০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
.হাসপাতাল মর্গে সমিতিপাড়াবাসীর উপর দ্বিতীয় দফা হামলা, আহত ১০

সমিতিপাড়াবাসীর উপর হামলার ঘটনায় আহত সেলুন কর্মচারীর মৃত্যু, এলাকায় উত্তেজনা

কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি এলাকা সমিতিপাড়া বাসীর উপর হামলার ঘটনায় আহত (সমিতিপাড়া এলাকার) এক সেলুন কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। বর্তমানে এঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনতা বিরাজ করছে। এদিকে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সমিতিপাড়া এলাকা লোকজন তার মৃত দেহ দেখতে আসলে স্থানীয় কাউন্সিলর আকতার কামাল ও তার ভাতিজা তারেকের নেতৃত্বে পুনরায় সমিতিপাড়ার লোকজনের উপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সদস্য মাসুদ উর রহমান মাসুদ, ইসলাম মাহমুদ, সিকান্দার হিরু, জনুসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
সূত্র বলছে, কক্সবাজার শহরে ফুটবল পু বিরোধ নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার পৌর ১নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়াবাসীর উপর তান্ডব চালায় কুতুবদিয়াপাড়াবাসী। ওইদিন ৬ ঘন্টার থেমে থেমে তান্ডব চালিয়ে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ও দোকান, লুট করে পাশ্ববর্তী কুতুবদিয়াবাসীর লোকজন।তারমধ্যে কলেজ ছাত্র ইউসুফের দুই হাত দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। চোখ উপড়ে যায় সাগরের।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত সাত দিন আগে একজন ফুটবলারের সাথে কুতুবদিয়াপাড়ার অপর ফুটবলারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সে ঘটনার জের ধরে সমিতি পাড়াবাসির উপর কুতুবদিয়া পাড়ার লোকজন দলবেধে দা, ছুরি, কিরিচ, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলে পড়ে। সারাদিন চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় আগুন দেওয়া হয় রাস্তায়, পুড়িয়ে ফেলা হয় মোটরসাইকেল, লুট করা হয় দোকানপাট।
এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারমধ্যে ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চট্ট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এঘটনায় আহত সেলুন কর্মচারী সুকুমার দে’র ছেলে সুকান্ত দে (২৪) মারা যান। সে খুরুস্কুল এলাকার বাসিন্দা হলেও কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশিকুর রহমান বলেন, আহতদের মধ্যে সুকান্ত দে নামের যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সমিতিপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত দেহ মর্গে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

হারানো বিজ্ঞপ্তি 

.হাসপাতাল মর্গে সমিতিপাড়াবাসীর উপর দ্বিতীয় দফা হামলা, আহত ১০

সমিতিপাড়াবাসীর উপর হামলার ঘটনায় আহত সেলুন কর্মচারীর মৃত্যু, এলাকায় উত্তেজনা

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি এলাকা সমিতিপাড়া বাসীর উপর হামলার ঘটনায় আহত (সমিতিপাড়া এলাকার) এক সেলুন কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। বর্তমানে এঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনতা বিরাজ করছে। এদিকে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সমিতিপাড়া এলাকা লোকজন তার মৃত দেহ দেখতে আসলে স্থানীয় কাউন্সিলর আকতার কামাল ও তার ভাতিজা তারেকের নেতৃত্বে পুনরায় সমিতিপাড়ার লোকজনের উপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সদস্য মাসুদ উর রহমান মাসুদ, ইসলাম মাহমুদ, সিকান্দার হিরু, জনুসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
সূত্র বলছে, কক্সবাজার শহরে ফুটবল পু বিরোধ নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার পৌর ১নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়াবাসীর উপর তান্ডব চালায় কুতুবদিয়াপাড়াবাসী। ওইদিন ৬ ঘন্টার থেমে থেমে তান্ডব চালিয়ে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ও দোকান, লুট করে পাশ্ববর্তী কুতুবদিয়াবাসীর লোকজন।তারমধ্যে কলেজ ছাত্র ইউসুফের দুই হাত দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। চোখ উপড়ে যায় সাগরের।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, গত সাত দিন আগে একজন ফুটবলারের সাথে কুতুবদিয়াপাড়ার অপর ফুটবলারের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সে ঘটনার জের ধরে সমিতি পাড়াবাসির উপর কুতুবদিয়া পাড়ার লোকজন দলবেধে দা, ছুরি, কিরিচ, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলে পড়ে। সারাদিন চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় আগুন দেওয়া হয় রাস্তায়, পুড়িয়ে ফেলা হয় মোটরসাইকেল, লুট করা হয় দোকানপাট।
এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারমধ্যে ২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চট্ট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এঘটনায় আহত সেলুন কর্মচারী সুকুমার দে’র ছেলে সুকান্ত দে (২৪) মারা যান। সে খুরুস্কুল এলাকার বাসিন্দা হলেও কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশিকুর রহমান বলেন, আহতদের মধ্যে সুকান্ত দে নামের যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সমিতিপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত দেহ মর্গে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।