০১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচল-বিচরণ ও এনজিও’র চাকরীতে নিয়োগ বন্ধ করণে ৮ দাবী

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ০১:০০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৯ ভিউ

এদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ৭ বছর পার হয়েছে।৮ম বছরে পড়লো রোহিঙ্গার বসবাস।এতো বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।এদেশে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করণে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ৭ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জোর দাবী জানিয়েছেন সরকার এবং রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি (অবাক)উখিয়ার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পক্ষে এসব দাবী তুলে ধরে তিনি বলেন,ক্যাম্প প্রশাসনের চেকপোস্ট দিয়ে কাটাতারের বাহিরে রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাচল বন্ধ করা। তবে জরুরী প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাহিরে যেতে হলে সিআইসি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে “ক্যাম্প এক্সিট পাস” সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যাম্পের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যেতে পারেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে উখিয়া-টেকনাফের বাসিন্দাদের প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে নূন্যতম ৫০% স্থানীয়দের চাকরী নিশ্চিত করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ব্যবহ্নত অবৈধ উপায়ে নিবন্ধিত সকল সিম গুলো বাতিল করে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি এফসিএন’র আওতায় একটি মোবাইল সীম নিবন্ধনের সুযোগ করে দেওয়া। ক্যাম্পে চাকরী বা কর্মক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা।এক্ষেত্রে গার্ড, ক্লিনার ব্যতিত অন্যান্য পদে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ-কর্মক্ষেত্র শতভাগ বন্ধ করা।ক্যাম্পের অভ্যন্তরে:ক্যাম্প কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা। এক্ষেত্রে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাটের প্রয়োজন হলে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইজারার মাধ্যমে প্রতিটি ক্যাম্পে নির্দিষ্ট সংখ্যক দোকান বাঙালিদের বরাদ্ধ দিয়ে রাজস্বের আওতায় এনে স্থানীয়দের ব্যবসা-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।

নতুন করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি কোন রোহিঙ্গা যাতে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।ক্যাম্পের বাহিরে স্থানীয়দের বাসায় রোহিঙ্গা বাসা ভাড়া বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। বাঙালি ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

কক্সবাজারে এক নারী মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা

রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচল-বিচরণ ও এনজিও’র চাকরীতে নিয়োগ বন্ধ করণে ৮ দাবী

প্রকাশিত সময় : ০১:০০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

এদেশে রোহিঙ্গা ঢলের ৭ বছর পার হয়েছে।৮ম বছরে পড়লো রোহিঙ্গার বসবাস।এতো বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।এদেশে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের অধিকার নিশ্চিত করণে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ৭ পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জোর দাবী জানিয়েছেন সরকার এবং রোহিঙ্গা সেবাই নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি (অবাক)উখিয়ার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পক্ষে এসব দাবী তুলে ধরে তিনি বলেন,ক্যাম্প প্রশাসনের চেকপোস্ট দিয়ে কাটাতারের বাহিরে রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাচল বন্ধ করা। তবে জরুরী প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাহিরে যেতে হলে সিআইসি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে “ক্যাম্প এক্সিট পাস” সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যাম্পের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যেতে পারেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে উখিয়া-টেকনাফের বাসিন্দাদের প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে নূন্যতম ৫০% স্থানীয়দের চাকরী নিশ্চিত করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ব্যবহ্নত অবৈধ উপায়ে নিবন্ধিত সকল সিম গুলো বাতিল করে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি এফসিএন’র আওতায় একটি মোবাইল সীম নিবন্ধনের সুযোগ করে দেওয়া। ক্যাম্পে চাকরী বা কর্মক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ বন্ধ করা।এক্ষেত্রে গার্ড, ক্লিনার ব্যতিত অন্যান্য পদে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ-কর্মক্ষেত্র শতভাগ বন্ধ করা।ক্যাম্পের অভ্যন্তরে:ক্যাম্প কেন্দ্রিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা। এক্ষেত্রে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাটের প্রয়োজন হলে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইজারার মাধ্যমে প্রতিটি ক্যাম্পে নির্দিষ্ট সংখ্যক দোকান বাঙালিদের বরাদ্ধ দিয়ে রাজস্বের আওতায় এনে স্থানীয়দের ব্যবসা-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।

নতুন করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি কোন রোহিঙ্গা যাতে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।ক্যাম্পের বাহিরে স্থানীয়দের বাসায় রোহিঙ্গা বাসা ভাড়া বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। বাঙালি ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরি করা।