১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুরুশকুলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীর উপর হামলা

কক্সবাজার সদরস্থ খুরুশকুল ইউনিয়নে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে কক্সবাজার সরকারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ ঘটিকার সময় খুরুশকুল ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ড লামাজী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের ভিকটিম মোহাম্মদ ইমরান।

অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের লামাজী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ এনামুল হকের পুত্র আহত মোঃ ইমরানের সাথে স্থানীয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে অভিযুক্ত ২/১ জনের (রায়হান ও আলী হোসেন) সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে কথা কাটাকাটি হয়।

এ নিয়ে মোঃ ইমরানের সাথে একই মহল্লার মোস্তাকের ছেলে রায়হান, আবুল হোসেনের ছেলে আলী হোসেন সাথে পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার অভিযুক্তদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে স্থানীয় বাজারে (টাইম বাজার) যাওয়ার সময় মোহাম্মদ ইমরানকে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেকে নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে মোশতাকের পুত্র মোহাম্মদ রায়হান (২০), আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আলী হোছেন (২২), রশিদ আহাম্মদের পুত্র মোঃ মোস্তাক (৫০), মোস্তাকের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫), আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সাইফুল (১৯)। এসময় হামলার শিকার মোঃ ইমরানের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তারা আহত ইমরানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, কারো যেন কান্নার আওয়াজ কানে ভেসে আসছিল। খেয়াল করে বুঝতে পারেন মুস্তাকের বাড়িতে কাউকে যেন মারধর করা হচ্ছে। দ্রুত গিয়ে দেখেন এনামের পুত্র ইমরানকে ৪-৫ জন মিলে বেদম প্রহার করছে। এ দৃশ্য দেখে তারা দু তিনজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে পড়েন। তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি আরো বলেন, এনামের চার ছেলে আছে বড় ছেলে পুলিশে চাকরি করেন, মেজ ছেলে ও ছোট ছেলে প্রবাসী। ইমরান কলেজের লেখাপড়ার পাশাপাশি কোর্টে এক এডভোকেটের আন্ডারে কাজ করেন।

এনামের পরিবার শিক্ষিত পরিবার। তার ছেলেদেরকে কোনদিন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকতে দেখিনি। হামলা কারিরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও প্রকাশ্য খুনি। এদের হাতে এপর্যন্ত ২/৩ জন মানুষ খুন হয়েছেন। এদের পরিবারে নিত্য ঝগড়া বিবার লেগে থাকেন। তুচ্ছ ঘটনায় তারা যে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতে দ্বিধা করেন। তাদের রয়েছে থানা কোর্টে অসংখ্য মামলা। টাকা ও ক্ষমতার জোরে বারবার এসব ঘটনা থেকে পার পেয়ে যায়। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে আহত মোঃ ইমরান জানান, অভিযুক্তদের সাথে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ হয় তার। তাদের বাড়ির লাগুয়া আমাদের বাড়ি। তাদের সাথে অনেক দিন আগে ক্রিকেট খেলার মাঠে কথা কাটাকাটি হলেও প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ হতো কৌশল বিনিময় হতো। কিন্তু আজকে আমি বাজারে যাওয়ার সময় তারা আমাকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। ৪-৫ জন মিলে মেরেছে। সারা শরীরে ফোলা ও কাটা যখন হয়েছে। মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। আগামীকাল কলেজে পরীক্ষা আছে। আহত শরীর নিয়ে কিভাবে পরীক্ষা দেব কিছু বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দিয়েছি। এই চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বিভিন্ন সূত্রে অভিযুক্ত মোস্তাকের মুঠোফোন নম্বর পাওয়া গেলেও সেই নম্বরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আহত ছাত্রের কাছ থেকে একটি এজাহার পেয়েছে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

খুরুশকুলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীর উপর হামলা

প্রকাশিত সময় : ০৬:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সদরস্থ খুরুশকুল ইউনিয়নে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে কক্সবাজার সরকারি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ ঘটিকার সময় খুরুশকুল ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ড লামাজী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের ভিকটিম মোহাম্মদ ইমরান।

অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের লামাজী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ এনামুল হকের পুত্র আহত মোঃ ইমরানের সাথে স্থানীয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে অভিযুক্ত ২/১ জনের (রায়হান ও আলী হোসেন) সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে কথা কাটাকাটি হয়।

এ নিয়ে মোঃ ইমরানের সাথে একই মহল্লার মোস্তাকের ছেলে রায়হান, আবুল হোসেনের ছেলে আলী হোসেন সাথে পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার অভিযুক্তদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে স্থানীয় বাজারে (টাইম বাজার) যাওয়ার সময় মোহাম্মদ ইমরানকে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেকে নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করেছে মোশতাকের পুত্র মোহাম্মদ রায়হান (২০), আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আলী হোছেন (২২), রশিদ আহাম্মদের পুত্র মোঃ মোস্তাক (৫০), মোস্তাকের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫), আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সাইফুল (১৯)। এসময় হামলার শিকার মোঃ ইমরানের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তারা আহত ইমরানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, কারো যেন কান্নার আওয়াজ কানে ভেসে আসছিল। খেয়াল করে বুঝতে পারেন মুস্তাকের বাড়িতে কাউকে যেন মারধর করা হচ্ছে। দ্রুত গিয়ে দেখেন এনামের পুত্র ইমরানকে ৪-৫ জন মিলে বেদম প্রহার করছে। এ দৃশ্য দেখে তারা দু তিনজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে পড়েন। তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি আরো বলেন, এনামের চার ছেলে আছে বড় ছেলে পুলিশে চাকরি করেন, মেজ ছেলে ও ছোট ছেলে প্রবাসী। ইমরান কলেজের লেখাপড়ার পাশাপাশি কোর্টে এক এডভোকেটের আন্ডারে কাজ করেন।

এনামের পরিবার শিক্ষিত পরিবার। তার ছেলেদেরকে কোনদিন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকতে দেখিনি। হামলা কারিরা সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও প্রকাশ্য খুনি। এদের হাতে এপর্যন্ত ২/৩ জন মানুষ খুন হয়েছেন। এদের পরিবারে নিত্য ঝগড়া বিবার লেগে থাকেন। তুচ্ছ ঘটনায় তারা যে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতে দ্বিধা করেন। তাদের রয়েছে থানা কোর্টে অসংখ্য মামলা। টাকা ও ক্ষমতার জোরে বারবার এসব ঘটনা থেকে পার পেয়ে যায়। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে আহত মোঃ ইমরান জানান, অভিযুক্তদের সাথে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ হয় তার। তাদের বাড়ির লাগুয়া আমাদের বাড়ি। তাদের সাথে অনেক দিন আগে ক্রিকেট খেলার মাঠে কথা কাটাকাটি হলেও প্রতিদিন দেখা সাক্ষাৎ হতো কৌশল বিনিময় হতো। কিন্তু আজকে আমি বাজারে যাওয়ার সময় তারা আমাকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। ৪-৫ জন মিলে মেরেছে। সারা শরীরে ফোলা ও কাটা যখন হয়েছে। মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। আগামীকাল কলেজে পরীক্ষা আছে। আহত শরীর নিয়ে কিভাবে পরীক্ষা দেব কিছু বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দিয়েছি। এই চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বিভিন্ন সূত্রে অভিযুক্ত মোস্তাকের মুঠোফোন নম্বর পাওয়া গেলেও সেই নম্বরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আহত ছাত্রের কাছ থেকে একটি এজাহার পেয়েছে বলে জানান কক্সবাজার সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।