০১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী হোস্ট কমিউনিটির ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিকাশ ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ইপসা”

”দাতা সংস্থা বিএমজেড (জার্মান) এর অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ও ইপসা কর্তৃক পরিচালিত অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাধীন ইপসা ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টার সমূহের ১২৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।” গত ৮ই জুলাই থেকে ৩০ই জুলাই ,২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী হোস্ট কমিউনিটির ৫০ টি ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ যেমন বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, কাটার, ছাতা ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। উক্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের পাঠ অভ্যাস গঠন করার জন্য ২৫ ধরনের বিভিন্ন গল্পের বই প্রদান করা হয় যা তাদের পড়ার অভ্যাস তৈরিতে সহযোগিতা করবে। ইপসার বিতরণকৃত বই গুলোর মধ্যে ছিল ইংরেজি, গণিত ও বার্মিজ ভাষা শিক্ষা এবং বিষয় ভিত্তিক গল্পের বই। রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী ও যুবক যুবতিদের মাতৃভাষা চর্চায় এবং স্বদেশে ফিরে গিয়ে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিতে অন্য সবার সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষার লক্ষ্যে বার্মিজ ভাষার এসব বই ক্যাম্পে বিতরণ করা হয়। উক্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সিআইসি ক্যাম্প-২১ ও জনাব খুরশেদ আলম চৌধুরী সিআইসি ক্যাম্প-২৪ এবং আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব শহিদুল মির্জা ও শফিকুল বারি (এসিআইসি) ক্যাম্প-২১ ও ২৪, ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম-ডেপুটি ডিরেক্টর ও হেড অফ রোহিঙ্গা রেসপন্স, জনাব জিশু বড়ূয়া-সহকারী পরিচালক, মো.হারুন-প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব হোছাইন রাহমান রাইয়ান-প্রজেক্ট ম্যানেজার, জনাব হযরত বেলাল-টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট বেসিক এ্যাডুকেশন ও খুরশিদ আলম-টেকনিক্যাল অফিসার শিক্ষা-ইপসা প্রমূখ।

সিআইসি (ক্যাম্প-২১) জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় শিক্ষার সুযোগ সুবিধা যেভাবে রয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে ভালো বিষয়। বাংলাদেশের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং তাদের শিক্ষার যে ব্যবস্থা করছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা যুবক-যুবতি , কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষরতা অর্জন করছে, তাদের শিক্ষার সনদের ব্যবস্থা করলে তারা মিয়ানমারে গিয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এ বিষয়টির দেনদরবারও মিয়ানমারের সঙ্গে করা দরকার। পাশাপাশি সিআইসি (ক্যাম্প-২৪) জনাব খুরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ইপসার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যাম্পের যুব-যুবতি, কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের জীবনমান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বলেন এই শিখন-শেখানো উপকরণের যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তোমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে সামাজিক ও আর্থিক পরিবর্তন করতে পারো। ইপসার ডেপুটি ডিরেক্টর ও হেড অফ রোহিঙ্গা রেসপন্স জনাব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা উপকরনের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে ও সকল উপকরণ স্কুল ব্যাগে নিয়ে আসবে এবং কোন কিছু না বুঝলে শিক্ষকের সহযোগিতা নিবে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব হোছাইন রাহমান রাইয়ান বলেন, আমি প্রত্যাশা করি শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে তাদের দক্ষতার মান আরো অনেক বৃদ্ধি করবে।

উক্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণের অংশ হিসাবে হোস্ট কমিউনিটিতে টেকনাফ উপজেলাস্থ সাবরাং ইউনিয়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু নোমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-উপজেলা শিক্ষা অফিসার, টেকনাফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব হযরত বেলাল-টেকনিক্যাল স্পেশিয়ালিস্ট বেসিক এ্যাডুকেশন, ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল করিম- প্রকল্প সমন্বয়কারী ”(YHCRCCAC) প্রজেক্ট, জনাব নোভেল বড়ূয়া-মনিটরিং অফিসার, খুরশিদ আলম-টেকনিক্যাল অফিসার-শিক্ষা, জনাব আব্দুর রব-ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবু নোমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এই বাস্তব জীবনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, আমরা গতিশীল এই পৃথিবীতে মানুষের মত মানুষ হতে হলে আমাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন তোমরা তোমাদের বাড়ির পাশের শিক্ষিত পরিবার ও অশিক্ষিত পরিবার গুলো লক্ষ্য করে দেখো তাদের মধ্যে কত পার্থক্য, তাদের জীবনমান ও চিন্তাধারায় অনেক অমিল,তাই আজ তোমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমি নিজে শিখব অন্যকে শিখতে উদ্বুদ্ধ করব এবং আমাদের ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি নিয়মিত স্কুলে পাঠাবো। তিনি ইপসাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এমন পড়া-লেখার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলোর ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে যা অত্যন্ত প্রসংশনীয়” ।

উল্লেখ্য যে, ২০২১ সাল থেকে দাতা সংস্থা বিএমজেড (জার্মান) এর অর্থায়নে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন “ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা)” দ্বারা বাস্তবায়িত প্রকল্প “ইয়ুথ ফ্রম হোস্ট কমিউনিটি এন্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পস ইন কক্সবাজার এজ এজেন্টস অফ চেঞ্জ” এর উদ্যোগে শরণার্থী শিবির এবং হোস্ট সম্প্রদায়গুলিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কিশোর-কিশোরী এবং যুব-যুবাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মৌলিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা বিকাশের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রকল্প কতৃক স্থাপিত টেকনাফ উপজেলায় সাবরাং, হ্নীলা এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ২৫টি ইয়ুথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টার এবং ক্যাম্প-২১ ও ২৪ এ ২৫ টি কমিউনিটি বেইজড ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টারের মাধ

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী হোস্ট কমিউনিটির ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিকাশ ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ইপসা”

প্রকাশিত সময় : ০২:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

”দাতা সংস্থা বিএমজেড (জার্মান) এর অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ও ইপসা কর্তৃক পরিচালিত অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাধীন ইপসা ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টার সমূহের ১২৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।” গত ৮ই জুলাই থেকে ৩০ই জুলাই ,২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী হোস্ট কমিউনিটির ৫০ টি ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ যেমন বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, কাটার, ছাতা ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। উক্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো বেশি ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের পাঠ অভ্যাস গঠন করার জন্য ২৫ ধরনের বিভিন্ন গল্পের বই প্রদান করা হয় যা তাদের পড়ার অভ্যাস তৈরিতে সহযোগিতা করবে। ইপসার বিতরণকৃত বই গুলোর মধ্যে ছিল ইংরেজি, গণিত ও বার্মিজ ভাষা শিক্ষা এবং বিষয় ভিত্তিক গল্পের বই। রোহিঙ্গা কিশোর-কিশোরী ও যুবক যুবতিদের মাতৃভাষা চর্চায় এবং স্বদেশে ফিরে গিয়ে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিতে অন্য সবার সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষার লক্ষ্যে বার্মিজ ভাষার এসব বই ক্যাম্পে বিতরণ করা হয়। উক্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সিআইসি ক্যাম্প-২১ ও জনাব খুরশেদ আলম চৌধুরী সিআইসি ক্যাম্প-২৪ এবং আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব শহিদুল মির্জা ও শফিকুল বারি (এসিআইসি) ক্যাম্প-২১ ও ২৪, ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম-ডেপুটি ডিরেক্টর ও হেড অফ রোহিঙ্গা রেসপন্স, জনাব জিশু বড়ূয়া-সহকারী পরিচালক, মো.হারুন-প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব হোছাইন রাহমান রাইয়ান-প্রজেক্ট ম্যানেজার, জনাব হযরত বেলাল-টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট বেসিক এ্যাডুকেশন ও খুরশিদ আলম-টেকনিক্যাল অফিসার শিক্ষা-ইপসা প্রমূখ।

সিআইসি (ক্যাম্প-২১) জনাব সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় শিক্ষার সুযোগ সুবিধা যেভাবে রয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে ভালো বিষয়। বাংলাদেশের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং তাদের শিক্ষার যে ব্যবস্থা করছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা যুবক-যুবতি , কিশোর-কিশোরীদের সাক্ষরতা অর্জন করছে, তাদের শিক্ষার সনদের ব্যবস্থা করলে তারা মিয়ানমারে গিয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি এ বিষয়টির দেনদরবারও মিয়ানমারের সঙ্গে করা দরকার। পাশাপাশি সিআইসি (ক্যাম্প-২৪) জনাব খুরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ইপসার এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যাম্পের যুব-যুবতি, কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের জীবনমান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বলেন এই শিখন-শেখানো উপকরণের যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তোমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে সামাজিক ও আর্থিক পরিবর্তন করতে পারো। ইপসার ডেপুটি ডিরেক্টর ও হেড অফ রোহিঙ্গা রেসপন্স জনাব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা উপকরনের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে ও সকল উপকরণ স্কুল ব্যাগে নিয়ে আসবে এবং কোন কিছু না বুঝলে শিক্ষকের সহযোগিতা নিবে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব হোছাইন রাহমান রাইয়ান বলেন, আমি প্রত্যাশা করি শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে তাদের দক্ষতার মান আরো অনেক বৃদ্ধি করবে।

উক্ত শিক্ষা উপকরণ বিতরণের অংশ হিসাবে হোস্ট কমিউনিটিতে টেকনাফ উপজেলাস্থ সাবরাং ইউনিয়নে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু নোমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-উপজেলা শিক্ষা অফিসার, টেকনাফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব হযরত বেলাল-টেকনিক্যাল স্পেশিয়ালিস্ট বেসিক এ্যাডুকেশন, ইপসার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল করিম- প্রকল্প সমন্বয়কারী ”(YHCRCCAC) প্রজেক্ট, জনাব নোভেল বড়ূয়া-মনিটরিং অফিসার, খুরশিদ আলম-টেকনিক্যাল অফিসার-শিক্ষা, জনাব আব্দুর রব-ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবু নোমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, এই বাস্তব জীবনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, আমরা গতিশীল এই পৃথিবীতে মানুষের মত মানুষ হতে হলে আমাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বলেন তোমরা তোমাদের বাড়ির পাশের শিক্ষিত পরিবার ও অশিক্ষিত পরিবার গুলো লক্ষ্য করে দেখো তাদের মধ্যে কত পার্থক্য, তাদের জীবনমান ও চিন্তাধারায় অনেক অমিল,তাই আজ তোমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমি নিজে শিখব অন্যকে শিখতে উদ্বুদ্ধ করব এবং আমাদের ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি নিয়মিত স্কুলে পাঠাবো। তিনি ইপসাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এমন পড়া-লেখার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ গুলোর ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে যা অত্যন্ত প্রসংশনীয়” ।

উল্লেখ্য যে, ২০২১ সাল থেকে দাতা সংস্থা বিএমজেড (জার্মান) এর অর্থায়নে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন “ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা)” দ্বারা বাস্তবায়িত প্রকল্প “ইয়ুথ ফ্রম হোস্ট কমিউনিটি এন্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পস ইন কক্সবাজার এজ এজেন্টস অফ চেঞ্জ” এর উদ্যোগে শরণার্থী শিবির এবং হোস্ট সম্প্রদায়গুলিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কিশোর-কিশোরী এবং যুব-যুবাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মৌলিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা বিকাশের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রকল্প কতৃক স্থাপিত টেকনাফ উপজেলায় সাবরাং, হ্নীলা এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ২৫টি ইয়ুথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টার এবং ক্যাম্প-২১ ও ২৪ এ ২৫ টি কমিউনিটি বেইজড ইয়ূথ ক্লাব/লার্নিং সেন্টারের মাধ