০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কক্সবাজারবাসীর জন্য অভিশাপ-অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন -বাপা কক্সবাজার জেলা কমিটির আয়োজনে কক্সবাজারে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় করনীয় এবং সাংগঠনিক কর্মশালা

গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী কলাতলীস্থ হোটেল বিচওয়ে হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ কর্মশালায়  তিনি বলেন, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাকঁখালী নদী দখল মুক্ত করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে, সরকার ও প্রশাসনের সুবিধা মতো পাহাড়-সমুদ্র কিংবা নদীর তীরে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন মহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেগা প্রকল্পের নামে শুধুমাত্র লুটপাট করার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যা ভবিষৎতে কক্সবাজারবাসীর জন্য অভিশাপ হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মনে রাখতে হবে  দেশের অন্য জেলার চেয়ে কক্সবাজার ভৌগোলিক কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসার পর থেকে যে পরিমাণ বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে তা সহজে অনুমেয় নয়।

 বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা  কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি  সাংবাদিক এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে শহর বাপার সাধারণ সম্পাদক ইরফান উল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি,  স্থপতি ইকবাল হাবিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন

কক্সবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, এইচ এম নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট আইনজীবী ও পরিবেশবিদ মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা প্রমুখ।

এতে বক্তারা আরো বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বন, নদী, সমুদ্রের তীর ও লবনের মাঠ রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী হওয়ায় মানবপাচার ও মাদকও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কক্সবাজার প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে রোহিঙ্গা আগমনে ফলে। এতে প্রথমে রান্নার জ্বালানি ও বাসস্থানের প্রয়োজনে শুধু মাত্র বনের কাঠ ও বনের গাছ ব্যবহার করা হয়।

 এতে উজাড় হয় হাজার হাজার একর বনভূমি। বনভূমিতেই গড়ে উঠে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাদের বসতঘর। এতে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি উজাড় হয়। তাছাড়া সামরিক ক্যাম্প তৈরি করায় এতেও ১ হাজার একরের বেশি বনভূমি উজাড় হয়। এর পুরোটাই ছিলো গভীর বনভূমি ও হাতির আবাসস্থল ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য।

কক্সবাজারে পরিবেশ বিপর্যয়ের দ্বিতীয় কারণ হলো কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রথমে একই স্থানে ১৭ টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের চেষ্টা করা হয় কিন্তু পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের মুখে ও আন্তর্জাতিক চাপে সেখান থেকে ফিরে আসে সরকার ২টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়। যে জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় তার পুরোটাই বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ং সম্পূর্ন লবণ মাঠ।

১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশের এলাকাকে ইসিএ এলাকা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি গেজেট আরি করে। ৩০০ মিটারের মধ্যে সকল ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়।

জনগণ আইন মানলেও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা নিজের কার্যালয়, ইনানি সৈকতে জেটি ও হোটেল নির্মাণ করে আইনলঙ্গন করে। বাকঁখালী নদীর মোহনা ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। যা কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতিতে মারাত্মক আঘাত আনে যার ফলে বাঁকখালী মহোনা ভরাট হয়ে যাচ্ছে এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক বিরোপ প্রভাব ফেলেছে।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের পরেও এখনো উচ্ছেদ করা হয়নি ৫১ একের বনভূমি। এটি ছিলো কক্সবাজারে পাহাড়ের উপরে প্রথম আঘাত।

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার স্তূপ নদীর তীরে রাখায় প্রতি মুহুর্তে নদী দখল দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। একই সাথে একমাত্র প্রবাল দ্বীপে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে চলছে কংক্রিটের স্থাপনা। জনপ্রিয় এমন একটি পর্যটন কেন্দ্রে নেই সুয়ারেজ স্টিটেম। সেন্ট মার্টিন এর ভারসাম্য রক্ষায় মানুষের অবাধ বিচারন নিয়ন্ত্রণ এর দাবী দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বেশ কয়েকটি দাবী তুলে ধরেন তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাঁকখালী নদীর তীর দখল মুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা।

সেন্টমার্টিনে কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ ও পরিকল্পিত সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় পলিথিন,  প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট নিষিদ্ধ করতে হবে।

বাঁকখালি নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করার আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।

 মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

কোহেলিয়া নদী দখল করে যে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে তা অপসারণ করতে হবে।

পাহাড় কাটা বন্ধ এবং দখলকৃত পাহাড় উদ্ধার এবং দখলদারদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

উক্ত দাবী বাস্তবায়নে জনমত গড়ে তুলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা কক্সবাজার জেলা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য কর্মশালা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিতি সদস্যদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

নাগরিক বিবেক কক্সবাজার (নাবিক) আয়োজিত সীরাত কুইজ ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কক্সবাজারবাসীর জন্য অভিশাপ-অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রকাশিত সময় : ০৩:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন -বাপা কক্সবাজার জেলা কমিটির আয়োজনে কক্সবাজারে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় করনীয় এবং সাংগঠনিক কর্মশালা

গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী কলাতলীস্থ হোটেল বিচওয়ে হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ কর্মশালায়  তিনি বলেন, কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাকঁখালী নদী দখল মুক্ত করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে, সরকার ও প্রশাসনের সুবিধা মতো পাহাড়-সমুদ্র কিংবা নদীর তীরে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন মহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেগা প্রকল্পের নামে শুধুমাত্র লুটপাট করার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যা ভবিষৎতে কক্সবাজারবাসীর জন্য অভিশাপ হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মনে রাখতে হবে  দেশের অন্য জেলার চেয়ে কক্সবাজার ভৌগোলিক কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসার পর থেকে যে পরিমাণ বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে তা সহজে অনুমেয় নয়।

 বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা  কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি  সাংবাদিক এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে শহর বাপার সাধারণ সম্পাদক ইরফান উল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি,  স্থপতি ইকবাল হাবিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন

কক্সবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, এইচ এম নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট আইনজীবী ও পরিবেশবিদ মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা প্রমুখ।

এতে বক্তারা আরো বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বন, নদী, সমুদ্রের তীর ও লবনের মাঠ রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী হওয়ায় মানবপাচার ও মাদকও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। কক্সবাজার প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে রোহিঙ্গা আগমনে ফলে। এতে প্রথমে রান্নার জ্বালানি ও বাসস্থানের প্রয়োজনে শুধু মাত্র বনের কাঠ ও বনের গাছ ব্যবহার করা হয়।

 এতে উজাড় হয় হাজার হাজার একর বনভূমি। বনভূমিতেই গড়ে উঠে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাদের বসতঘর। এতে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমি উজাড় হয়। তাছাড়া সামরিক ক্যাম্প তৈরি করায় এতেও ১ হাজার একরের বেশি বনভূমি উজাড় হয়। এর পুরোটাই ছিলো গভীর বনভূমি ও হাতির আবাসস্থল ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য।

কক্সবাজারে পরিবেশ বিপর্যয়ের দ্বিতীয় কারণ হলো কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রথমে একই স্থানে ১৭ টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের চেষ্টা করা হয় কিন্তু পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের মুখে ও আন্তর্জাতিক চাপে সেখান থেকে ফিরে আসে সরকার ২টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়। যে জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয় তার পুরোটাই বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ং সম্পূর্ন লবণ মাঠ।

১৯৯৯ সালে সরকার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আশেপাশের এলাকাকে ইসিএ এলাকা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি গেজেট আরি করে। ৩০০ মিটারের মধ্যে সকল ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়।

জনগণ আইন মানলেও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা নিজের কার্যালয়, ইনানি সৈকতে জেটি ও হোটেল নির্মাণ করে আইনলঙ্গন করে। বাকঁখালী নদীর মোহনা ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। যা কক্সবাজারে পরিবেশ ও প্রকৃতিতে মারাত্মক আঘাত আনে যার ফলে বাঁকখালী মহোনা ভরাট হয়ে যাচ্ছে এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক বিরোপ প্রভাব ফেলেছে।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের পরেও এখনো উচ্ছেদ করা হয়নি ৫১ একের বনভূমি। এটি ছিলো কক্সবাজারে পাহাড়ের উপরে প্রথম আঘাত।

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার স্তূপ নদীর তীরে রাখায় প্রতি মুহুর্তে নদী দখল দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। একই সাথে একমাত্র প্রবাল দ্বীপে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে চলছে কংক্রিটের স্থাপনা। জনপ্রিয় এমন একটি পর্যটন কেন্দ্রে নেই সুয়ারেজ স্টিটেম। সেন্ট মার্টিন এর ভারসাম্য রক্ষায় মানুষের অবাধ বিচারন নিয়ন্ত্রণ এর দাবী দীর্ঘদিন ধরে করে আসলেও বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বেশ কয়েকটি দাবী তুলে ধরেন তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাঁকখালী নদীর তীর দখল মুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনা।

সেন্টমার্টিনে কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ ও পরিকল্পিত সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিন এলাকায় পলিথিন,  প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট নিষিদ্ধ করতে হবে।

বাঁকখালি নদীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করার আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।

 মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

কোহেলিয়া নদী দখল করে যে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে তা অপসারণ করতে হবে।

পাহাড় কাটা বন্ধ এবং দখলকৃত পাহাড় উদ্ধার এবং দখলদারদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

উক্ত দাবী বাস্তবায়নে জনমত গড়ে তুলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা কক্সবাজার জেলা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য কর্মশালা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিতি সদস্যদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।