০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার্তদের পাশে উপহার সামগ্রী নিয়ে গেলেন নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

বাংলাদেশের চলমান বন্যার পানিতে বন্দী ফেনী, নোয়াখালী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগন্জ সহ প্রায় ১১ টি জেলার ১২ লাখ পরিবার।সরকারী হিসাবে ইতোমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।৫৬ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৫ লাখ মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থায় বাংলাদেশের বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১৯৯২ সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১২ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের এমন দুরাবস্থায় পাশে থাকতে চাই নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

বাংলাদেশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা (আজ) শনিবার ৩০০০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও চাউল, ডাল, তৈল, লবণ, মরিচ, হলুদ, পিয়াস সহ ত্রান সামগ্রী প্রদান করতে এগিয়ে এসেছেন,স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর সাথে সংহতি প্রকাশ করতে। ত্রাণ সংগঠক আরমান ইলাহী, সৈয়দুল হক, আব্দুর রশিদ, মাজেদ আব্দুল্লাহ ও সিরাজুল হক আবরার বলেন আমরা কেবল রোহিঙ্গা শরণার্থী হতে পারি,কিন্তু আমরাও মানুষ! সবথেকে বেশি আমরাও মানুষের দুঃখ দুর্দশা অনুধাবন করতে পারি, কারণ দীর্ঘ টানা ৩২ বছর যাবৎ নিজ দেশের ফেরার কথা ভাবতে ও পারিনি। সুতরাং আশ্রয় নিযে থাকা কথাটা কষ্টসাধ্য সবথেকে বেশি আমরাই বুঝি। তাই তরুণ শরণার্থী হিসাবে, আমরা এটি কেবল ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অনুভব করি না,২০২২ সালে সিলেটের বন্যার্তদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ছিল, আমরা অন্যান্য বিপদের সময়ে বাংলাদেশের অন্যান্য মানুষের পাশে থাকতে চাই।
নিবন্ধিত শরণার্থীদের একই দল পূর্বে সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপর্যয়কর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।যার ফলে কয়েক ডজন লোক মারা গিয়েছিল। তারা মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রক্ত ও নগদ অর্থ দান করেছেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

বন্যার্তদের পাশে উপহার সামগ্রী নিয়ে গেলেন নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের চলমান বন্যার পানিতে বন্দী ফেনী, নোয়াখালী কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগন্জ সহ প্রায় ১১ টি জেলার ১২ লাখ পরিবার।সরকারী হিসাবে ইতোমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।৫৬ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৫ লাখ মানুষ। এমন ভয়াবহ অবস্থায় বাংলাদেশের বন্যা কবলিতদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১৯৯২ সালের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ১২ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের এমন দুরাবস্থায় পাশে থাকতে চাই নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

বাংলাদেশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা (আজ) শনিবার ৩০০০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও চাউল, ডাল, তৈল, লবণ, মরিচ, হলুদ, পিয়াস সহ ত্রান সামগ্রী প্রদান করতে এগিয়ে এসেছেন,স্বাগতিক জনগোষ্ঠীর সাথে সংহতি প্রকাশ করতে। ত্রাণ সংগঠক আরমান ইলাহী, সৈয়দুল হক, আব্দুর রশিদ, মাজেদ আব্দুল্লাহ ও সিরাজুল হক আবরার বলেন আমরা কেবল রোহিঙ্গা শরণার্থী হতে পারি,কিন্তু আমরাও মানুষ! সবথেকে বেশি আমরাও মানুষের দুঃখ দুর্দশা অনুধাবন করতে পারি, কারণ দীর্ঘ টানা ৩২ বছর যাবৎ নিজ দেশের ফেরার কথা ভাবতে ও পারিনি। সুতরাং আশ্রয় নিযে থাকা কথাটা কষ্টসাধ্য সবথেকে বেশি আমরাই বুঝি। তাই তরুণ শরণার্থী হিসাবে, আমরা এটি কেবল ফেনী নোয়াখালী লক্ষীপুর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অনুভব করি না,২০২২ সালে সিলেটের বন্যার্তদের পাশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ছিল, আমরা অন্যান্য বিপদের সময়ে বাংলাদেশের অন্যান্য মানুষের পাশে থাকতে চাই।
নিবন্ধিত শরণার্থীদের একই দল পূর্বে সীতাকুণ্ড বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিপর্যয়কর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।যার ফলে কয়েক ডজন লোক মারা গিয়েছিল। তারা মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রক্ত ও নগদ অর্থ দান করেছেন।