০৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন-উপদেষ্টাদের প্রতি সালাহউদ্দীন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের, গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না।যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে, তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাবেদারি চলবে না।যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, যদি আইনের শাসনের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, তাহলে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নগরের আলমাস মোড়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত,কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন জারি রাখতে হবে জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
সুতরাং চলমান এ আন্দোলন যতদিন
সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন চালু রাখতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস,বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার ঘোষণা না দেয়, ততদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাই, যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আপনারা ঘোষণা করুন। তাহলে এদেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে যে, বাংলাদেশ সত্যিই প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।
সবকিছু এমনি এমনি এসেছে, এটা ভুল কথা। ৪৮৫ জন শহীদের মধ্যে এ গণঅভ্যুত্থানে, এ গণবিপ্লবে ৪২২ জন শহীদ বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ আন্দোলন সংগ্রামে ৭শ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, তার মধ্যে শত-শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী।
সালাউদ্দীন আহমেদ’র নেতৃত্বে শোভাযাত্রা নগরের আলমাস হয়ে কাজীর দেউড়ি, লাভ লেইন, জুবলি রোড, নিউ মার্কেট, কোতোয়ালী হয়ে লালদীঘি পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল ও সরওয়ার জামাল নিজাম।
এতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন-উপদেষ্টাদের প্রতি সালাহউদ্দীন আহমেদ

প্রকাশিত সময় : ০৪:০২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণহত্যাকারীর আর কোনোদিন জায়গা হবে না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের, গণহত্যাকারীদের কোনো রাজনীতি চলবে না।যদি গণহত্যাকারীদের রাজনীতি চলে, তাহলে বাংলাদেশ আবার পরাধীন হবে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের এখানে তাবেদারি চলবে না।যদি সত্যিকারভাবে স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, যদি আইনের শাসনের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চান, তাহলে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমাদের পরস্পরের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দিতে হবে। কেউ আইনের চেয়ে বড় নন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নগরের আলমাস মোড়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত,কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্রের শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলন জারি রাখতে হবে জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দীন আহমেদ বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
সুতরাং চলমান এ আন্দোলন যতদিন
সত্যিকারভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন চালু রাখতে হবে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যতদিন পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, সংসদ প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। এত রক্ত, এত ঘাম, এত প্রাণ, এত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি বাংলাদেশে নতুন স্বাধীনতা দিবস,বাংলাদেশের নতুন গণতন্ত্র দিবস।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবার ঘোষণা না দেয়, ততদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাই, যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনমুখী সংস্কার সাধন করুন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আপনারা ঘোষণা করুন। তাহলে এদেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে যে, বাংলাদেশ সত্যিই প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাবে।
সবকিছু এমনি এমনি এসেছে, এটা ভুল কথা। ৪৮৫ জন শহীদের মধ্যে এ গণঅভ্যুত্থানে, এ গণবিপ্লবে ৪২২ জন শহীদ বিএনপির নেতাকর্মী। ১১৩ জনের বেশি ছাত্রদলের নেতাকর্মী। এ আন্দোলন সংগ্রামে ৭শ’র বেশি মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৪২৩ জন শুধু বিএনপির নেতাকর্মী। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে প্রায় ২ হাজার ৭০০ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, তার মধ্যে শত-শত মানুষ বিএনপির নেতাকর্মী।
সালাউদ্দীন আহমেদ’র নেতৃত্বে শোভাযাত্রা নগরের আলমাস হয়ে কাজীর দেউড়ি, লাভ লেইন, জুবলি রোড, নিউ মার্কেট, কোতোয়ালী হয়ে লালদীঘি পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল ও সরওয়ার জামাল নিজাম।
এতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।