকে ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এরপর থেকে ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা। অন্যদিকে দ্বীপের বাসিন্দারাও ভয়ে পারাপার করতে চাচ্ছেন না।

দ্বীপের বাসিন্দারা বলছেন, টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ খাদ্যপণ্যের সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, রুটের যে পয়েন্টে সমস্যা ওই পয়েন্ট ছাড়া সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। এছাড়া লোকজনও চলাচলে ভয় পাচ্ছেন। যে কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প রুটে চলাচলের পরিকল্পনা চলছে।

সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করা হতো।