০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য না থাকায় গাজায় অমানবিক ঘটনা ঘটছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজায় ইসরায়েলের দখলদারির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে, তা সহ্য করার মতো নয়। শুধু মুসলিম উম্মাহর ঐক্য না থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। শুধু গাজা নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।’

গাজীপুরে আন্তর্জাতিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

আইইউটির উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বক্তব্য দেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক–বিষয়ক সহকারী মহাসচিব আহমদ কাওয়েসা সেনজেন্দো, আইইউটির গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালেহ ইব্রাহিম আলকাসুমি, অধ্যাপক মোহাম্মদ আতাউল করিম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সে জন্য মনুষ্যত্ব, ভালোবাসা চলে গেছে। আমরা ক্রমাগত মেশিনের মতো হয়ে যাচ্ছি। আমি অনুরোধ করব, তোমরা মেশিনের মতো হয়ে পোড়ো না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কারণে জীবন এবং জীবনযাপনের ধারণার সংজ্ঞাগত দৃষ্টান্তগুলোও আমাদের চারপাশে পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এই যুগে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও জেনেটিকস আমাদের বিশ্বকে নতুন আকার দিচ্ছে, সেখানে আইইউটির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদানের জন্য নয়; নেতা, উদ্ভাবক ও গবেষকদের সম্পর্কেও যারা সমাজের উন্নতির জন্য এই প্রযুক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে পারে।’

আয়োজকেরা জানান, এবারের সমাবর্তনে ১৪টি দেশের ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৪৮০ ও বিদেশি ৬৩ জন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ জন পিএইচডি ও ২৭ জন এমএসসি শিক্ষার্থী। আটজনকে একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য ওআইসি ও আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। ওআইসি স্বর্ণপদক পেয়েছেন আবদুল্লাহ তারাফ। আইইউটির স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন রিয়াজ হোসেন জোয়ার্দার, সিফাত মাহমুদ সিদ্দিক, তাহামিদ, মোহাম্মদ ইউসুফ খান, ইমেল হক মুনমুন ও ফাতিমা মিহির।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

নাগরিক বিবেক কক্সবাজার (নাবিক) আয়োজিত সীরাত কুইজ ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য না থাকায় গাজায় অমানবিক ঘটনা ঘটছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০১:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

গাজায় ইসরায়েলের দখলদারির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাজায় যা হচ্ছে, তা সহ্য করার মতো নয়। শুধু মুসলিম উম্মাহর ঐক্য না থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। শুধু গাজা নয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।’

গাজীপুরে আন্তর্জাতিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

আইইউটির উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বক্তব্য দেন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) অর্থনৈতিক–বিষয়ক সহকারী মহাসচিব আহমদ কাওয়েসা সেনজেন্দো, আইইউটির গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সালেহ ইব্রাহিম আলকাসুমি, অধ্যাপক মোহাম্মদ আতাউল করিম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। সে জন্য মনুষ্যত্ব, ভালোবাসা চলে গেছে। আমরা ক্রমাগত মেশিনের মতো হয়ে যাচ্ছি। আমি অনুরোধ করব, তোমরা মেশিনের মতো হয়ে পোড়ো না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কারণে জীবন এবং জীবনযাপনের ধারণার সংজ্ঞাগত দৃষ্টান্তগুলোও আমাদের চারপাশে পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এই যুগে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও জেনেটিকস আমাদের বিশ্বকে নতুন আকার দিচ্ছে, সেখানে আইইউটির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদানের জন্য নয়; নেতা, উদ্ভাবক ও গবেষকদের সম্পর্কেও যারা সমাজের উন্নতির জন্য এই প্রযুক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে পারে।’

আয়োজকেরা জানান, এবারের সমাবর্তনে ১৪টি দেশের ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ৪৮০ ও বিদেশি ৬৩ জন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ জন পিএইচডি ও ২৭ জন এমএসসি শিক্ষার্থী। আটজনকে একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য ওআইসি ও আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। ওআইসি স্বর্ণপদক পেয়েছেন আবদুল্লাহ তারাফ। আইইউটির স্বর্ণপদক পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন রিয়াজ হোসেন জোয়ার্দার, সিফাত মাহমুদ সিদ্দিক, তাহামিদ, মোহাম্মদ ইউসুফ খান, ইমেল হক মুনমুন ও ফাতিমা মিহির।