১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুতুপালংয়ের ছমিউদ্দিন কর্তৃক মিথ্যা তথ্য সৃজিত মামলা ও মিথ্যাচার প্রসঙ্গে কবির আহমদ

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ০২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৫১ ভিউ

গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার ১ম পাতায়’কুতুপালংয়ে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগে মামলা’শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।সংবাদে উপস্থাপিত তথ্যে মিথ্যা মামলা করাটা সত্য,অবশিষ্ট সর্ব্বে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।বর্ণিত তথ্য সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন,উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও হয়রানীমুলক।যিনি মিথ্যা মামলার বাদী হয়েছেন এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন,তিনি একজন মিথ্যা মামলাবাজ,জবর দখল প্রকৃতির লোক ও তথাকথিত আইনজীবী।যিনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিচার পরিপন্থি কাজে জড়িত রয়েছেন। নিজেই বাদী হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন লোকজন’কে মামলায় ফাঁসানোতে বাদী সাজান।কথিত আইনজীবী ছমিউদ্দিন শুধু মিথ্যা মামলাবাজ নয়,একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির দখলবাজও। তার মিথ্যা মামলা থেকে সংখ্যালঘু পরিবারও রেহাই পায়নি।রেহাই পায়নি রক্তের আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীও।ছমি উদ্দিন নিজের এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বা আইনী সহযোগিতা দিয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করেছেন এমন কোন নজির নেই। শুধু মিথ্যা মামলার বাদী হওয়া,মিথ্যা মামলার বাদী সাজানো,অন্যের জায়গা-জমি দখল-বেদখলের নাটের গুরু হিসেবে খ্যাতি আছে নিজের এলাকায়।
সে আইনজীবী সেজে চট্টগ্রাম কোর্টে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসামী জামিন করানোর ঘটনায় ভুয়া আইনজীবী হিসেবে পরিচিত পান।ছমি উদ্দিন তার প্রতিবেশী দূরতম আত্মীয় কুতুপালং এলাকার শুধু নয়, পুরো জেলার কৃতিসন্তান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.আলী হোসাইন সুমনের নামে একের পর এক ১৭ টি মামলা রুজু করে হয়রানী করে আসছেন।শুধু প্রাপ্ত জমি না দিয়ে হয়রানী এবং এলাকায় না ফেরার জন্য এসব মামলায় ফাঁসান।।সংখ্যালঘু বজেন্দ্র বড়ুয়া গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।ওই মামলায় মিলন বড়ুয়া নামের একজন জেল খেটেছেন।আমি ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুয়েত প্রবাসী ছিলাম।আমি ২০ বছরের প্রবাস জীবনে যথেষ্ট অর্থ ও সম্পদ অর্জন করেছি।সেখানে কারো জমি দখল হাস্যকর মাত্র।ছমি উদ্দিন আমার ভাই জানে আলমের নাম বিকৃত করে ডাকাত বলেছেন।শিক্ষিত মানুষ ছমি তার এটি কেমন আচরণ?। সে আমার নামে ১৯৯৮, ২০১২ সালে পৃথক দুটি মামলা করেছিল,তাতে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।২০২৩ সালে আরেকটি মামলা করেছিল,তা আদালত খারিজ করে দেয়।চলতি বর্ষে ৫ সেপ্টেম্বর ছমি উদ্দিন বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সৃজিত আরোও একটি মামলা দায়ের করেন,আমি আইন-আদালতের প্রতি সম্মান রেখে আত্মসমর্পণ পুর্বক জামিন নিয়েছি।জামিনে আছি।আমার ভগ্নিপতি ওবায়দূর রহমান,তার ভাই সিরাজ সওদাগর ও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে।সেই মামলাও মিথ্যা।অথচ ছমি উদ্দিন নিজেকে আহামরি আইনজীবী এবং পদবিহীন আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বহু কু-কৃতির জন্ম দিয়েছেন।গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে তৎকালিন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বাগিয়ে নেন এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত দেখিয়ে তহবিল তছরুপের কারণে এলাকাবাসী গণমিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছিল। তখন সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন।

তিনি আইনীজীবী ও আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয়ে, উখিয়ার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে যা করে গেছেন,তা বেআইনী প্রক্রিয়ায়।আওয়ামীলীগ সরকার আমলে কুতুপালং এলাকায় তার চেয়ে বড় আওয়ামীলীগ নেতা ছিল না বলে প্রচার করতেন। নিজেকে বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে উখিয়ার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় কুতুপালং বাজার এলাকায় দখল-বেদখলের জন্ম দিয়েছেন ডজন-ডজন মিথ্যা মামলা করে এলাকার নিরীহ মানুষজনকে হয়রানী করে গেছেন।আবার অনেকজনকে মিথ্যা মামলার বাদীও সাজিয়েছেন।ছমি উদ্দিন কুতুপালং পালং বাজারে যে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন,উক্ত মার্কেটে ডা.সুমন,ওবায়দুর,সিরাজ ও কাসেম গং সহ বিভিন্ন জনের প্রাপ্ত জায়গা রয়েছে।যা জবর দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন।ওই সময় তিনি জাদরেল আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন, যদিওবা পদ-পদবী ছিল না।তার মামলার ব্যবসা ও জমি দখল প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতেন উখিয়ার এক প্রভাবশালী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার শক্তি।তিনি কুতুপালংয়ের আমজনতার চিকিৎসার ভরসাস্থল ‘কুতুপালং কমিউনিটি ক্লিনিকে’ ছমি উদ্দিনের জায়গা রয়েছে মর্মে অজুহাত তুলে ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক অজিত বড়ুয়া সহ দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ছমি উদ্দিন নিজের স্বার্থের জন্য করেন না এমন কোন কাজ নেই।মিথ্যা মামলা,হামলা,নেতা ও আইনজীবী পরিচয় দেওয়া,জালিয়াত করা,চিকিৎসা সেবাই আঘাত করা যেনো তাহার পেশা।আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সৃজিত মামলা, আমার ভাই জানে আলম’কে জড়ানো এবং উপস্থাপিত তথ্য সর্ব্বে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ-নিন্দা জানিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার সবিনয় অনুরোধ করছি।

নিবেদক-
মো.কবির আহমদ,(সদ্য কুয়েত ফেরত)
কুতুপালং বাজার,উখিয়া,কক্সবাজার।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

কুতুপালংয়ের ছমিউদ্দিন কর্তৃক মিথ্যা তথ্য সৃজিত মামলা ও মিথ্যাচার প্রসঙ্গে কবির আহমদ

প্রকাশিত সময় : ০২:২৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার ১ম পাতায়’কুতুপালংয়ে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগে মামলা’শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।সংবাদে উপস্থাপিত তথ্যে মিথ্যা মামলা করাটা সত্য,অবশিষ্ট সর্ব্বে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।বর্ণিত তথ্য সম্পুর্ন মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন,উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও হয়রানীমুলক।যিনি মিথ্যা মামলার বাদী হয়েছেন এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন,তিনি একজন মিথ্যা মামলাবাজ,জবর দখল প্রকৃতির লোক ও তথাকথিত আইনজীবী।যিনি নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বিচার পরিপন্থি কাজে জড়িত রয়েছেন। নিজেই বাদী হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন লোকজন’কে মামলায় ফাঁসানোতে বাদী সাজান।কথিত আইনজীবী ছমিউদ্দিন শুধু মিথ্যা মামলাবাজ নয়,একজন দুর্ধর্ষ প্রকৃতির দখলবাজও। তার মিথ্যা মামলা থেকে সংখ্যালঘু পরিবারও রেহাই পায়নি।রেহাই পায়নি রক্তের আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীও।ছমি উদ্দিন নিজের এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বা আইনী সহযোগিতা দিয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করেছেন এমন কোন নজির নেই। শুধু মিথ্যা মামলার বাদী হওয়া,মিথ্যা মামলার বাদী সাজানো,অন্যের জায়গা-জমি দখল-বেদখলের নাটের গুরু হিসেবে খ্যাতি আছে নিজের এলাকায়।
সে আইনজীবী সেজে চট্টগ্রাম কোর্টে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আসামী জামিন করানোর ঘটনায় ভুয়া আইনজীবী হিসেবে পরিচিত পান।ছমি উদ্দিন তার প্রতিবেশী দূরতম আত্মীয় কুতুপালং এলাকার শুধু নয়, পুরো জেলার কৃতিসন্তান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.আলী হোসাইন সুমনের নামে একের পর এক ১৭ টি মামলা রুজু করে হয়রানী করে আসছেন।শুধু প্রাপ্ত জমি না দিয়ে হয়রানী এবং এলাকায় না ফেরার জন্য এসব মামলায় ফাঁসান।।সংখ্যালঘু বজেন্দ্র বড়ুয়া গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।ওই মামলায় মিলন বড়ুয়া নামের একজন জেল খেটেছেন।আমি ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কুয়েত প্রবাসী ছিলাম।আমি ২০ বছরের প্রবাস জীবনে যথেষ্ট অর্থ ও সম্পদ অর্জন করেছি।সেখানে কারো জমি দখল হাস্যকর মাত্র।ছমি উদ্দিন আমার ভাই জানে আলমের নাম বিকৃত করে ডাকাত বলেছেন।শিক্ষিত মানুষ ছমি তার এটি কেমন আচরণ?। সে আমার নামে ১৯৯৮, ২০১২ সালে পৃথক দুটি মামলা করেছিল,তাতে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।২০২৩ সালে আরেকটি মামলা করেছিল,তা আদালত খারিজ করে দেয়।চলতি বর্ষে ৫ সেপ্টেম্বর ছমি উদ্দিন বাদী হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সৃজিত আরোও একটি মামলা দায়ের করেন,আমি আইন-আদালতের প্রতি সম্মান রেখে আত্মসমর্পণ পুর্বক জামিন নিয়েছি।জামিনে আছি।আমার ভগ্নিপতি ওবায়দূর রহমান,তার ভাই সিরাজ সওদাগর ও আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে।সেই মামলাও মিথ্যা।অথচ ছমি উদ্দিন নিজেকে আহামরি আইনজীবী এবং পদবিহীন আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বহু কু-কৃতির জন্ম দিয়েছেন।গত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে তৎকালিন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বাগিয়ে নেন এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত দেখিয়ে তহবিল তছরুপের কারণে এলাকাবাসী গণমিছিল, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছিল। তখন সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন।

তিনি আইনীজীবী ও আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয়ে, উখিয়ার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে যা করে গেছেন,তা বেআইনী প্রক্রিয়ায়।আওয়ামীলীগ সরকার আমলে কুতুপালং এলাকায় তার চেয়ে বড় আওয়ামীলীগ নেতা ছিল না বলে প্রচার করতেন। নিজেকে বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে উখিয়ার প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় কুতুপালং বাজার এলাকায় দখল-বেদখলের জন্ম দিয়েছেন ডজন-ডজন মিথ্যা মামলা করে এলাকার নিরীহ মানুষজনকে হয়রানী করে গেছেন।আবার অনেকজনকে মিথ্যা মামলার বাদীও সাজিয়েছেন।ছমি উদ্দিন কুতুপালং পালং বাজারে যে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন,উক্ত মার্কেটে ডা.সুমন,ওবায়দুর,সিরাজ ও কাসেম গং সহ বিভিন্ন জনের প্রাপ্ত জায়গা রয়েছে।যা জবর দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন।ওই সময় তিনি জাদরেল আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন, যদিওবা পদ-পদবী ছিল না।তার মামলার ব্যবসা ও জমি দখল প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করতেন উখিয়ার এক প্রভাবশালী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার শক্তি।তিনি কুতুপালংয়ের আমজনতার চিকিৎসার ভরসাস্থল ‘কুতুপালং কমিউনিটি ক্লিনিকে’ ছমি উদ্দিনের জায়গা রয়েছে মর্মে অজুহাত তুলে ওই কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক অজিত বড়ুয়া সহ দুইজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ছমি উদ্দিন নিজের স্বার্থের জন্য করেন না এমন কোন কাজ নেই।মিথ্যা মামলা,হামলা,নেতা ও আইনজীবী পরিচয় দেওয়া,জালিয়াত করা,চিকিৎসা সেবাই আঘাত করা যেনো তাহার পেশা।আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সৃজিত মামলা, আমার ভাই জানে আলম’কে জড়ানো এবং উপস্থাপিত তথ্য সর্ব্বে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ-নিন্দা জানিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার সবিনয় অনুরোধ করছি।

নিবেদক-
মো.কবির আহমদ,(সদ্য কুয়েত ফেরত)
কুতুপালং বাজার,উখিয়া,কক্সবাজার।