০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণা, যশোর জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি

যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করা হলো।

এরআগে, চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকেই এক তরুণীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের একান্তে কাটানো ভিডিও ফুটেজ এবং আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে ভুক্তভোগী তরুণী কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর আগে যশোর সরকারি এমএম কলেজে পড়ার সময় তার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এমনকি একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তরিকুল তার যশোর শহরের ভাড়া বাসায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে রাতযাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। তবে সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের কথা বললে তাকে অস্বীকার করে খুন-জখমের ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। এছাড়া সম্প্রতি ওই ছাত্রীর সঙ্গে একান্তে কাটানো মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

ভুক্তভোগী তরুণী নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে বলেন, তরিকুল আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিছে, এখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বলে মানুষ প্রেম করে কতকিছুই করে তার মানে কি বিয়ে করতে হবে? তিনি বলেন, আমি তরিকুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া পথ নেই। প্রয়োজনে আমি আইনের আশ্রয় নেব।

 

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

বিয়ের প্রলোভনে প্রতারণা, যশোর জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি

প্রকাশিত সময় : ০১:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে যশোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করা হলো।

এরআগে, চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকেই এক তরুণীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের একান্তে কাটানো ভিডিও ফুটেজ এবং আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে ভুক্তভোগী তরুণী কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর আগে যশোর সরকারি এমএম কলেজে পড়ার সময় তার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এমনকি একে অপরকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তরিকুল তার যশোর শহরের ভাড়া বাসায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে রাতযাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। তবে সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের কথা বললে তাকে অস্বীকার করে খুন-জখমের ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। এছাড়া সম্প্রতি ওই ছাত্রীর সঙ্গে একান্তে কাটানো মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে।

ভুক্তভোগী তরুণী নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে বলেন, তরিকুল আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিছে, এখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বলে মানুষ প্রেম করে কতকিছুই করে তার মানে কি বিয়ে করতে হবে? তিনি বলেন, আমি তরিকুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছি। আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া পথ নেই। প্রয়োজনে আমি আইনের আশ্রয় নেব।