০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমধুমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনায়নের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ১২:১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • ১২৯ ভিউ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে রোপিত গাছ-পালা নির্বিচারে কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে একটি ভুমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে।৫ আগষ্টের পর থেকে শুরু করে দফায়-দফায় ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার মালিক সুত্রে জানা গেছে, ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার খিজারী ঘোনা এলাকার আমিন শরীফের ছেলে মো.আবদুল গফুর এর নামীয় ৭ নং হোল্ডিংভুক্ত ১ একর এবং ৩১৩ নং হোল্ডিংভুক্ত ১ একর সহ প্রায় দুই একর বন্দোবস্তীকৃত জায়গার একাংশ জবর দখলের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল একই এলাকার সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম গং।এ নিয়ে বিগত ২০১০ সালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বান্দরবান বরাবর মামলা করা হয়।যার নং-১১৮/১০।এতে আদালত উক্ত জায়গায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অনাধিকার প্রবেশ রোধে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।এরপরও ভুমিদস্যুদের জবর দখল চেষ্টা বন্ধ না হওয়ায় গত ২০১৭ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বান্দরবান পার্বত্য জেলা বরাবর আরো একটি মামলা দায়ের করেন জায়গার প্রকৃত মালিক আমিন শরীফের ছেলে মো.আবদুল গফুর।মিস. সি আর মামলা নং-১৯/১৭,তারিখ-১৬/০১/২০১৭ ইংরেজী।মামলায় ভুমিদস্যু আসামীরা হলেন,ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার খিজারী ঘোনা এলাকার সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম ও শামসুল আলম,শিকদার আলীর ছেলে জাফরুল ইসলাম,জাফরুল ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল,শামসুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার,ছৈয়দ আলমের ছেলে সেলিম ও সাইফুল।

বাদীর দায়ের করা মামলার আর্জি মতে আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারী করেন।মামলার দীর্ঘ তদন্ত, স্বাক্ষী সহ সাবির্ক অবস্থান বিবেচনা এবং পর্যালোচনা করে আদালত বাদী মো.আবদুল গফুর এর পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ের তারিখ-২৬/০৬/২০২৩ ইংরেজী।উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদী ছৈয়দ আলম গং উচ্চ আদালতে আপিল করেন।আপিলের বিষয়ে আদালতের কোন আদেশ না দেওয়া স্বত্বেও ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জায়গা ফের জবর দখলের উদ্দেশ্যে জায়গায় রোপিত বাগানে অনাধিকার প্রবেশ করে বিপুল গাছ কেটে নিয়ে যায়।গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বাদীর পরিবারের অগোচরে জায়গায় সৃজিত গাছপালা কেটে সাবাড় করে ফেলেন ভুমিদস্যু চক্রের সদস্য সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম,শামসুল আলম,শামসুল আলমের ছেলে রাসেল সহ অপরাপর সদস্যরা।এ ঘটনা ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বাদী মো.আবদুল গফুর।

অভিযোগ পেয়ে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যান এবং জায়গায় সৃজিত গাছপালা কেটে নেওয়ার সত্যতা পান বলে জানান।ওই সময় পুলিশ আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে গাছ-পালা কাটা থেকে বিরত থাকার জন্য বিবাদী ছৈয়দ আলম গংয়ের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন।ভুমিদস্যু কর্তৃক বাদীর জায়গায় রোপিত গাছ-পালা কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জায়গার মালিক ও তার পরিবারের লোকজনকে দেখিয়ে নেবে,মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে হাকাবকা করছে।এতে বাদীপক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

ঘুমধুমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বনায়নের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১২:১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে রোপিত গাছ-পালা নির্বিচারে কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে একটি ভুমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে।৫ আগষ্টের পর থেকে শুরু করে দফায়-দফায় ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার মালিক সুত্রে জানা গেছে, ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার খিজারী ঘোনা এলাকার আমিন শরীফের ছেলে মো.আবদুল গফুর এর নামীয় ৭ নং হোল্ডিংভুক্ত ১ একর এবং ৩১৩ নং হোল্ডিংভুক্ত ১ একর সহ প্রায় দুই একর বন্দোবস্তীকৃত জায়গার একাংশ জবর দখলের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল একই এলাকার সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম গং।এ নিয়ে বিগত ২০১০ সালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বান্দরবান বরাবর মামলা করা হয়।যার নং-১১৮/১০।এতে আদালত উক্ত জায়গায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অনাধিকার প্রবেশ রোধে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।এরপরও ভুমিদস্যুদের জবর দখল চেষ্টা বন্ধ না হওয়ায় গত ২০১৭ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বান্দরবান পার্বত্য জেলা বরাবর আরো একটি মামলা দায়ের করেন জায়গার প্রকৃত মালিক আমিন শরীফের ছেলে মো.আবদুল গফুর।মিস. সি আর মামলা নং-১৯/১৭,তারিখ-১৬/০১/২০১৭ ইংরেজী।মামলায় ভুমিদস্যু আসামীরা হলেন,ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার খিজারী ঘোনা এলাকার সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম ও শামসুল আলম,শিকদার আলীর ছেলে জাফরুল ইসলাম,জাফরুল ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল,শামসুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার,ছৈয়দ আলমের ছেলে সেলিম ও সাইফুল।

বাদীর দায়ের করা মামলার আর্জি মতে আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারী করেন।মামলার দীর্ঘ তদন্ত, স্বাক্ষী সহ সাবির্ক অবস্থান বিবেচনা এবং পর্যালোচনা করে আদালত বাদী মো.আবদুল গফুর এর পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ের তারিখ-২৬/০৬/২০২৩ ইংরেজী।উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদী ছৈয়দ আলম গং উচ্চ আদালতে আপিল করেন।আপিলের বিষয়ে আদালতের কোন আদেশ না দেওয়া স্বত্বেও ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জায়গা ফের জবর দখলের উদ্দেশ্যে জায়গায় রোপিত বাগানে অনাধিকার প্রবেশ করে বিপুল গাছ কেটে নিয়ে যায়।গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বাদীর পরিবারের অগোচরে জায়গায় সৃজিত গাছপালা কেটে সাবাড় করে ফেলেন ভুমিদস্যু চক্রের সদস্য সফর আলীর ছেলে ছৈয়দ আলম,শামসুল আলম,শামসুল আলমের ছেলে রাসেল সহ অপরাপর সদস্যরা।এ ঘটনা ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বাদী মো.আবদুল গফুর।

অভিযোগ পেয়ে ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে যান এবং জায়গায় সৃজিত গাছপালা কেটে নেওয়ার সত্যতা পান বলে জানান।ওই সময় পুলিশ আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে গাছ-পালা কাটা থেকে বিরত থাকার জন্য বিবাদী ছৈয়দ আলম গংয়ের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন।ভুমিদস্যু কর্তৃক বাদীর জায়গায় রোপিত গাছ-পালা কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জায়গার মালিক ও তার পরিবারের লোকজনকে দেখিয়ে নেবে,মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে হাকাবকা করছে।এতে বাদীপক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।