০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শরণার্থী দিবসে যৌথ বিবৃতি

নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন অসম্ভব

বিশ্ব শরণার্থী দিবসে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো। বিবৃতিতে তারা বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। তবে মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমরা সংঘাত, সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এদের মধ্যে রয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সব প্রতিকূলতায় রোহিঙ্গা জনগণের অবিশ্বাস্য স্থিতিশীলতা এবং আত্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছি।’

বিবৃতিতে দাতা সংস্থাগুলো বলেছে, আমরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উদীয়মান নতুন সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানবিক চাহিদার মধ্যে আমরা এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিবিরগুলোতে শরণার্থীদের জন্য শিক্ষা এবং জীবিকার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্য এবং সেই চক্র কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে।

‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। তবে মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো যে, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব। আমরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের ক্রস-বর্ডারে এর প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জটিলতা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব এবং অংশীদারত্ব বাড়ানোর জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

শরণার্থী দিবসে যৌথ বিবৃতি

নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন অসম্ভব

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

বিশ্ব শরণার্থী দিবসে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো। বিবৃতিতে তারা বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। তবে মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমরা সংঘাত, সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এদের মধ্যে রয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

‘আমরা বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সব প্রতিকূলতায় রোহিঙ্গা জনগণের অবিশ্বাস্য স্থিতিশীলতা এবং আত্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছি।’

বিবৃতিতে দাতা সংস্থাগুলো বলেছে, আমরা সবাই রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উদীয়মান নতুন সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানবিক চাহিদার মধ্যে আমরা এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিবিরগুলোতে শরণার্থীদের জন্য শিক্ষা এবং জীবিকার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্য এবং সেই চক্র কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে।

‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। তবে মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো যে, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব। আমরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের ক্রস-বর্ডারে এর প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জটিলতা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব এবং অংশীদারত্ব বাড়ানোর জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।