০২:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোডশেডিং-ভূতুড়ে বিলের ভোগান্তি’

  • এম এ সাত্তার
  • প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
  • ৯২ ভিউ

কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ আবাসিক গ্রাহক। এই সময়ে দিনে সর্বোচ্চ ৮-১০ ঘণ্টা সরবরাহ থাকলেও মাস শেষে ভূতুড়ে বিলের মাশুল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে গরমের শুরু থেকে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে আসছে। গ্রাহকের ব্যবহৃত মিটারে অতিরিক্ত বিল আসার অভিযোগ দিলেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না অফিস কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত ভূতুড়ে বিলের বিষয়ে অফিসে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উল্টো গ্রাহককে তাদের মোবাইলে মিটারের রিডিং ভিডিও করে আনতে বলা হয়।

সদর উপজেলার বাংলাবাজার স্টেশন এলাকায় এক মুদি দোকানদার অভিযোগ করে জানান, বিগত সাত বছর ধরে দোকান চালাচ্ছেন। দোকানে দুটি ফ্যান ও দুটি বাল্ব ব্যবহার করেন। আগে প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াইশ টাকা বিল আসত। এপ্রিল মাসে ১৮ শত ৯০ টাকা বিল আসে। এর পারে মে মাসেও প্রায় ২ দুই হাজার টাকা বিল আসে। অফিসে জানানোর পর আগে কাগজে আসা বিল পুরোপুরি পরিশোধ করে তারপর নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে বলেন।

একইভাবে ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁদেরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার ব্যবহৃত মিটারে অন্যান্য মাসে চার-পাঁচশ টাকা বিলের তুলনায় মে মাসে ৩ হাজার টাকা বিল করা হয়। অস্বাভাবিক বিল আসায় অভিযোগ নিয়ে অফিসে গিয়ে চাপের মুখে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হয়। নতুন মিটারের জন্য আবেদন করলেও নতুন মিটার পাননি। যে কারণে প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল গুনতে হয় তাকে।

এসএমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো.করিম উল্লাহর অভিযোগ, বিগত দিনগুলোতে গড়ে ৪০ থেকে ৬০ ইউনিটের মধ্যে বিল আসলেও মে মাসে অস্বাভাবিক বিল আসছে। অভিযোগ জানাতে গেলে আগে বিল পরিশোধ করে তারপর মিটার পরিবর্তনের আবেদন করতে বলা হয়েছে।

সরেজমিন কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অস্বাভাবিক বিলের অভিযোগ এবং মিটার পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে দৈনিক একাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে হাজির হতে দেখা গেছে। অভিযোগ জানাতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে অফিস স্টাফদের শোরগোল লেগে থাকে। এ সময় মুহুরিপাড়া থেকে আসা ছৈয়দুর রহমানের এবং তার স্ত্রীর রহিমা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। অস্বাভাবিক বিলের অভিযোগ নিয়ে এসে বিড়ম্বনার কথা জানান। তিনি বলেন, অফিস থেকে বলা হচ্ছে মিটার রিডিং ভিডিও করে আনার জন্য। আমাদের তো ভিডিও করার মতো মোবাইল নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মকবুল আলম মুঠোফোনে বলেন, অফিসের কারো ভুলের কারণে যদিও বিল অতিরিক্ত হয়ে থাকে, তবে বর্তমান মিটার রিডিং লিখে নিয়ে বা মোবাইলে ভিডিও করে অফিসে নিয়ে গেলে ঠিক করে দিবেন। লোডশেডিং তুলনামূলকভাবে প্রত্যেক এলাকায় হয়। প্রতিদিন যা বরাদ্দ পেয়ে থাকেন তা লাইন বাই লাইন সরবরাহ করে গ্রাহকের দুর্ভোগ লাঘবের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোডশেডিং-ভূতুড়ে বিলের ভোগান্তি’

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ আবাসিক গ্রাহক। এই সময়ে দিনে সর্বোচ্চ ৮-১০ ঘণ্টা সরবরাহ থাকলেও মাস শেষে ভূতুড়ে বিলের মাশুল গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে গরমের শুরু থেকে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে আসছে। গ্রাহকের ব্যবহৃত মিটারে অতিরিক্ত বিল আসার অভিযোগ দিলেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না অফিস কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত ভূতুড়ে বিলের বিষয়ে অফিসে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উল্টো গ্রাহককে তাদের মোবাইলে মিটারের রিডিং ভিডিও করে আনতে বলা হয়।

সদর উপজেলার বাংলাবাজার স্টেশন এলাকায় এক মুদি দোকানদার অভিযোগ করে জানান, বিগত সাত বছর ধরে দোকান চালাচ্ছেন। দোকানে দুটি ফ্যান ও দুটি বাল্ব ব্যবহার করেন। আগে প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াইশ টাকা বিল আসত। এপ্রিল মাসে ১৮ শত ৯০ টাকা বিল আসে। এর পারে মে মাসেও প্রায় ২ দুই হাজার টাকা বিল আসে। অফিসে জানানোর পর আগে কাগজে আসা বিল পুরোপুরি পরিশোধ করে তারপর নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে বলেন।

একইভাবে ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁদেরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার ব্যবহৃত মিটারে অন্যান্য মাসে চার-পাঁচশ টাকা বিলের তুলনায় মে মাসে ৩ হাজার টাকা বিল করা হয়। অস্বাভাবিক বিল আসায় অভিযোগ নিয়ে অফিসে গিয়ে চাপের মুখে পুরো টাকা পরিশোধ করতে হয়। নতুন মিটারের জন্য আবেদন করলেও নতুন মিটার পাননি। যে কারণে প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল গুনতে হয় তাকে।

এসএমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো.করিম উল্লাহর অভিযোগ, বিগত দিনগুলোতে গড়ে ৪০ থেকে ৬০ ইউনিটের মধ্যে বিল আসলেও মে মাসে অস্বাভাবিক বিল আসছে। অভিযোগ জানাতে গেলে আগে বিল পরিশোধ করে তারপর মিটার পরিবর্তনের আবেদন করতে বলা হয়েছে।

সরেজমিন কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অস্বাভাবিক বিলের অভিযোগ এবং মিটার পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে দৈনিক একাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে হাজির হতে দেখা গেছে। অভিযোগ জানাতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে অফিস স্টাফদের শোরগোল লেগে থাকে। এ সময় মুহুরিপাড়া থেকে আসা ছৈয়দুর রহমানের এবং তার স্ত্রীর রহিমা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। অস্বাভাবিক বিলের অভিযোগ নিয়ে এসে বিড়ম্বনার কথা জানান। তিনি বলেন, অফিস থেকে বলা হচ্ছে মিটার রিডিং ভিডিও করে আনার জন্য। আমাদের তো ভিডিও করার মতো মোবাইল নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মকবুল আলম মুঠোফোনে বলেন, অফিসের কারো ভুলের কারণে যদিও বিল অতিরিক্ত হয়ে থাকে, তবে বর্তমান মিটার রিডিং লিখে নিয়ে বা মোবাইলে ভিডিও করে অফিসে নিয়ে গেলে ঠিক করে দিবেন। লোডশেডিং তুলনামূলকভাবে প্রত্যেক এলাকায় হয়। প্রতিদিন যা বরাদ্দ পেয়ে থাকেন তা লাইন বাই লাইন সরবরাহ করে গ্রাহকের দুর্ভোগ লাঘবের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।