০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ক্যাবল পাচার প্রচেষ্টার হোতা সহ গ্রেফতার -৮

মহেশখালীর মাতারবাড়ীর কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তামার ক্যাবল পাচার প্রচেষ্টা মামলার অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ কে আটক করেছে নৌবাহিনী।

১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে তাঁকে আটক করতে সক্ষম হন। নৌ-বাহিনী জানান, মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তামার ক্যাবল পাচারের সংবাদটি সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নং জেটিঘাটে গিয়ে অবস্থান নেন ৩১আগষ্ট দুপুরে।সব কিছু নিশ্চিত হয়ে বার্জে উত্তোলনকালে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ ফিটের ৪টি তামার ক্যাবল ভর্তি কন্টেইনার সহ ৭ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন, ইকবাল মেরিনে কর্মরত চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী এলাকার এবাদুল হকের ছেলে নিজাম উদ্দিন, সীতাকুণ্ড এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে সেলিম, আবদুল রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন, ফেনীর ছাগল নাইয়ার মুজিবুল হকের ছেলে মো: ফারুক, ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা নুরুল হক, নোয়াখালীর কোম্পানী গঞ্জের বাসিন্দা মো: কামাল।
ধৃতদের স্বীকারোক্তি মতে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আসামীরা হচ্ছেন, প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ, সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ উদ্দীন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, সিকিউরিটি অফিসার রায়হান ইকবাল, মেরিন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার, ইকবাল মেরিন প্রকৌশলী নিজাম। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা কর্মস্থল ত্যাগের প্রচেষ্টা করায় প্রকল্পের চারদিকে চেকপোস্ট বসিয়েছে নৌবাহিনীর দল। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১ নং আসামী প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন নৌবাহিনীর দল। এরপর মাতারবাড়ীর কয়েকটি চোরাই সিন্ডিকেট কে নজরে রেখেছেন বলে নৌবাহিনী জানান।
উল্লেখ্য এসব ক্যাবলগুলো চট্টগ্রামস্থ কোম্পানী ইকবাল মেরিন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের করে জেটি ঘাটে নিয়ে যাচ্ছিল বলে নৌ-বাহিনী নিশ্চিত হন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ক্যাবল পাচার প্রচেষ্টার হোতা সহ গ্রেফতার -৮

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর মাতারবাড়ীর কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তামার ক্যাবল পাচার প্রচেষ্টা মামলার অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ কে আটক করেছে নৌবাহিনী।

১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে তাঁকে আটক করতে সক্ষম হন। নৌ-বাহিনী জানান, মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তামার ক্যাবল পাচারের সংবাদটি সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নং জেটিঘাটে গিয়ে অবস্থান নেন ৩১আগষ্ট দুপুরে।সব কিছু নিশ্চিত হয়ে বার্জে উত্তোলনকালে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০ ফিটের ৪টি তামার ক্যাবল ভর্তি কন্টেইনার সহ ৭ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন, ইকবাল মেরিনে কর্মরত চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী এলাকার এবাদুল হকের ছেলে নিজাম উদ্দিন, সীতাকুণ্ড এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে সেলিম, আবদুল রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন, ফেনীর ছাগল নাইয়ার মুজিবুল হকের ছেলে মো: ফারুক, ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা নুরুল হক, নোয়াখালীর কোম্পানী গঞ্জের বাসিন্দা মো: কামাল।
ধৃতদের স্বীকারোক্তি মতে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আসামীরা হচ্ছেন, প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ, সিকিউরিটি অফিসার আলফাজ উদ্দীন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, সিকিউরিটি অফিসার রায়হান ইকবাল, মেরিন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার, ইকবাল মেরিন প্রকৌশলী নিজাম। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা কর্মস্থল ত্যাগের প্রচেষ্টা করায় প্রকল্পের চারদিকে চেকপোস্ট বসিয়েছে নৌবাহিনীর দল। সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১ নং আসামী প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আযাদ কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন নৌবাহিনীর দল। এরপর মাতারবাড়ীর কয়েকটি চোরাই সিন্ডিকেট কে নজরে রেখেছেন বলে নৌবাহিনী জানান।
উল্লেখ্য এসব ক্যাবলগুলো চট্টগ্রামস্থ কোম্পানী ইকবাল মেরিন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের করে জেটি ঘাটে নিয়ে যাচ্ছিল বলে নৌ-বাহিনী নিশ্চিত হন।