০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাজিরারটেকে ডুবে যাওয়া বোট উদ্ধারে ব্যবহৃত বোট নিয়ে যায় ডাকাত দল

কক্সবাজার পৌর ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চ্যানেলে একটি ফিশিংবোট ডাকাতি করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। রবিবার দিবাগত রাত ৩ টা দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় জাল, নগদ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় জলদস্যুরা।
বোট মালিক নেজাম উদ্দীন জানান, তার মালিকানাধীন ২টি ফিশিং বোট রয়েছে। একটিবোট গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাজিরারটেক কুলবর্তি সাগরে ডুবে যায়। গত ৫দিন ধরে তার মালিকানাধীন অপর বোটটি নিয়ে ডুবুরী এনে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিলেন। এরই ফাঁকে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে উদ্ধার কারীদল রেস্টে গেলে ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল ভারী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বোটে ওঠে। ওই সময় বোটে মাঝি মাল্লা ১০জন ছিল। ডাকাতদল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বেঁধে বোটে ফেলে রাখে। পরে ডাকাতদল ওই বোটটি নিয়ে সাগর গিয়ে পরপর ৩টি বোট ডাকাতি করে। এরপর ডাকাত দল ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া বোটে থাকা মাছ ধরার জালসহ সকল মালামাল, ডুবে যাওয়া বোট উদ্দারের সকল মালামাল, বোটে থাকা মাঝি মাল্লাদের কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকাস অন্তত ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে এবং বোটে থাকা ১০ জনের কাছে থাকা ১০টি মোবাইলের মধ্যে ১টি মোবাইল দিয়ে বোটটি ছেড়ে দেয়। মাটের মাঝি উপরোল্লেকিত কথা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে তাদের বেদড়ক পিটানোর কথা অকপটে বলে যান। বোটের মাঝি তাদের বোট দিয়ে অন্য বোট ডাকাতি না করার জন্য ডাকাতদের অনুরোধ করতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বেদড়ক পিটায়। বর্তমানে খালি বোটটি বোট মালিকের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বোট মালিক নেজাম উদ্দীন। বোট মালিক নেজাম উদ্দীন কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল এলাকার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নাজিরারটেক এলাকার বোট মালিক অনেকেই জানান, নোঙ্গরে থাকা একটি বোট ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া সত্যি দুঃখ জনক। ডাকাতি করা বোট দিয়ে অন্যান্য বোট ডাকাতি করা ন্যাক্কার জনক ঘটনা। তারা বলেন, ওই ডাকাতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। সাগরে ডাকাদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলছে। এ বিষয়ে বোট মালিকরা নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সাগরে জলদস্যুতার ঘটনা প্রায় সময় শুনা যায়। অপরাধী যেই হউকনা কেন সকলকে আইনের আওতায় আসতে হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

নাজিরারটেকে ডুবে যাওয়া বোট উদ্ধারে ব্যবহৃত বোট নিয়ে যায় ডাকাত দল

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার পৌর ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক চ্যানেলে একটি ফিশিংবোট ডাকাতি করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। রবিবার দিবাগত রাত ৩ টা দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় জাল, নগদ টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় জলদস্যুরা।
বোট মালিক নেজাম উদ্দীন জানান, তার মালিকানাধীন ২টি ফিশিং বোট রয়েছে। একটিবোট গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাজিরারটেক কুলবর্তি সাগরে ডুবে যায়। গত ৫দিন ধরে তার মালিকানাধীন অপর বোটটি নিয়ে ডুবুরী এনে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিলেন। এরই ফাঁকে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে উদ্ধার কারীদল রেস্টে গেলে ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল ভারী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বোটে ওঠে। ওই সময় বোটে মাঝি মাল্লা ১০জন ছিল। ডাকাতদল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বেঁধে বোটে ফেলে রাখে। পরে ডাকাতদল ওই বোটটি নিয়ে সাগর গিয়ে পরপর ৩টি বোট ডাকাতি করে। এরপর ডাকাত দল ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া বোটে থাকা মাছ ধরার জালসহ সকল মালামাল, ডুবে যাওয়া বোট উদ্দারের সকল মালামাল, বোটে থাকা মাঝি মাল্লাদের কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকাস অন্তত ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে এবং বোটে থাকা ১০ জনের কাছে থাকা ১০টি মোবাইলের মধ্যে ১টি মোবাইল দিয়ে বোটটি ছেড়ে দেয়। মাটের মাঝি উপরোল্লেকিত কথা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে তাদের বেদড়ক পিটানোর কথা অকপটে বলে যান। বোটের মাঝি তাদের বোট দিয়ে অন্য বোট ডাকাতি না করার জন্য ডাকাতদের অনুরোধ করতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বেদড়ক পিটায়। বর্তমানে খালি বোটটি বোট মালিকের কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বোট মালিক নেজাম উদ্দীন। বোট মালিক নেজাম উদ্দীন কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল এলাকার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নাজিরারটেক এলাকার বোট মালিক অনেকেই জানান, নোঙ্গরে থাকা একটি বোট ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া সত্যি দুঃখ জনক। ডাকাতি করা বোট দিয়ে অন্যান্য বোট ডাকাতি করা ন্যাক্কার জনক ঘটনা। তারা বলেন, ওই ডাকাতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। সাগরে ডাকাদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলছে। এ বিষয়ে বোট মালিকরা নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সাগরে জলদস্যুতার ঘটনা প্রায় সময় শুনা যায়। অপরাধী যেই হউকনা কেন সকলকে আইনের আওতায় আসতে হবে।