১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়া সেই এসআই ক্লোজড

নোয়াখালীর চরজব্বর থানায় ১৬ হাজার টাকা নিয়ে পরোয়ানার এক আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে চরজব্বর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুরে জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘১৬ হাজার টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দিলেন এসআই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে সূবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়াকে আটক করে ১৬ হাজার টাকা আদায় করেন এসআই রফিক।

ভুক্তভোগীর মেয়ের জামাই আবদুল মন্নান জাগো নিউজকে বলেন, আমার শ্বশুরের নামে পল্লীবিদ্যুতের ১৯ হাজার ৪৫৬ টাকা বিল বকেয়া ছিল। বিদ্যুৎ অফিস এ টাকার জন্য মামলা করে। আমার শ্বশুর ওই বিল পরিশোধ করে মামলা তুলে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেন।

এদিকে ওই মামলার পরোয়ানা নিয়ে আমার শ্বশুর ওয়াছিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে যান এসআই রফিক। পরে তিনি সব শুনে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। পরে ১৬ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এসআই রফিক থানায় ফেরত যান।

তবে ওয়াছিম মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আগের দিন টাকা নেওয়ার পর শনিবার (১৩ জুলাই) রাতেও চরজব্বর থানার চার পুলিশ বাড়িতে এসে ওয়াছিম মিয়ার খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে নেই বলার পরও ঘরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে আপাতত তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়া সেই এসআই ক্লোজড

প্রকাশিত সময় : ০১:০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

নোয়াখালীর চরজব্বর থানায় ১৬ হাজার টাকা নিয়ে পরোয়ানার এক আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওছার আলম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশে চরজব্বর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুরে জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘১৬ হাজার টাকা নিয়ে আসামি ছেড়ে দিলেন এসআই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে সূবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়াকে আটক করে ১৬ হাজার টাকা আদায় করেন এসআই রফিক।

ভুক্তভোগীর মেয়ের জামাই আবদুল মন্নান জাগো নিউজকে বলেন, আমার শ্বশুরের নামে পল্লীবিদ্যুতের ১৯ হাজার ৪৫৬ টাকা বিল বকেয়া ছিল। বিদ্যুৎ অফিস এ টাকার জন্য মামলা করে। আমার শ্বশুর ওই বিল পরিশোধ করে মামলা তুলে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেন।

এদিকে ওই মামলার পরোয়ানা নিয়ে আমার শ্বশুর ওয়াছিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে যান এসআই রফিক। পরে তিনি সব শুনে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। পরে ১৬ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এসআই রফিক থানায় ফেরত যান।

তবে ওয়াছিম মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আগের দিন টাকা নেওয়ার পর শনিবার (১৩ জুলাই) রাতেও চরজব্বর থানার চার পুলিশ বাড়িতে এসে ওয়াছিম মিয়ার খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে নেই বলার পরও ঘরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে আপাতত তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।