০৪:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন শুরু!

মাদকসেবন আর চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে বিচকর্মীরা

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকা বীচ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। অসাধু বীচ কর্মীদের নানা অপকর্ম, অনিয়ম ও অপরাধের কারণে কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এখন নানা প্রশ্নের মুখে। চাঁদাবাজি, মাদকসেবন, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের আটক করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানান অভিযোগ আছে বীচ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি বীচ ম্যানজমেন্ট কমিটির বীচ কর্মী শফিউল করিমের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে ক্যামেরা জব্দ করে রেজিস্টার বইতে লিপিবদ্ধ না করে আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং মাদকদ্রব্য ক্রয় করে ঝাউবাগানের ভিতরে মাদকদ্রব্য সেবন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ বলেন, অন্তহীন অভিযোগ বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির বীচ কর্মীদের বিরদ্ধে। অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি হয়, তদন্ত হয়। কিন্তু অধিকাংশ তদন্ত প্রতিবেদনই থেকে যায় আড়ালে। শাস্তিও হয় না তেমন একটা। প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্তের মধ্যেই আটকে থাকে। তাদের অপরাধ প্রমাণের পরে মাঝেমধ্যে শাস্তি হলেও থেমে নেই তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

জানা গেছে, দায়িত্ব পালনকালে অবহেলা ও মাদকদ্রব্য সেবনের অভিযোগে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী বেতন কর্তন সহ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত কারণ দর্শানোর জন্য গত ১০ জুন পৃথক দুইটি নোটিশ দিয়েছেন কক্সবাজার পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা।

নোটিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন সমুদ্র সৈকতের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে একটি ক্যামরা জব্দ করেন শফিউল করিম। নিয়ম অনুযায়ী জব্দকৃত ক্যামরাটি রেজিষ্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। পরবর্তীতে জব্দকৃত ক্যামরাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যকাজে দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন তার বিরুদ্ধে চাকুরি বিধি অনুযায়ী বেতন কর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাইতে বলা হয় নোটিশে।

এছড়াও অপর নোটিশে সম্প্রতি মাদকদ্রব্য ক্রয়পূর্বক ঝাউবাগানের ভিতরে মাদকদ্রব্য সেবন করছেন মর্মে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় মাদকদ্রব্য সেবন ও কর্তব্যকাজে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধে চাকুরি বিধি অনুযায়ী বেতন কর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাইতে বলা হয় নোটিশে।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন শুরু!

মাদকসেবন আর চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে বিচকর্মীরা

প্রকাশিত সময় : ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকা বীচ কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। অসাধু বীচ কর্মীদের নানা অপকর্ম, অনিয়ম ও অপরাধের কারণে কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এখন নানা প্রশ্নের মুখে। চাঁদাবাজি, মাদকসেবন, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের আটক করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ নানান অভিযোগ আছে বীচ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি বীচ ম্যানজমেন্ট কমিটির বীচ কর্মী শফিউল করিমের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে ক্যামেরা জব্দ করে রেজিস্টার বইতে লিপিবদ্ধ না করে আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং মাদকদ্রব্য ক্রয় করে ঝাউবাগানের ভিতরে মাদকদ্রব্য সেবন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক কলিম উল্লাহ বলেন, অন্তহীন অভিযোগ বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির বীচ কর্মীদের বিরদ্ধে। অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি হয়, তদন্ত হয়। কিন্তু অধিকাংশ তদন্ত প্রতিবেদনই থেকে যায় আড়ালে। শাস্তিও হয় না তেমন একটা। প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্তের মধ্যেই আটকে থাকে। তাদের অপরাধ প্রমাণের পরে মাঝেমধ্যে শাস্তি হলেও থেমে নেই তাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

জানা গেছে, দায়িত্ব পালনকালে অবহেলা ও মাদকদ্রব্য সেবনের অভিযোগে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী বেতন কর্তন সহ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে না জানতে চেয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত কারণ দর্শানোর জন্য গত ১০ জুন পৃথক দুইটি নোটিশ দিয়েছেন কক্সবাজার পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা।

নোটিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন সমুদ্র সৈকতের ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে একটি ক্যামরা জব্দ করেন শফিউল করিম। নিয়ম অনুযায়ী জব্দকৃত ক্যামরাটি রেজিষ্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। পরবর্তীতে জব্দকৃত ক্যামরাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যকাজে দায়িত্ব অবহেলার কারণে কেন তার বিরুদ্ধে চাকুরি বিধি অনুযায়ী বেতন কর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাইতে বলা হয় নোটিশে।

এছড়াও অপর নোটিশে সম্প্রতি মাদকদ্রব্য ক্রয়পূর্বক ঝাউবাগানের ভিতরে মাদকদ্রব্য সেবন করছেন মর্মে বীচ কর্মী শফিউল করিম ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় মাদকদ্রব্য সেবন ও কর্তব্যকাজে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধে চাকুরি বিধি অনুযায়ী বেতন কর্তনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শাইতে বলা হয় নোটিশে।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার পর্যটন সেলের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।