কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব ভোমরিয়া ঘোনা এলাকায় গণপিটুনিতে আবু বক্কর ভুট্টো (২৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে।
এর আগে ডাকাত দলের হামলায় ২ ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। তারা হলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ এলাকার মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন ও একই এলাকার রুহুল আমিন। তারা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত ডাকাত আবু বক্কর ভুট্টো ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধইল্যাঝিরি এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে বলে জানা গেছে।
২৭ জুলাই (শনিবার) দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কের জনি চত্বর এলাকায়।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, রাত ৩ টার দিকে নিহত ভুট্টোসহ আরো ৫/৬ জন ডাকাত সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। ওই সময় পূর্ব গজালিয়া ঢালার মুখ এলাকার ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন সহ তার দুই সহযোগী বাড়ি ফেরার পথে তাদের থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে ডাকাতদের চিনতে পেরেছে বলে চিৎকার দিয়ে মোটর সাইকেল জোরে চালিয়ে পালিয়ে যায় সাহাব উদ্দিন। তখন সাহাব উদ্দিনের পিছনে থাকা রুহুল আমিনকে সজোরে কোপ দিলে গুরুতর আহত হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূর গিয়ে সড়কে পড়ে যায় সাহাব উদ্দিনের বাইকটি। পরে ঘটনার বিষয়টি মুঠোফোনে এলাকাবাসীকে জানালে শত শত লোক জড়ো হয়ে ডাকাতদের আস্তানায় হানা দিয়ে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে আবু বক্কর ভুট্টো মারা যায় এবং অন্য ডাকাতরা পাহাড়ে ঢুকে পড়ে।
খবর পেয়ে সকালে ওসি’র নির্দেশে সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আশরাফসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন এবং ময়না তদন্ত শেষে নিহত ভুট্টোর বোনকে লাশ হস্তান্তর করেন।
নিহত এবং আহতদের পরিবার মামলা দায়ের করলে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা আরো বলেন, নিহত আবু বক্কর ভুট্টো চিহ্নিত ডাকাত তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে । তার পরিবারের সবাই চিহ্নিত ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।