নাইক্ষ্যংছড়ি’র উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র পৃথক অভিযানে ১১টি মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা গরু ও মহিষ জব্দ করেছে।বিজিবি’র প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র পৃথক অভিযানে সদর ইউনিয়নের ফুলতলীতে ৩টি,জারুলিয়াছড়িতে ৩টি এবং দৌছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ির বাহির মাঠে ৫টি সহ ১১টি গরু ও মহিষ জব্দ করেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র ফুলতলী বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোঃ আবদূর রশিদের নেতৃত্বে টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলীর লম্বাশিয়া নামক স্থান থেকে মালিক বিহীন ৩টি মিয়ানমার মহিষ জব্দ করেন।
একই দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় লেম্বুছড়ি বিওপি’র কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোঃ শামীম হোসেন’র নেতৃত্বে টহল দল সীমান্তের ৪৯ নং পিলার এলাকার উত্তরে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে মালিক বিহীন ৫টি মিয়ানমারের গরু জব্দ করেন।অপরদিকে সকাল ১০ টায় লেবুবাগান নামক স্থান থেকে মালিকবিহীন আরো ৩টি মিয়ানমারের গরু জব্দ করেন।
স্থানীয়দের দাবী,বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত দিয়ে আসছে গবাদিপশু ও মাদকদ্রব্য। বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল,সার,চাল,মুরগি,ঔষুধ, তরিতরকারী, বিস্কুট, মাছসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও মালামাল।নাইক্ষংছড়িস্থ ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল সাহেল আহমেদ নোবেল বলেন, মালিকবিহীন জব্দকৃত ১১টি মিয়ানমারের গরু-মহিষ ব্যাটালিয়ান হেফাজতে রয়েছে।এসব গরু ও মহিষ গুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি ও হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।