০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দালাল বদির স্বাক্ষর ছাড়া ফাইল নড়ে না এলএ শাখায়

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ভূমি অধিগ্রহণে চিহ্নিত দালাল দিয়ে অফিসে কাজ করাচ্ছেন সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম। গেল ৭ বছর ধরে এই দালাল ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কাজ করে যাচ্ছেন। তার নিজ বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বলে জানাগেছে। এভাবে চলতে থাকলে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবারও শৃংখলা ভেঙ্গে অতীতের রেকর্ড পূণরায় সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র জানিয়েছেন, চিহ্নিত এ দালালের স্বাক্ষর ছাড়া সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামসহ একাধিক কর্মচারি ফাইলে হাত দিতে চায় না বলে খোদ ভূক্তভোগিদের অভিযোগ। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালাল বদিউল আলম দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া, রামু ও ঈদগাহ উপজেলার রেল লাইনের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের জিম্মি করে এ কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক জানান, তার এই কমিশন কান্ডে যদি কোনো জমির মালিক রাজি না হয়, তখন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের ফাইল ছিড়ে ফেলবে অথবা গায়েব করার হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, তার কথা মতো আপোষ না হলে মরণের আগ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের চেক পাবে না বলেও হুমকি দেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সাথে অসদাচরণসহ বেপরোয়া কর্মকান্ড চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব ছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারসহ আরও নানান অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত বদিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলেও জানান।

কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পেতে দালাল ধরবেন না, প্রতারিত হবেন না এই লেখাটি দেয়ালে লেখা থাকলেও বাস্তবে কোন কার্যকর নেই বললেই চলে। হরি লুট চলছে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায়। তার মধ্যে একজন চিহ্নিত দালাল দিয়ে সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কিভাবে কাজ করাচ্ছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি নবাগত জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দালালদের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ না করতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যে সব ভূমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে সে সব জমির অধিগ্রহণের টাকা যথাযথ আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ধরনের কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

দালাল বদির স্বাক্ষর ছাড়া ফাইল নড়ে না এলএ শাখায়

প্রকাশিত সময় : ০৩:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ভূমি অধিগ্রহণে চিহ্নিত দালাল দিয়ে অফিসে কাজ করাচ্ছেন সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম। গেল ৭ বছর ধরে এই দালাল ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কাজ করে যাচ্ছেন। তার নিজ বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া বলে জানাগেছে। এভাবে চলতে থাকলে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবারও শৃংখলা ভেঙ্গে অতীতের রেকর্ড পূণরায় সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র জানিয়েছেন, চিহ্নিত এ দালালের স্বাক্ষর ছাড়া সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামসহ একাধিক কর্মচারি ফাইলে হাত দিতে চায় না বলে খোদ ভূক্তভোগিদের অভিযোগ। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালাল বদিউল আলম দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া, রামু ও ঈদগাহ উপজেলার রেল লাইনের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের জিম্মি করে এ কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক জানান, তার এই কমিশন কান্ডে যদি কোনো জমির মালিক রাজি না হয়, তখন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মালিকের ফাইল ছিড়ে ফেলবে অথবা গায়েব করার হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, তার কথা মতো আপোষ না হলে মরণের আগ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের চেক পাবে না বলেও হুমকি দেন। পাশাপাশি তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সাথে অসদাচরণসহ বেপরোয়া কর্মকান্ড চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব ছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারসহ আরও নানান অভিযোগ রয়েছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত বদিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলেও জানান।

কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পেতে দালাল ধরবেন না, প্রতারিত হবেন না এই লেখাটি দেয়ালে লেখা থাকলেও বাস্তবে কোন কার্যকর নেই বললেই চলে। হরি লুট চলছে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায়। তার মধ্যে একজন চিহ্নিত দালাল দিয়ে সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ শাখায় কিভাবে কাজ করাচ্ছে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি নবাগত জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দালালদের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ না করতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যে সব ভূমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে সে সব জমির অধিগ্রহণের টাকা যথাযথ আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ধরনের কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।