০১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: ক্রমশ: বাড়ছে অপরাধ:প্রায় ৪ হাজার মামলা:আসামী ৮ হাজার রোহিঙ্গা

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে নানা আলোচনা হলেও কার্যত একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।দীর্ঘ এই ৭ বছরে এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জড়িয়েছে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে।সম্প্রতি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে অবস্থান করছে। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সীমান্তে কঠোর অবস্থান রয়েছে তাদের।

প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অপরাধের ঘটনা। প্রতিনিয়ত ঘটছে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্থানীয়রা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে বড় মাশুল দিতে হবে বাংলাদেশকে।তাঁরা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় ‘পজিটিভ আউটকাম’ আসলে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করা যেত। একই সঙ্গে মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং চীনকে যুক্ত করা গেলে প্রত্যাবাসন সমস্যা ‘দ্রুত সমাধান সম্ভব’। যদিও দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকট বা জাতিগত সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।এদিকে, গত সাত বছরে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নানা গ্রুপ, উপ-গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হত্যা, মারামারি, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা।কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাত বছরে মোট ৩ হাজার ৮২৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৯ জনকে।তার মধ্যে হত্যা মামলা ২৩৩টি, অস্ত্র মামলা ৪০৯টি, মাদক মামলা ২৪৭৯টি, ধর্ষণ মামলা ১০৭, অপহরণ ৫৬, ফরেনার্স ট্যাক্ট ৪২, মানব পাচার মামলা হয়েছে ৩৮টি, ডাকাতি ৬২টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭৬টি। এছাড়া অন্যান্য মামলা হয়েছে ৩১৪টি। সর্বশেষ চলতি বছরে জুলাই পর্যন্ত ৩২টি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছে ২০৪ জন। ১৬০টি মাদক মামলায় আসামি হয়েছে ২৪৩ জন।কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব ঘটনা ঘটছে, তার বেশির ভাগই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটছে। বিশেষ করে কতিথ ‘আসরা’ এবং ‘আরএসও’ নামে দুটি সংগঠনের মাঝে এ সংঘাত হচ্ছে। তবে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলমান বলে জানান তিনি।

আতঙ্কে স্থানীয়রা :দিন যত যাচ্ছে, বেপরোয়া মনোভাব ও অপরাধ কর্মকাণ্ড ততই বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন। বিশেষ করে উখিয়া এবং টেকনাফে দিন দিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সবার মাঝে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে দাবি তাদের। সর্বশেষ গেল চলতি বছরের ২১ আগস্ট টেকনাফে নয়াপাড়া মোছনী রেজিস্টার্ড ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন স্থানীয়দের বাড়িতে ডাকাতির পর দুদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২২) ও মোহাম্মদ রাসেল (২০) নামে দুই জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা ডাকাত দল। পরে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে। এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা এপিবিএন সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইটের আঘাতে মোছনী গ্রামের শাহরিয়ার নাফিস জয় ও লোকমান হাকিমসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়।

সু-শাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)উখিয়ার সভাপতি নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন,আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একজনও ৭ বছরের ভিতর ফেরত পাঠাতে পারেনি।রোহিঙ্গাদের মনোভাব দিন-দিন আগ্রাসীতে পরিণত হচ্ছে।দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারবে তা নিয়েও শংকিত আমরা।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমরাই এখন আতঙ্কে থাকি। রোহিঙ্গা আসার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত। এলাকার অনেক মানুষকে তারা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। আর অপরাধীরা মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন না হলে স্থানীয়দের মনে শান্তি ফিরে আসবে না।যত দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়,ততই আপদ কাটবে এপারের।প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়া মানে রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়া।

রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন অবস্থানের ফলে আগ্রাসী রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা যেনো নিজের ভুমিতে অসহায়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা

প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: ক্রমশ: বাড়ছে অপরাধ:প্রায় ৪ হাজার মামলা:আসামী ৮ হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে নানা আলোচনা হলেও কার্যত একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।দীর্ঘ এই ৭ বছরে এপারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জড়িয়েছে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে।সম্প্রতি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে অবস্থান করছে। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সীমান্তে কঠোর অবস্থান রয়েছে তাদের।

প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে অপরাধের ঘটনা। প্রতিনিয়ত ঘটছে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্থানীয়রা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে বড় মাশুল দিতে হবে বাংলাদেশকে।তাঁরা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় ‘পজিটিভ আউটকাম’ আসলে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করা যেত। একই সঙ্গে মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং চীনকে যুক্ত করা গেলে প্রত্যাবাসন সমস্যা ‘দ্রুত সমাধান সম্ভব’। যদিও দেশটির অভ্যন্তরীণ সংকট বা জাতিগত সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তারা।এদিকে, গত সাত বছরে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নানা গ্রুপ, উপ-গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হত্যা, মারামারি, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, অপহরণ ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা।কক্সবাজার জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাত বছরে মোট ৩ হাজার ৮২৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৯ জনকে।তার মধ্যে হত্যা মামলা ২৩৩টি, অস্ত্র মামলা ৪০৯টি, মাদক মামলা ২৪৭৯টি, ধর্ষণ মামলা ১০৭, অপহরণ ৫৬, ফরেনার্স ট্যাক্ট ৪২, মানব পাচার মামলা হয়েছে ৩৮টি, ডাকাতি ৬২টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৭৬টি। এছাড়া অন্যান্য মামলা হয়েছে ৩১৪টি। সর্বশেষ চলতি বছরে জুলাই পর্যন্ত ৩২টি হত্যা মামলায় আসামি হয়েছে ২০৪ জন। ১৬০টি মাদক মামলায় আসামি হয়েছে ২৪৩ জন।কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব ঘটনা ঘটছে, তার বেশির ভাগই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটছে। বিশেষ করে কতিথ ‘আসরা’ এবং ‘আরএসও’ নামে দুটি সংগঠনের মাঝে এ সংঘাত হচ্ছে। তবে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলমান বলে জানান তিনি।

আতঙ্কে স্থানীয়রা :দিন যত যাচ্ছে, বেপরোয়া মনোভাব ও অপরাধ কর্মকাণ্ড ততই বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছেন। বিশেষ করে উখিয়া এবং টেকনাফে দিন দিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সবার মাঝে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে দাবি তাদের। সর্বশেষ গেল চলতি বছরের ২১ আগস্ট টেকনাফে নয়াপাড়া মোছনী রেজিস্টার্ড ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন স্থানীয়দের বাড়িতে ডাকাতির পর দুদু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২২) ও মোহাম্মদ রাসেল (২০) নামে দুই জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রোহিঙ্গা ডাকাত দল। পরে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে। এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা এপিবিএন সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইটের আঘাতে মোছনী গ্রামের শাহরিয়ার নাফিস জয় ও লোকমান হাকিমসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়।

সু-শাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)উখিয়ার সভাপতি নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন,আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একজনও ৭ বছরের ভিতর ফেরত পাঠাতে পারেনি।রোহিঙ্গাদের মনোভাব দিন-দিন আগ্রাসীতে পরিণত হচ্ছে।দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারবে তা নিয়েও শংকিত আমরা।

উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমরাই এখন আতঙ্কে থাকি। রোহিঙ্গা আসার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত। এলাকার অনেক মানুষকে তারা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি।রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। আর অপরাধীরা মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন না হলে স্থানীয়দের মনে শান্তি ফিরে আসবে না।যত দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়,ততই আপদ কাটবে এপারের।প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়া মানে রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়া।

রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন অবস্থানের ফলে আগ্রাসী রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা যেনো নিজের ভুমিতে অসহায়।