১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত: শত গ্রাম প্লাবিত:বন্যার শংকা

  • শ.ম.গফুর:
  • প্রকাশিত সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৭ ভিউ

জেলায় গত দু’দিন ধরে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবার পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার শতাধিক গ্রামে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রবল বৃষ্টির কারণে পর্যটন এলাকা কলাতলী, পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ড, চকরিয়া পেকুয়া, কুতুবদিয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, ঈদগাও, কক্সবাজার সদরের নিম্নাঞ্চলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বীজতলা, পানের বরজ এবং সবজিখেত। ইতোমধ্যে ৮ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁকখালি এবং মাতামুহরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, টেকনাফে ২ দিনের ভারী বর্ষণে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলাখ মানুষ। বুধবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিতে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া শামলাপুর, সাবরাং ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।উখিয়ার পালংখালী ইউপির চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন জানান,উখিয়ার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কয়েকটি নিচু জায়গা পাহাড়ি পানিতে ডুবে আছে।পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী,তেলখোলা,পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়া আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮৮ থেকে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ দুপুর থেকে কক্সবাজারে অতি ভারী বর্ষণ শুরু হয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

প্রবল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত: শত গ্রাম প্লাবিত:বন্যার শংকা

প্রকাশিত সময় : ০২:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জেলায় গত দু’দিন ধরে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবার পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার শতাধিক গ্রামে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রবল বৃষ্টির কারণে পর্যটন এলাকা কলাতলী, পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ড, চকরিয়া পেকুয়া, কুতুবদিয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, ঈদগাও, কক্সবাজার সদরের নিম্নাঞ্চলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বীজতলা, পানের বরজ এবং সবজিখেত। ইতোমধ্যে ৮ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁকখালি এবং মাতামুহরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, টেকনাফে ২ দিনের ভারী বর্ষণে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধলাখ মানুষ। বুধবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টিতে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর, বাহারছড়া শামলাপুর, সাবরাং ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।উখিয়ার পালংখালী ইউপির চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন জানান,উখিয়ার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কয়েকটি নিচু জায়গা পাহাড়ি পানিতে ডুবে আছে।পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী,তেলখোলা,পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়া আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮৮ থেকে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ দুপুর থেকে কক্সবাজারে অতি ভারী বর্ষণ শুরু হয়।