০৮:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়াবা বদলে দিলো ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের জীবন!

দশ শতক জমিতে চাষাবাদ এবং বাবা টেইলারিং কাজ করে যা আয় হতো সেটা দিয়ে টেনেটুনে চলা সংসারে বেড়ে ওঠা দৃশ্যমান আয় না থাকা ছেলের রাজকীয় জীবনযাপন দেখে স্বয়ং এলাকাবাসীরাও হতভম্ব!কয়েকবছরের ব্যবধানে খুঁড়ে ঘর থেকে আলিশান বাড়ী,দামী বাইক,কয়েকমাস পর পর গাড়ীর মডেল পরিবর্তন,অর্ধ কোটি টাকার ডিস লাইনের ব্যবসা,লাখ টাকা খরচ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছেলের জন্মদিন পালন আরও কত কি!খোদ সহপাঠীরাই বলছে টাকার অভাবে অন্যের দয়ার টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়া যুবকের মাসে হাত খরচ এখন লাখ টাকা।

বলছিলাম চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ রাসেল ( ২৭) এর কথা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ারের সাথে মোঃ রাসেল

অনুসন্ধান আর সূত্র বলছে, মা ছেলে মিলে সীমান্ত উপজেলা থেকে প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে কৌশলে মাদক পাচার করে অল্প সময়ে বনে গেছে লাখপতি। কিন্তু একবারের জন্যও আইনের আওতায় আসেনি মা ছেলে সিন্ডিকেট।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রান্না করা মুরগীর মাংস আর ভাত ভর্তি টিফিন বক্সে ইয়াবা পাচার করার দৃশ্য আমার নিজ চোখে দেখা।গরুর পেটে করে বরইতলী থেকে পদুয়া এলাকায় খালাত ভাই মাদক মাফিয়া, একাধিক মাদক মামলার আসামি জমিরের কাছে নিরাপদে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কথা এলাকার অনেকের জানা। সেই মাদকের টাকাকে হালাল করতে চাকরি নেয় স্থানীয় ক্যাবল অপারেটর কোম্পানিতে।সেখানে নানান কারনে মালিক পক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করলে যোগ দেয় রাজনীতিতে।স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, এলাকার অঘোষিত রাজা ভূমিদস্যু, দখলবাজ,চিহ্নিত ডাকাত চকরিয়া সংসদীয় আসনের দাপটে এমপি জাফর আলমের শীর্ষ ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে ডাকাত নজরুল প্রকাশ কালা নজরুলের আশীর্বাদে ছাত্র রাজনীতিতে পদায়ন হয়ে বনে যায় প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা। এখন আর তাকে ঠেকায় কে? বড় বড় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ছবি ও সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অল্পসময়ে জায়গা করে নেয় মস্তবড় ছাত্রনেতার আসন। মিছিল মিটিং এ কালো টাকা খরচ করে নজর কাটে জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এলাকার বেকার যুবকদের হাতের মুঠোয় নিয়ে তৈরি করে রাসেল বাহিনী। এতে করে এলাকায় বনে যায় মুকুটহীন সম্রাট।হয়ে যায় কালা নজরুলের অন্যতম ক্যাডার।এই ছাত্রলীগ নেতা এত এত ক্ষমতার দাপটে হয়ে উঠে বেপরোয়া।ক্ষমতার জাগান দিতে প্রথম ছোবল টা মারে স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী ও তার চাকরিদাতা ডিস মাসুককে।ডিস মাসুকও আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের প্ররোচনায় একদিন রাতে ডিস মাসুককে কালা নজরুলের বাসায় ডেকে এনে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তিন’শ টাকার খালী স্টাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নিয়ে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ডিস লাইন ব্যবসা দখল করে নেয় কালা নজরুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল৷ এছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বাবার বয়সী লোকজনের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করতো না এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। একদিন ক্ষেতের চারা নষ্টে অজুহাতে এক বৃদ্ধ কৃষককে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ছিলো। সেই বৃদ্ধ কৃষক দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও ছাত্রলীগের প্রভাব কাটিয়ে সঠিক বিচার পায়নি বৃদ্ধ কৃষক। এছাড়া এলাকায় এমন শত শত মানুষকে নির্যাতন ও অপরাধ করেও তার বিরুদ্ধে টুঁশব্দ করার দুঃসাহস করত না কেউ।
এছাড়া জেলা বাইক চোর সিন্ডিকেট এর অন্যতম সদস্য হলো এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে চকরিয়া থেকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলসহ চোর সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। সেসময় তাকেও আটকের সত্যতা পাওয়া গেছে।তখন ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার কারনে এবং আওয়ামী ক্যাডার কালা নজরুলের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছিল।এছাড়া জুলাই মাস থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত চলা ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রচুর অর্থ ব্যয়,অস্ত্র সরবরাহ করারও অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের বিরুদ্ধে। এছাড়া ছাত্র জনতার আন্দোলনে ব্যবহার করা কালা নজরুলের অবৈধ অস্ত্র বর্তমানে এ রাসেলের হেফাজতে রয়েছে বলে সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

দেশে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কালা নজরুলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও ভোল্টপাল্টে বহালতবিয়তে থেকে সেই আগের চেয়ে বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা রাসেল। তবে এর কারন অনুসন্ধান করে এ প্রতিবেদক। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ০৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদ মেম্বারের ছেলে সাকিবুল ইসলামের মাধ্যমে শহিদ মেম্বারের সাথে আঁতাত করে কালা নজরুলের সকল ব্যবসা বানিজ্য অবৈধ উপায় অর্জিত সকল সম্পদের জিম্মাদারি নিয়েছেন শহিদ মেম্বার। সে সুযোগে রাসেলের দখলে থাকা ডিস ব্যবসার পার্টনার বানিয়ে নেয় শহিদ মেম্বারকে৷ এতে করে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি হয়ে যায়।

ডিস ব্যবসা দখলের বিষয়ে এ প্রতিবেদক ডিস মাসুককে খোঁজে বের করে ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে গেলে এক হৃদয়বিদারকের দৃশ্য অবতারণা হয়।ভুক্তভোগী মাসুক প্রথমে ক্ষোভের সূরে কথা বলতে না চাইলেও পরে অশ্রুসিক্ত নয়নে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এদেশে কোন বিচার নেই৷ আমিও একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে আমার কর্মচারী রাসেল ও কালা নজরুল মিলে ধরে নিয়ে রাতের আঁধারে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলা ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের প্রতিষ্টিত ডিস ব্যবসাটি জোরপূর্বক খালি স্টাম্পে সাক্ষর নিয়ে দখল করে নেয়। এতে খুবই অসহায় হয়ে গেছিলাম। আমি কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ নিতে পারিনি শুধুমাত্র নিজের নিরাপত্তাহীনতার কারনে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক নেতার নামে দুর্বৃত্ত কালা নজরুল পালিয়ে গেলেও ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার রাসেল স্থানীয় মেম্বার ও বিএনপি নেতা শহিদ মেম্বারের সাথে হাত মিলিয়ে সেই ব্যবসা দখল করে আছে।আমি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে মানুষ নামের এসব দানবদের কাছ থেকে আমার ব্যবসাটা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য অনুরোধের সাথে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

সকল অভিযোগের বিষয়ে মোঃ রাসেলের কাছে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে প্রথমে মেম্বারের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি বলে ফোন কেটে দেয়।অল্প কিছুক্ষণ পর প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন দিয়ে মনসুর নামে কোন এক বিশেষ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নিউজ করেন কোন সমস্যা নেই বলে আবারও ফোন কেটে দেয়। পরবর্তী আবার ফোন দিয়ে বলে আমি এসবের সাথে জড়িত নাই।

প্রতিবেদক সরাসরি সাক্ষাৎ করে চকরিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলীকে ছাত্রলীগ ক্যাডার রাসেলের বিষয়ে অবগত করা হলে,তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম।খুব শিগ্রই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ইয়াবা বদলে দিলো ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের জীবন!

প্রকাশিত সময় : ০৮:২০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দশ শতক জমিতে চাষাবাদ এবং বাবা টেইলারিং কাজ করে যা আয় হতো সেটা দিয়ে টেনেটুনে চলা সংসারে বেড়ে ওঠা দৃশ্যমান আয় না থাকা ছেলের রাজকীয় জীবনযাপন দেখে স্বয়ং এলাকাবাসীরাও হতভম্ব!কয়েকবছরের ব্যবধানে খুঁড়ে ঘর থেকে আলিশান বাড়ী,দামী বাইক,কয়েকমাস পর পর গাড়ীর মডেল পরিবর্তন,অর্ধ কোটি টাকার ডিস লাইনের ব্যবসা,লাখ টাকা খরচ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছেলের জন্মদিন পালন আরও কত কি!খোদ সহপাঠীরাই বলছে টাকার অভাবে অন্যের দয়ার টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়া যুবকের মাসে হাত খরচ এখন লাখ টাকা।

বলছিলাম চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ রাসেল ( ২৭) এর কথা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ারের সাথে মোঃ রাসেল

অনুসন্ধান আর সূত্র বলছে, মা ছেলে মিলে সীমান্ত উপজেলা থেকে প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে কৌশলে মাদক পাচার করে অল্প সময়ে বনে গেছে লাখপতি। কিন্তু একবারের জন্যও আইনের আওতায় আসেনি মা ছেলে সিন্ডিকেট।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, রান্না করা মুরগীর মাংস আর ভাত ভর্তি টিফিন বক্সে ইয়াবা পাচার করার দৃশ্য আমার নিজ চোখে দেখা।গরুর পেটে করে বরইতলী থেকে পদুয়া এলাকায় খালাত ভাই মাদক মাফিয়া, একাধিক মাদক মামলার আসামি জমিরের কাছে নিরাপদে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কথা এলাকার অনেকের জানা। সেই মাদকের টাকাকে হালাল করতে চাকরি নেয় স্থানীয় ক্যাবল অপারেটর কোম্পানিতে।সেখানে নানান কারনে মালিক পক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করলে যোগ দেয় রাজনীতিতে।স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, এলাকার অঘোষিত রাজা ভূমিদস্যু, দখলবাজ,চিহ্নিত ডাকাত চকরিয়া সংসদীয় আসনের দাপটে এমপি জাফর আলমের শীর্ষ ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে ডাকাত নজরুল প্রকাশ কালা নজরুলের আশীর্বাদে ছাত্র রাজনীতিতে পদায়ন হয়ে বনে যায় প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা। এখন আর তাকে ঠেকায় কে? বড় বড় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে ছবি ও সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অল্পসময়ে জায়গা করে নেয় মস্তবড় ছাত্রনেতার আসন। মিছিল মিটিং এ কালো টাকা খরচ করে নজর কাটে জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের। এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এলাকার বেকার যুবকদের হাতের মুঠোয় নিয়ে তৈরি করে রাসেল বাহিনী। এতে করে এলাকায় বনে যায় মুকুটহীন সম্রাট।হয়ে যায় কালা নজরুলের অন্যতম ক্যাডার।এই ছাত্রলীগ নেতা এত এত ক্ষমতার দাপটে হয়ে উঠে বেপরোয়া।ক্ষমতার জাগান দিতে প্রথম ছোবল টা মারে স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী ও তার চাকরিদাতা ডিস মাসুককে।ডিস মাসুকও আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের প্ররোচনায় একদিন রাতে ডিস মাসুককে কালা নজরুলের বাসায় ডেকে এনে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তিন’শ টাকার খালী স্টাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নিয়ে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ডিস লাইন ব্যবসা দখল করে নেয় কালা নজরুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল৷ এছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বাবার বয়সী লোকজনের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করতো না এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। একদিন ক্ষেতের চারা নষ্টে অজুহাতে এক বৃদ্ধ কৃষককে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ছিলো। সেই বৃদ্ধ কৃষক দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও ছাত্রলীগের প্রভাব কাটিয়ে সঠিক বিচার পায়নি বৃদ্ধ কৃষক। এছাড়া এলাকায় এমন শত শত মানুষকে নির্যাতন ও অপরাধ করেও তার বিরুদ্ধে টুঁশব্দ করার দুঃসাহস করত না কেউ।
এছাড়া জেলা বাইক চোর সিন্ডিকেট এর অন্যতম সদস্য হলো এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে চকরিয়া থেকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলসহ চোর সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। সেসময় তাকেও আটকের সত্যতা পাওয়া গেছে।তখন ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার কারনে এবং আওয়ামী ক্যাডার কালা নজরুলের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়েছিল।এছাড়া জুলাই মাস থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত চলা ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রচুর অর্থ ব্যয়,অস্ত্র সরবরাহ করারও অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রলীগ নেতা রাসেলের বিরুদ্ধে। এছাড়া ছাত্র জনতার আন্দোলনে ব্যবহার করা কালা নজরুলের অবৈধ অস্ত্র বর্তমানে এ রাসেলের হেফাজতে রয়েছে বলে সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

দেশে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কালা নজরুলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেলেও ভোল্টপাল্টে বহালতবিয়তে থেকে সেই আগের চেয়ে বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা রাসেল। তবে এর কারন অনুসন্ধান করে এ প্রতিবেদক। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়,স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ০৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদ মেম্বারের ছেলে সাকিবুল ইসলামের মাধ্যমে শহিদ মেম্বারের সাথে আঁতাত করে কালা নজরুলের সকল ব্যবসা বানিজ্য অবৈধ উপায় অর্জিত সকল সম্পদের জিম্মাদারি নিয়েছেন শহিদ মেম্বার। সে সুযোগে রাসেলের দখলে থাকা ডিস ব্যবসার পার্টনার বানিয়ে নেয় শহিদ মেম্বারকে৷ এতে করে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি হয়ে যায়।

ডিস ব্যবসা দখলের বিষয়ে এ প্রতিবেদক ডিস মাসুককে খোঁজে বের করে ভিডিও সাক্ষাৎকার নিতে গেলে এক হৃদয়বিদারকের দৃশ্য অবতারণা হয়।ভুক্তভোগী মাসুক প্রথমে ক্ষোভের সূরে কথা বলতে না চাইলেও পরে অশ্রুসিক্ত নয়নে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এদেশে কোন বিচার নেই৷ আমিও একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে আমার কর্মচারী রাসেল ও কালা নজরুল মিলে ধরে নিয়ে রাতের আঁধারে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলা ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের প্রতিষ্টিত ডিস ব্যবসাটি জোরপূর্বক খালি স্টাম্পে সাক্ষর নিয়ে দখল করে নেয়। এতে খুবই অসহায় হয়ে গেছিলাম। আমি কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ নিতে পারিনি শুধুমাত্র নিজের নিরাপত্তাহীনতার কারনে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজনৈতিক নেতার নামে দুর্বৃত্ত কালা নজরুল পালিয়ে গেলেও ছাত্রলীগ নেতা দাবিদার রাসেল স্থানীয় মেম্বার ও বিএনপি নেতা শহিদ মেম্বারের সাথে হাত মিলিয়ে সেই ব্যবসা দখল করে আছে।আমি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে মানুষ নামের এসব দানবদের কাছ থেকে আমার ব্যবসাটা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য অনুরোধের সাথে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

সকল অভিযোগের বিষয়ে মোঃ রাসেলের কাছে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে প্রথমে মেম্বারের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি বলে ফোন কেটে দেয়।অল্প কিছুক্ষণ পর প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন দিয়ে মনসুর নামে কোন এক বিশেষ বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নিউজ করেন কোন সমস্যা নেই বলে আবারও ফোন কেটে দেয়। পরবর্তী আবার ফোন দিয়ে বলে আমি এসবের সাথে জড়িত নাই।

প্রতিবেদক সরাসরি সাক্ষাৎ করে চকরিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলীকে ছাত্রলীগ ক্যাডার রাসেলের বিষয়ে অবগত করা হলে,তিনি বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম।খুব শিগ্রই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷