০১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে পাচারের হিড়িক:তুমব্রু বাজার থেকে দিবালোকে যাচ্ছে শত-শত বস্তা সার

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে দেদারছে পাচার করছে ইউরিয়া সার। প্রকাশ্য দিবালোকে তুমব্রুর স্থানীয় এক উপ-ডিলার (যুবলীগ নেতা শফিউল আলম)ডজন-ডজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিক নিয়ে তুমব্রু’র কোনার পাড়া খাল দিয়ে এসব সার পাচার করলেও পাচার রোধে কেউ আছে বলে মনে করছেন না স্থানীয় সচেতন মহল। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচারযজ্ঞ চালালেও ইতিপূর্বে একাধিকবার সারের বিপুল চালান জব্দ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্তে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি সদস্যরা হার্ডলাইনে নেমে পাচার ঠেকাতে গিয়ে বিজিবি কর্তৃক সার উদ্ধার যেনো পাচারের সত্যতা প্রমাণ মিলিয়ে দিয়েছে।গত ১৫ আগষ্ট প্রায় সাড়ে ১৩শত কেজি ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়।

কক্সবাজারস্থ ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি’র অধীনস্থ তুমব্রু বিওপি’র বিশেষ টহল দলের জোয়ান কর্তৃক মিয়ানমারে পাচারকালে এসব ইউরিয়া সার জব্দ করেন। তুমব্রু সীমান্ত পিলার ৩৪’র মধ্যবর্তী মাইলপোষ্টের জিরো পয়েন্টে চোরাকারবারিরা এপার থেকে নিয়ে গিয়ে মজুদ করেছিল ওপারে(মিয়ানমার)পাচারের জন্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুমব্রু বিওপি’র জোয়াননেরা তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় জিরো পয়েন্ট থেকে পরিত্যক্ত ২৭ বস্তা (১৩৫০ কেজি) সার জব্দ করে নিয়ে আসেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,সীমান্তজুড়ে বিজিবি’র চেকপোস্টসহ টহল অব্যাহত রয়েছে। মাদক, চোরাচালান, ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউরিয়া সার,জ্বালানী তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যসামগ্রী পাচারের ফলে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।কে বড়?কারা বড়?প্রশাসন নাকি চোরাকারবারি?। রাত-বিরেতে মিয়ানমার

-বাংলাদেশের ঘুমধুমের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিরতিহীন ভাবে উভয় মুখী নিষিদ্ধ পণ্য পাচারযজ্ঞ চলছে গত ১০ মাস ধরে।মাঝে-মাঝে কিছু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক বা জব্দ হলেও চোরাকারবারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যাচ্ছে।তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রক্ষকদের রহস্যজনক ভুমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন কিনা?তা নিয়েও সচেতন দেশপ্রেমিক মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।সুত্রে জানা গেছে,ঘুমধুম ইউনিয়নের নোয়া পাড়া,মন্ডল পাড়া,মধ্যম পাড়া,জলপাইতলী,তেঁতুল গাছতলা লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন ঘুমধুম হাইস্কুলের বাগান-জমি,তুমব্রু পশ্চিমকুল,তুমব্রু বাজার পাড়া,কোনার পাড়া,তুমব্রু খাল,উত্তর পাড়া,ভাজাবনিয়া,চাকমা পাড়া,বাইশ ফাঁড়ী সীমান্ত পয়েন্ট গুলো চোরাকারবারিরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।জড়িতরা প্রায়ই আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জামায়াত সমর্থিত লোকজন মিলেমিশে শক্তিশালী পাচারকারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।ওইসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাচারযজ্ঞের আয়কৃত টাকা থেকে বিভিন্ন স্তরে বিলিয়ে নির্বিঘ্ন পাচারযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।ফলে বার মাসই সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে ঘুমধুম সীমান্তের চোরাকারবারিরা।বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই কালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।ওপারে মগবাদীদের চাহিদামত বাংলাদেশী পণ্যসামগ্রী পাচার করে বিনিময়ে ওপার থেকে রাজস্ব বিহীন গরু,স্বর্ণ,ইয়াবা ও তরল মাদকের চালান নিয়ে আসছে।এতে ঘুমধুমের ঘরে-ঘরে চোরাকারবারির আবির্ভাব ঘটেছে।ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বিরতিহীন দ্ধিমুখী পাচারযজ্ঞ চললেও চোরাকারবারিরা আইনের আওতায় আসছেনা,তাতেই পাচারও রোধ হচ্ছেনা।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক(এসআই)ধর্মজিৎ সিংহা বলেন,বিজিবি’র পাশাপাশি পুলিশও পাচার রোধে সজাগ রয়েছেন।নিয়মিত টহল দিয়ে থাকেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

মিয়ানমারে পাচারের হিড়িক:তুমব্রু বাজার থেকে দিবালোকে যাচ্ছে শত-শত বস্তা সার

প্রকাশিত সময় : ০৫:০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে দেদারছে পাচার করছে ইউরিয়া সার। প্রকাশ্য দিবালোকে তুমব্রুর স্থানীয় এক উপ-ডিলার (যুবলীগ নেতা শফিউল আলম)ডজন-ডজন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিক নিয়ে তুমব্রু’র কোনার পাড়া খাল দিয়ে এসব সার পাচার করলেও পাচার রোধে কেউ আছে বলে মনে করছেন না স্থানীয় সচেতন মহল। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচারযজ্ঞ চালালেও ইতিপূর্বে একাধিকবার সারের বিপুল চালান জব্দ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্তে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি সদস্যরা হার্ডলাইনে নেমে পাচার ঠেকাতে গিয়ে বিজিবি কর্তৃক সার উদ্ধার যেনো পাচারের সত্যতা প্রমাণ মিলিয়ে দিয়েছে।গত ১৫ আগষ্ট প্রায় সাড়ে ১৩শত কেজি ইউরিয়া সার জব্দ করা হয়।

কক্সবাজারস্থ ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবি’র অধীনস্থ তুমব্রু বিওপি’র বিশেষ টহল দলের জোয়ান কর্তৃক মিয়ানমারে পাচারকালে এসব ইউরিয়া সার জব্দ করেন। তুমব্রু সীমান্ত পিলার ৩৪’র মধ্যবর্তী মাইলপোষ্টের জিরো পয়েন্টে চোরাকারবারিরা এপার থেকে নিয়ে গিয়ে মজুদ করেছিল ওপারে(মিয়ানমার)পাচারের জন্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুমব্রু বিওপি’র জোয়াননেরা তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় জিরো পয়েন্ট থেকে পরিত্যক্ত ২৭ বস্তা (১৩৫০ কেজি) সার জব্দ করে নিয়ে আসেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,সীমান্তজুড়ে বিজিবি’র চেকপোস্টসহ টহল অব্যাহত রয়েছে। মাদক, চোরাচালান, ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউরিয়া সার,জ্বালানী তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যসামগ্রী পাচারের ফলে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।কে বড়?কারা বড়?প্রশাসন নাকি চোরাকারবারি?। রাত-বিরেতে মিয়ানমার

-বাংলাদেশের ঘুমধুমের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিরতিহীন ভাবে উভয় মুখী নিষিদ্ধ পণ্য পাচারযজ্ঞ চলছে গত ১০ মাস ধরে।মাঝে-মাঝে কিছু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক বা জব্দ হলেও চোরাকারবারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যাচ্ছে।তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রক্ষকদের রহস্যজনক ভুমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন কিনা?তা নিয়েও সচেতন দেশপ্রেমিক মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।সুত্রে জানা গেছে,ঘুমধুম ইউনিয়নের নোয়া পাড়া,মন্ডল পাড়া,মধ্যম পাড়া,জলপাইতলী,তেঁতুল গাছতলা লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন ঘুমধুম হাইস্কুলের বাগান-জমি,তুমব্রু পশ্চিমকুল,তুমব্রু বাজার পাড়া,কোনার পাড়া,তুমব্রু খাল,উত্তর পাড়া,ভাজাবনিয়া,চাকমা পাড়া,বাইশ ফাঁড়ী সীমান্ত পয়েন্ট গুলো চোরাকারবারিরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।জড়িতরা প্রায়ই আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জামায়াত সমর্থিত লোকজন মিলেমিশে শক্তিশালী পাচারকারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।ওইসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা পাচারযজ্ঞের আয়কৃত টাকা থেকে বিভিন্ন স্তরে বিলিয়ে নির্বিঘ্ন পাচারযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।ফলে বার মাসই সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছে ঘুমধুম সীমান্তের চোরাকারবারিরা।বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেই কালো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।ওপারে মগবাদীদের চাহিদামত বাংলাদেশী পণ্যসামগ্রী পাচার করে বিনিময়ে ওপার থেকে রাজস্ব বিহীন গরু,স্বর্ণ,ইয়াবা ও তরল মাদকের চালান নিয়ে আসছে।এতে ঘুমধুমের ঘরে-ঘরে চোরাকারবারির আবির্ভাব ঘটেছে।ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বিরতিহীন দ্ধিমুখী পাচারযজ্ঞ চললেও চোরাকারবারিরা আইনের আওতায় আসছেনা,তাতেই পাচারও রোধ হচ্ছেনা।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক(এসআই)ধর্মজিৎ সিংহা বলেন,বিজিবি’র পাশাপাশি পুলিশও পাচার রোধে সজাগ রয়েছেন।নিয়মিত টহল দিয়ে থাকেন।