০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ লাইন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালংয়ে বনভূমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সেভেন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি বনভূমির জায়গায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় মহিন উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, ক্যাম্প সেভেনের দায়িত্বে ছিদ্দিক মাঝি। ছিদ্দিক মাঝির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে করলে সংযোগ বিছিন্ন পাওয়া যায়। তবে কিভাবে স্থানীয় দুই ব্যক্তি চাঁদ মিয়া ওরফে বাবুল মিয়া (পিতা মৃত হাকিম আলী) এবং মনজুর আলম ওরফে মনজুর মিস্ত্রি (পিতা তাজু মুলুক)—অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করে প্রতি মাসে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় করছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় এভাবে প্রায় ৫০-৬০ ঘরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করছে।

এই নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে, তারা বৈধ উপায়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমির আসল কাগজপত্র জমা দিলেও, বৈধ মিটার পেতে অনেক সময় লাগছে। কিন্তু একই সময়ে, বনভূমির জায়গায় দু’জন স্থানীয় তাদের নামে মিটার নিয়ে ভিন্ন কৌশলে রোহিঙ্গাদের কাছে অবৈধ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, যা এলাকার মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, এই অবৈধ কার্যকলাপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং বনভূমির জন্যও হুমকিস্বরূপ। তাই দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

চকরিয়ায় বসতভিটা ও দোকান দখলের জন্য হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট: আহত ৫

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ লাইন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র

প্রকাশিত সময় : ০৩:১৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালংয়ে বনভূমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সেভেন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি বনভূমির জায়গায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় মহিন উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, ক্যাম্প সেভেনের দায়িত্বে ছিদ্দিক মাঝি। ছিদ্দিক মাঝির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে করলে সংযোগ বিছিন্ন পাওয়া যায়। তবে কিভাবে স্থানীয় দুই ব্যক্তি চাঁদ মিয়া ওরফে বাবুল মিয়া (পিতা মৃত হাকিম আলী) এবং মনজুর আলম ওরফে মনজুর মিস্ত্রি (পিতা তাজু মুলুক)—অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করে প্রতি মাসে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় করছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় এভাবে প্রায় ৫০-৬০ ঘরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তারা বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করছে।

এই নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে, তারা বৈধ উপায়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমির আসল কাগজপত্র জমা দিলেও, বৈধ মিটার পেতে অনেক সময় লাগছে। কিন্তু একই সময়ে, বনভূমির জায়গায় দু’জন স্থানীয় তাদের নামে মিটার নিয়ে ভিন্ন কৌশলে রোহিঙ্গাদের কাছে অবৈধ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, যা এলাকার মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, এই অবৈধ কার্যকলাপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং বনভূমির জন্যও হুমকিস্বরূপ। তাই দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।